সাবেক সিনিয়র সচিব জিয়াউল আলমকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার
Published: 5th, March 2025 GMT
জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য ফাঁস ও বিক্রির অভিযোগে সাইবার নিরাপত্তা আইনে করা একটি মামলায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে তাঁকে ঢাকার পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি দল ঢাকায় নিয়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান আজ প্রথম আলোকে বলেন, সিআইডির তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে পাঁচলাইশ থানার পেছনে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের এক চিকিৎসকের বাসা থেকে সাবেক সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই চিকিৎসক তাঁর স্ত্রীর বড় ভাই। বর্তমানে মামলাটি সিআইডি তদন্ত করায় তারা আসামিকে ঢাকায় নিয়ে গেছে।
গত বছরের ৯ অক্টোবর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলকসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে সাইবার নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর কাফরুল থানায় এনামুল হক নামের এক ব্যক্তি মামলা করেন। তাঁদের বিরুদ্ধে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য ফাঁস ও বিক্রির অভিযোগ আনা হয়েছে। ১৯ জন আসামির মধ্যে রয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমও।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, এনআইডির তথ্য ব্যবহার করে ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিসেস লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে ব্যবসার অনুমতি দেন আসামিরা। জাতীয় নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে এনআইডির তথ্য দেশ-বিদেশের প্রায় ১৮২টি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে ডিজিকন। তথ্য বিক্রি করে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দেশে ব্যবসার অনুমোদন পেল স্টারলিংক
বাংলাদেশে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট–সেবা চালুর জন্য স্পেসএক্সের সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংককে অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)।
রবিবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর ইস্কাটনে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ এ তথ্য দেন।
তিনি বলেন, “আমরা তাদের ৯০ দিনের মধ্যে কার্যক্রম পরিচালনার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, তার পরিপ্রেক্ষিতেই ২৯ মার্চ স্টারলিংককে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।”
আরো পড়ুন:
গাজায় নির্যাতিতদের পক্ষে নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন
নোবিপ্রবি উপাচার্যের নাম ও ছবি ব্যবহার করে প্রতারণা
বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনের ভেন্যু রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে আগামী ৯ এপ্রিল পরীক্ষামূলকভাবে স্টারলিংকের ইন্টারনেট–সেবা ব্যবহার করা হবে। সেখানে উপস্থিত সব অংশগ্রহণকারী সেটি ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়া স্টারলিংকের ইন্টারনেট ব্যবহার করে সম্মেলনের সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
এর আগে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও স্পেসএক্সের সিইও ইলন মাস্কের মধ্যে টেলিফোনে আলোচনা হয়। সেখানে বাংলাদেশের জন্য স্টারলিংকের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট–সেবা চালুর সম্ভাবনা ও ভবিষ্যৎ সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়।
প্রযুক্তি খাতের ব্যক্তিরা বলছেন, স্টারলিংক বাংলাদেশে এলে দুর্গম এলাকায় খুব সহজে উচ্চগতির ইন্টারনেট-সেবা পাওয়া যাবে। ফলে ইন্টারনেট-সেবার ক্ষেত্রে গ্রাম ও শহরের পার্থক্য ঘুচে যাবে। গ্রামে বসেই উচ্চগতির ইন্টারনেট ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সিংসহ ইন্টারনেটভিত্তিক কাজ করতে পারবেন তরুণেরা। দুর্যোগের পর দ্রুত যোগাযোগ প্রতিস্থাপনে বড় ভূমিকা রাখতে পারে স্টারলিংক।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী
বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনার জন্য বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিডা থেকে নিবন্ধন নেওয়া বাধ্যতামূলক। সেই নিবন্ধনও স্টারলিংককে দেওয়া হয়েছে।
বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আরো জানান, পরিচালনার জন্য যে নন–জিওস্টেশনারি অরবিট (এনজিএসও) লাইসেন্সের প্রয়োজন, স্টারলিংকের আজ (রবিবার) আবেদন করার কথা রয়েছে। নিয়ম মেনে আবেদন করলে অনুমোদন দেওয়া হবে। এতে বাংলাদেশে তাদের ব্যবসা করার জন্য কোনো বাধা থাকবে না।
ঢাকা/হাসান/সাইফ