হাজার–বারো’শ উঠতি ক্রিকেটার নিয়ে বিসিবির টুর্নামেন্ট
Published: 5th, March 2025 GMT
নাজমুল হোসেন পাপনের বোর্ড ভোট বাণিজ্য ও ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে ‘ক্লাব বাণিজ্য’ গড়ে তোলে। ঢাকা লিগের চারটি বিভাগে (তৃতীয়, দ্বিতীয়, প্রথম বিভাগ ও প্রিমিয়ার লিগ) ‘ক্লাব বাণিজ্য’ গড়ে উঠে নষ্ট করেছে ক্রিকেটার উঠে আসার পথ। এতোটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছিলেন যে, তৃতীয় বিভাগ বাছাই লিগের রেজিস্ট্রেশন ফি ৫ লাখ টাকা করেন। তাতে বন্ধ হয়ে যায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ক্লাবগুলোর উঠে আসার পথ।
তাদের এই সিদ্ধান্তের কারণে ঢাকার একাধিক একাডেমি, ক্লাব ও ব্যক্তি পর্যায়ের গড়ে উঠা কোচিংগুলো বন্ধ হয়ে যায়। সঙ্গে শর্ত দেওয়া হয় সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের নিবন্ধনের। অথচ আগে প্রতি মৌসুমে তৃতীয় বিভাগ বাছাই ক্রিকেট খেলত একাডেমি পর্যায়ের ৫০-৬০টি দল। হাজার–বারো’শ উঠতি ক্রিকেটার সুযোগ পেত। সবশেষ তিন মৌসুমে তৃতীয় বিভাগ বাছাইয়ে অংশ নিয়েছে মাত্র দুটি করে দল। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তৃণমূলের অনেক ক্লাব বাছাই প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেনি। ফলে টসের মাধ্যমে নির্ধারণ হয়ে যেত চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সঅপ।
সব অচলায়তন ভেঙে ফারুক আহমেদের বোর্ড আলো ফিরিয়েছে তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেটের বাছাইপর্বে। এবার আর পাঁচ লাখ নয়, এক লাখেই করা গেছে রেজিস্ট্রেশন। সঙ্গে সরকারের নিবন্ধনের সিদ্ধান্তও বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নীতি নির্ধারকরা। সাত বছর ধরে বন্ধ থাকার পর আগামী ১০ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগের বাছাইপর্বের প্রতিযোগিতা। এজন্য স্পন্সরও পেয়েছে বিসিবি। স্পন্সর হয়েছে সিটিজেনস ব্যাংক। ৩০ লাখ টাকায় স্পন্সর হয়েছে ব্যাংকটি। বাছাইপর্বে মোট ৬০ দল অংশগ্রহণ করবে। সবমিলিয়ে ম্যাচ সংখ্যা ১২০টি।
আরো পড়ুন:
মানহীন লিগে ‘অনাপত্তি’ দেবে না বিসিবি
মিরপুরে প্রতিনিধি দল
আলোর মুখ দেখছে নিউ জিল্যান্ড ‘এ’র বাংলাদেশ সফর
এরপর সুপার লিগ মাঠে গড়াবে। সেখান থেকে সেরা ১২ দল মাঠে নামবে। ১২ দল নিয়ে দুটি গ্রুপ করা হবে। সেখানে ম্যাচ হবে ৩০টি। দুই গ্রুপে থাকা পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দুটি করে দল তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেটে নাম লেখাবে। সিটিক্লাব, পিকেএসপি-১, পিকেএসপি-২, শামসুজ্জোহা স্পোর্টস কমপ্লেক্স, তেগুরিয়া স্টেডিয়াম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাঠ, মাসকো সাকিব ক্রিকেট একাডেমি গ্রাউন্ডে লিগের খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বৈশাখী মেলা ও জারার আনন্দ
কদমপুর গ্রামে প্রতিবছর বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে মেলা বসে। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসে মেলায়। প্রতিবছরের মতো এ বছরও মেলা বসেছে। জারার শখ বৈশাখী মেলায় যাওয়া। সে কখনো বৈশাখী মেলায় যায়নি। তাই সে আগে থেকে বায়না ধরলো যে মেলায় যাবে। জারার বাবা নিয়ে যেতে রাজি হলেন। জারা খুশিতে হাততালি দিলো। সে তার রুমে গিয়ে ক্যালেন্ডারে দেখলো; আর মাত্র দুই দিন বাকি। অপেক্ষার পালা যেন জারার শেষই হতে চায় না। যখন অপেক্ষার পালা শেষ হয় জারা যেন আনন্দে আত্মহারা! সে খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে গোসল সেরে তৈরি হয়ে নেয়, মেলায় যাবে বলে। বাবা মেয়েকে দেখে চিনতে পারলেন না। অবাক হয়ে বলেন, এটা কী আমার জারা? জারা বলে, বাবা মজা করোনা তো। আমি তোমারই জারা। তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে নাও বাবা। বাবা তৈরি হলেন। জারাদের বাড়ি থেকে কদমপুর গ্রাম বেশি দূরে নয়। হেঁটে যেতে সময় লাগে কুড়ি মিনিটের মতো। তারা হেঁটে রওনা দিলো মেলার উদ্দেশে। যেতে যেতে অনেক মানুষের সাথে দেখা হলো, যারা তাদের মতো মেলায় যাচ্ছে। মেলায় গিয়ে পৌঁছালো সকাল আটটা বিশ মিনিটে। মেলায় প্রবেশ করে জারা আবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো হস্তশিল্পের দিকে। বাবা বলেন, কিছু খেয়ে নেওয়া দরকার। জারা তাতে রাজি হলো। সামনের দিকে এগোতেই তারা খাবারের স্টল দেখতে পেলো। স্টলে গিয়ে পান্তা ইলিশ পেট পুরে খেলো। তারপর মেলায় ঘুরে জারা মাটির পুতুল, হাতপাখা, মিষ্টি, সন্দেশসহ কতো কী নিলো। মেলায় জারার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে নাগরদোলায় চড়ে। সবশেষে বাবার হাত ধরে রাজ্যের আনন্দ নিয়ে বাড়ির পথ ধরে জারা।
n বয়স : ২+৩+৩+৪+৪ বছর; একাদশ শ্রেণি, কালীপুর হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, চাঁদপুর