এম আমিনুল ইসলামকে শিক্ষা উপদেষ্টা না করায় সরকারের সমালোচনা করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, নিশ্চয় কিছু গণবিরোধী উপদেষ্টা রয়েছেন, যারা শিক্ষকদের অনাহারে রেখেছেন। তারাই শিক্ষকদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টাকে নজর দিতে দিচ্ছেন না।

বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সম্মিলিত নন-এমপিও ঐক্য পরিষদের অবস্থান কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন রিজভী।

তিনি বলেন, নন-এমপিও শিক্ষকরা পেটের ক্ষুধা মেটাতে যে দাবি তুলেছেন, তার প্রতি ন্যূনতম কর্ণপাত করেনি সরকার। এরা তো আবু সাঈদ, মুগ্ধ ও আহনাফের রক্ত ঝরা সরকার। নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা ২০ থেকে ৩০ বছর ধরে একটি টাকাও পাননি। তারা তো টাকা না নিয়ে অনেক ছাত্র তৈরি করেছেন, যারা সমাজের বিভিন্ন জায়গায় আছেন। বিভিন্ন সরকারি দায়িত্বও পালন করছেন। তো এসব শিক্ষক থেকে মুখ ফিরিয়ে রেখেছেন কেন?

রিজভী বলেন, যারা ভালো কিছু করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধেই লোক লেগে যায়। ড.

এম আমিনুল ইসলাম একজন মেধাবী শিক্ষক, বড় মাপের একাডেমিশিয়ান। আমরা অনেকেই তাঁকে চিনি। আমরা চিনি বলেই কি তাঁকে অপমানিত করা হচ্ছে? কিছু উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টার কান ভারী করে, নাম ঘোষণা করার পরও আমিনুল ইসলামকে শিক্ষা উপদেষ্টার মতো পদে না বসাতে চক্রান্ত করেছেন। একজন গুণী ও যোগ্য মানুষ আমিনুল ইসলাম। তাঁকে অন্তর্বর্তী সরকার যে অপমান করল, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের।

নন-এমপিও ঐক্য পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যক্ষ সেলিম মিঞার সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে বক্তৃতা করেন শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, মহাসচিব জাকির হোসেন, নন-এমপিও সংগঠনের মুখ্য সমন্বয়ক অধ্যক্ষ দবিরুল ইসলাম, অধ্যক্ষ নাজমুস সাহাদাত আজাদী, সাংগঠনিক সমন্বয়ক অধ্যক্ষ মনিমুল হক, যুগ্ম সাংগঠনিক সমন্বয়ক অধ্যক্ষ ইমরান বিন সোলায়মান প্রমুখ।


 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ উপদ ষ ট সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্বে সামরিক ব্যয় রেকর্ড বেড়ে ২.৭ ট্রিলিয়ন ডলার

২০২৪ সালে বিশ্বজুড়ে সামরিক ব্যয় রেকর্ড পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২.৭ ট্রিলিয়ন ডলারে। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (সিপরি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ইউক্রেন, গাজা যুদ্ধসহ বৈশ্বিক উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যেই সামরিক ব্যয়ে এ ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে।

গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে বিশ্বজুড়ে সামরিক ব্যয় বেড়েছে ৯.৪ শতাংশ। এটিই টানা দশম বছর, যখন সামরিক খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইউক্রেন যুদ্ধ ও ন্যাটো জোটে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতিকে ঘিরে সংশয়ের প্রভাবে ইউরোপে সামরিক ব্যয় নজিরবিহীন হারে বেড়েছে। সিপরির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ইউরোপীয় দেশগুলোর সামরিক ব্যয় ১৭ শতাংশ বেড়েছে, যা শীতল যুদ্ধের সমাপ্তির পর সর্বোচ্চ।

বৈশ্বিক ভূরাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে এগিয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, ভারত ও সৌদি আরব। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ৮৯৫ বিলিয়ন ডলার, চীন ২৬৬.৮৫ বিলিয়ন ডলার, রাশিয়া ১২৬ বিলিয়ন ডলার, ভারত ৭৫ বিলিয়ন ডলার এবং সৌদি আরব ৭৪.৭৬ বিলিয়ন ডলার।

সিপরি সতর্ক করে বলেছে, সামরিক নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ফলে অন্যান্য খাতের বাজেট কমে যাচ্ছে, যা সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

রাশিয়ার সামরিক ব্যয় ২০২৪ সালে দাঁড়িয়েছে ১৪৯ বিলিয়ন ডলারে, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৩৮ শতাংশ বেশি। এ খরচ দেশটির মোট জিডিপির ৭.১ শতাংশ এবং সরকারি ব্যয়ের ১৯ শতাংশ। অন্যদিকে, ইউক্রেনের সামরিক ব্যয় বেড়ে ৬৪.৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা তাদের জিডিপির ৩৪ শতাংশ। খবর এনডিটিভির।

সম্পর্কিত নিবন্ধ