পাকিস্তান থেকে চাল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে ‘এমভি সিবি’
Published: 5th, March 2025 GMT
চাল নিয়ে পাকিস্তান থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে ‘এমভি সিবি’ নামের একটি জাহাজ। বুধবার বন্দর জেটিতে ভেড়ে পাকিস্তানি পতাকাবাহী জাহাজটি। নমুনা পরীক্ষাসহ যাবতীয় কার্যক্রম শেষে জাহাজটি থেকে চাল খালাস শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
খাদ্য অধিদপ্তর জানায়, পাকিস্তান থেকে জিটুজি ভিত্তিতে ৫০ হাজার টন আতপ চাল আমদানি হচ্ছে। এমভি সিবিতে প্রথম চালান এসেছে। বাকি চাল খুব শিগগির বন্দরে পৌঁছাবে।
অধিদপ্তরের চলাচল ও সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রক জ্ঞানপ্রিয় বিদূর্শী চাকমা জানান, পাকিস্তান থেকে আসা জাহাজটি বন্দরের সিসিটি-১ জেটিতে ভেড়ানো হয়েছে। জাহাজটি থেকে শিগগির চাল খালাস শুরু হবে।
শিপিং ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম রয়েছে। সম্প্রতি দেশটির সঙ্গে প্রথম সরাসরি কনটেইনারবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। পাকিস্তানি পতাকাবাহী জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে ভেড়ানো ইতিবাচক।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বসুন্ধরার ঘটনা নিয়ে যা বললেন সারজিস আলম
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় যাওয়াকে কেন্দ্র করে চিৎকার-চেঁচামেচির একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
বুধবার (৫ মার্চ) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওটি পোস্ট করে কেউ কেউ দাবি করেছেন, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েছেন সারজিস।
এ নিয়ে রাত ২টার পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন সারজিস আলম। তার সেই স্ট্যাটাসটি রাইজিংবিডির পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-
ফেসবুক পোস্টে সারজিস লিখেছেন, ইফতারের পর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির সহযোদ্ধাদের সঙ্গে চায়ের আড্ডা দিতে এবং তাদের কথা শুনতে যাই। সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত তাদের সঙ্গে গল্প-আড্ডা হয়, তাদের কথা শোনা হয়, চায়ের আড্ডা হয়।
তিনি লিখেছেন, NSU, IUB, AIUB, UIU এই ৪ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক সহযোদ্ধাদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে NSU’র সামনে দিয়ে হেঁটে আসছিলাম। আমার সঙ্গে ১৫-২০ জন প্রাইভেটের সহযোদ্ধারা ছিল। পরে NSU’র গেটের সামনে দেখি ১০-১২ জন ঢাবি সিন্ডিকেট নিয়ে স্লোগান দিচ্ছে। এর মধ্যে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা আহমেদ শাকিল ছিল। আমি এগিয়ে যাই তাদের কথা শুনতে। কিন্তু, তারা ইচ্ছাকৃতভাবে আমার সঙ্গে থাকা প্রাইভেটের শিক্ষার্থীদের গালিগালাজ করতে থাকে। ওদের ১০-১২ জনের মধ্যে ১-২জনকে স্টুডেন্ট মনে হলেও বাকিদের দেখে ভাড়া করা টোকাই দুষ্কৃতকারী মনে হচ্ছিল। বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করাই এদের উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে আমি দুই পক্ষকে চলে যেতে বলি এবং চলে আসি।
সারজিস আলম আরো লিখেছেন, পরবর্তীতে ছাত্রদলের শাকিল তার নেতৃত্বে তার সাথে থাকা টোকাই দুষ্কৃতকারী সন্ত্রাসীদের নিয়ে পূর্বে আমার সাথে থাকা ওই প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির ছেলেদের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করে এবং সরাসরি মাথায় ও পিঠে আঘাত করে একাধিক জনকে রক্তাক্ত করে ৷ ছাত্রদলের শাকিলসহ বাকি সন্ত্রাসীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।
তিনি আরো লিখেছেন, ১৬ বছর ধরে টোকাইলীগের দ্বারা নির্যাতিত হওয়ার পর আজ যদি ছাত্রদলের কেউ একইভাবে টোকাইলীগের সন্ত্রাসীদের মতো আচরণ করে তাহলে তারও পরিণতি টোকাইলীগের মতো হতে খুব বেশি দিন লাগবে না।
হামলাকারীদের উদ্দেশ্যে সারজিস লিখেছেন, শিক্ষা নেন, সময় থাকতে নিকট অতীত থেকে শিক্ষা নেন।
ঢাকা/রাজীব