প্রশ্ন: আমি একজন ছেলে, বয়স ১৮ বছর। বিএমআই ১৩। আমি খাটে বসে পড়ালেখা করি। গত ২ মাস ধরে ৫-১০ মিনিট পা ভাঁজ করে বসলে আমার হাঁটু থেকে দুই পা পুরো অবশ হয়ে যায়, তখন পা সোজা করতে ও হাঁটতে অনেক কষ্ট হয়। এ সময়ে হাঁটুতে অনেক ব্যথা হয়। সমস্যাটি আবার ১০-১৫ মিনিট পরে সেরে যায়। এটার কারণ কী? প্রতিকার মিলবে কীভাবে?

ছিদরাতুল মুন্তাহার

পরামর্শ: এক বা একাধিক কারণে সমস্যাটি হতে পারে। এ অবস্থায় শুধু এই কয়েকটি তথ্যের ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসা শুরু করা ঠিক হবে না। আগে সঠিক কারণ জেনে নিতে হবে। শরীরে রক্তস্বল্পতা তৈরি হলে পা অবশ হয়ে যাওয়ার মতো অনুভূতি দেখা দেয়। এ ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট রক্ত পরীক্ষা করানোর মাধ্যমে জেনে নিতে হবে শরীরে রক্তস্বল্পতা আছে কি না। আবার স্নায়বিক কোনো জটিলতার কারণেও এমনটি হতে পারে। এ ছাড়া হাড়ের সংযোগস্থলে সৃষ্ট কোনো জটিলতা থেকেও বর্ণিত লক্ষণগুলো দেখা দিতে পারে। আপনি উল্লেখ করেছেন সমস্যাটি দুই মাস পার হতে চলেছে। সমস্যাটি অবহেলা করলে আপনার জটিলতা আরও বেড়ে যেতে পারে। যত দ্রুত সম্ভব একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা–নিরীক্ষাগুলো করিয়ে নিন। সমস্যার সঠিক কারণ শনাক্ত হলে সুচিকিৎসা নিশ্চিত হবে। খাদ্য গ্রহণের সময় বেশি বেশি ক্যালসিয়ামযুক্ত এবং ভিটামিন ডি-সমৃদ্ধ খাবার খাবেন। সুচিকিৎসা গ্রহণ করলে ও স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে আশা করি আপনি দ্রুত সেরে উঠবেন।

আরও পড়ুনরোজা রেখে পেট খারাপ হলে কী করবেন২৬ মার্চ ২০২৪.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সমস য ট

এছাড়াও পড়ুন:

ম্যারাডোনা: কখনো দেবতা, কখনো বিপ্লবী, আবার কখনো জোচ্চোর ও মাদকসেবী

‘যখন তার কাছে বল থাকত না, তখন সে মা দিবসে আদমের চেয়েও নিজেকে একা মনে করত’—ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে নিয়ে কথাগুলো বলেছিলেন মেক্সিকান লেখক হুয়ান ভিলোরো।

অনেক বছর আগে বুয়েন্স এইরেসের ধূলিমাখা পথ থেকে যাত্রা শুরু করেছিলেন একজন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। খুব সরল কোনো পথ নয়, বরং আঁকাবাঁকা ও চড়াই-উতরাইয়ে ভরা। সেই পথ ধরে ম্যারাডোনা নামের সেই ছেলে কোথায় পৌঁছাতে চেয়েছিলেন, শুরুতে তা হয়তো তিনি নিজেও জানতেন না। তবে তিনি যা জানতেন, সেটা হলো এই চলার পথে যা কিছু আসবে, সবকিছুকেই দৃঢ়তার সঙ্গে বরণ করে নিতে হবে। আর এভাবে নিতে নিতে তিনি হয়ে উঠবেন ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফুটবলার।

শুধু ফুটবলার পরিচয়ে ম্যারাডোনাকে আটকে রাখার সুযোগ নেই। কারণ, শেষ পর্যন্ত ফুটবলারের চেয়েও বড় কিছু হয়ে উঠেছিলেন তিনি। হয়ে ওঠেছিলেন ইতিহাসের সবচেয়ে বর্ণিল চরিত্রগুলোর একটি। এমন বর্ণিল চরিত্র যাকে কাঠামোয় ধরে রাখা কঠিন। এত কিছুর সন্নিবেশ কীভাবে একজন মানুষের মধ্যে থাকতে পারে, সে-ও এক পরম আশ্চর্যের বিষয়। তবে যেসব শিল্পী সেই বর্ণিল চরিত্রটিকে সার্থকভাবে তুলে আনতে পেরেছিলেন, সার্বিয়ান চলচ্চিত্র পরিচালক এমির কুস্তোরিকা তাঁদের অন্যতম। হয়তো বন্ধু ছিলেন বলেই এতটা সৎ ও নিখুঁতভাবে ম্যারাডোনাকে পর্দায় হাজির করতে পেরেছিলেন কুস্তোরিকা।

আরও পড়ুনইনসাইড এজ: ক্রিকেটের অন্ধকার অন্দরমহলে যা ঘটে২৪ মার্চ ২০২৫

ম্যারাডোনার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের মতোই এই প্রামাণ্যচিত্র খানিকটা খাপছাড়া ও এলোমেলো। তবে কুস্তোরিকার অন্য কাজগুলো দেখলে বিষয়টা মোটেই অপরিকল্পিত বা উদ্দেশ্যহীন মনে হবে না। অনৈক্যের এই ঐক্য কুস্তোরিকার অন্য চলচ্চিত্রগুলোতে বেশ প্রবল। পাশাপাশি এটিকে ম্যারাডোনার চরিত্রের প্রতীকী প্রকাশ হিসেবেও দেখা যেতে পারে।

এই প্রামাণ্যচিত্র শুরু হয় বুয়েনস এইরেসের একটি কনসার্টের দৃশ্য দিয়ে। এরপর ভয়েস ওভারে শোনা যায় কুস্তোরিকার কণ্ঠ। তিনি বলেন, ‘ডিয়েগো খুব সহজেই আমার প্রথম সিনেমার নায়ক হতে পারত।’ এভাবেই মূলত শুরু হয় প্রামাণ্যচিত্রটি। একই সঙ্গে একজন নায়ক এবং প্রতি নায়কের গল্প। আরও সহজভাবে বললে পরিচালক কুস্তোরিকার একজন বন্ধুর গল্প।

বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে ম্যারাডোনা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৬ মাস ধরে চালক নেই অ্যাম্বুলেন্স সেবাও বন্ধ
  • ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশের ‘সচেতনতামূলক’ মাইকিং
  • লক্ষ্মীপুর বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ১
  • ভুমি ভাবতেই পারেননি তার জীবনে এই সুযোগ আসবে
  • ভিউ ব্যবসায়ী সাংবাদিক পরীমণিকে রুটিরুজির অংশ বানিয়েছে: শেখ সাদী
  • ভিউ ব্যবসায়ী সাংবাদিক পরীমনিকে রুটিরুজির অংশ বানিয়েছে: শেখ সাদী
  • ভিউ ব্যবসায়ী সাংবাদিক পরীমনিকে  তাদের রুটিরুজির অংশ বানিয়েছে: সাদী
  • সড়ক দুর্ঘটনায় পথচারী নিহত, মদ্যপ পরিচালক গ্রেপ্তার
  • হাতভাঙার ভুয়া এক্স-রে জমা দিয়ে মামলার অভিযোগ 
  • ম্যারাডোনা: কখনো দেবতা, কখনো বিপ্লবী, আবার কখনো জোচ্চোর ও মাদকসেবী