হাতকড়াসহ গ্রেপ্তার রাজু, আসামি ধর্ষণ মামলার
Published: 5th, March 2025 GMT
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে হাতকড়াসহ ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি শাহনেওয়াজ আবির রাজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে ঢাকার দক্ষিণখান থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বুধবার সকালে তাকে রৌমারী থানায় আনা হয়।
রাজু (৩০) উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের কাশিয়াবাড়ী এলাকার আলী আজগরের ছেলে।
রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লৎফর রহমান বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার দক্ষিণখান থানা এলাকায় অভিযান চালায় র্যাব-১। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রাজুকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি আরও জানান, তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ, মাদক ও পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করার ঘটনায় মামলা রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসা শেষে তাকে কুড়িগ্রাম জেলহাজতে পাঠানো হবে।
প্রসঙ্গত, ১৭ ফেব্রুয়ারি রাজুর বিরুদ্ধে এক প্রতিবন্ধী স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ঘটনার পর গ্রামবাসীর তোপের মুখে অভিযুক্ত রাজু পরিবারসহ এলাকা ছেড়ে ধনারচর চরেরগ্রামে তার খালা ও সাবেক নারী ইউপি সদস্য শিরিনা আক্তারের বাড়িতে আশ্রয় নেন। পরে পুলিশে অভিযোগ দেয় ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর পরিবার। ধর্ষণ, মাদক ব্যবসা ও স্থানীয়দের হুমকির অভিযোগে রাজুকে গ্রেপ্তার করতে সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে এসআই আউয়াল হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল সাবেক নারী ইউপি সদস্য শিরিনা আক্তারের বাড়িতে অভিযানে যায়। তল্লাশি চালিয়ে কয়েক পিস ইয়াবাসহ রাজুকে আটকের পর হাতকড়া পরায় পুলিশ। এ সময় রাজু, তার মা এবং খালাতো বোন (শিরিনার মেয়ে) পুলিশের ওপর হামলা চালান। এতে এসআই আউয়াল আহত হন। এ সুযোগে হাতকড়াসহ পালিয়ে যান রাজু। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এসআই আউয়ালকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর হ তকড়
এছাড়াও পড়ুন:
তিস্তা সড়ক সেতুর টোল প্লাজায় সশস্ত্র হামলা, ১৪ লাখ টাকা লুটের অভিযোগ
তিস্তা সড়ক সেতুর টোল প্লাজায় হেলমেটধারী সশস্ত্র ডাকাতরা হামলা করেছে। এ সময় আহত হয়েছেন তিনজন। হামলাকারীরা সেখানে থাকা ১৪ লাখ টাকা লুট করে নিয়েছে বলে দাবি করছেন সংশ্লিষ্টরা। বুধবার রাত ৯টার দিকে তিস্তা সড়ক সেতুর লালমনিরহাট অংশে অবস্থিত টোল প্লাজায় এই ঘটনা ঘটে।
টোল প্লাজার ঠিকাদার রানা কনস্ট্রাকশনের পার্টনার রংপুর জেলা যুবদলের সভাপতি নাজমুল আলম নাজু জানান, বুধবার রাত ৯টার দিকে ২০ থেকে ২৫টি মোটরসাইকেলে এসে হেলমেট পরিহিত সশস্ত্র ডাকাত দল টোল প্লাজায় অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এ সময় পুরো টোল প্লাজা ভাঙচুর করে তারা। টোল প্লাজার ক্যাশ বাক্সে থাকা দু’দিনের অন্তত ১৪ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। তাদের হামলায় কর্মচারী সুরুজ মিয়া (৪০), মুসলিম মিয়া (৩৭) ও জুয়েল ইসলাম (২৮) আহত হয়। তাদের কাউনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, ঘটনার সময় এসআই রওশন আলীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম টোল প্লাজার মাত্র ২০ ফুট দূরে টহলে থাকলেও হামলা ঠেকানোর কোনো উদ্যোগ নেননি তারা। কর্মচারীরা পুলিশের সহযোগিতা চাইলেও তারা সাড়া দেননি বরং ঘটনার পর পুলিশের ওই এসআই টোল প্লাজায় লেগে থাকা রক্তের দাগ পানি দিয়ে ধুয়ে দিয়েছেন। ঘটনাটি খুবই রহস্যজনক। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন তিনি।
টোল প্লাজার ম্যানেজার দাউদ আলী সরদার জানান, ঘটনার সময় পুলিশের নীরব ভূমিকার কারণে ডাকাতরা নির্বিঘ্নে ডাকাতি করে চলে যেতে পেরেছে। ডাকাত দলের সঙ্গে পুলিশের সখ্যতা রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
এ ব্যাপারে পুলিশের টহল দলে থাকা এসআই রওশন আলী জানান, তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে আসতে আসতেই হামলাকারীরা দ্রুত লুটপাট করে চলে যায়।
এ ঘটনায় টোল প্লাজার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি ডাকাতি মামলা করেছেন নাজমুল আলম নাজু।
লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরুন্নবী বৃহস্পতিবার সকালে বলেন, ‘রাতে ঘটনা শোনার পরই ঘটনাস্থলে গেছি। বিষয়টি তদন্ত করছি। পুলিশের গাফিলতি থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’