পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর নিয়ে আলোচনার জন্য ঢাকায় দেশটির অতিরিক্ত সচিব
Published: 5th, March 2025 GMT
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের আমন্ত্রণে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার এপ্রিলের দ্বিতীয়ার্ধে ঢাকায় আসতে পারেন। এই সফরের প্রস্তুতির বিষয়ে আলোচনার জন্য পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিষয়ক) ইমরান আহমেদ সিদ্দিকি বাংলাদেশ সফরে এসেছেন।
আজ বুধবার সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রসচিব মো.
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দুই পক্ষ পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক এবং যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের বৈঠকের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেছে। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিবদের সর্বশেষ বৈঠক ২০১০ সালে এবং যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের শেষ বৈঠকটি হয়েছিল ২০০৫ সালে।
আজকের আলোচনায় দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশের পক্ষে থাকা বাণিজ্যঘাটতি কমাতে সহযোগিতার বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে। দুই পক্ষই পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সাম্প্রতিক সফরে সন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানে পণ্যনির্দিষ্ট বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সফরের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছে। পর্যটন খাতে সহযোগিতা, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ, সাংস্কৃতিক বিনিময়, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের ইস্যু এবং আন্তর্জাতিক ফোরামে সহযোগিতার বিষয়েও আলোচনা হয়। সার্ক, ওআইসি ও ডি-৮–এর মাধ্যমে আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদারের গুরুত্বের কথাও আলোচনায় এসেছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনির সঙ্গে বৈঠকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইমরান আহমেদ সিদ্দিকি। আজ বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প ক স ত ন র পরর ষ ট র পরর ষ ট রসচ ব সহয গ ত
এছাড়াও পড়ুন:
‘বিনা লাভের দোকানে’ নিম্নবিত্তের স্বস্তি
খুলনা নগরীর শিববাড়ী মোড়। গতকাল বুধবার বিকেল ৪টায় সেখানে দেখা মেলে একদল মানুষের জটলা। এগিয়ে গিয়ে দেখা গেল, নতুন একটি দোকানে বসে চিড়া, মুড়ি, সয়াবিন তেল, আলু-পেঁয়াজসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য বিক্রি করছেন তিন-চার যুবক।
দোকানের ওপরে ব্যানারে লেখা– ‘পবিত্র মাহে রমজানে জনমনে স্বস্তি ও বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে বিনা লাভের দোকান। কেনা দামে পণ্য বিক্রি। আয়োজনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও টাস্কফোর্স টিম, খুলনা।’ সেখান থেকে বেশ আগ্রহ নিয়ে পণ্য কিনছিলেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
বিক্রেতারা জানান, তারা সবাই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থী। কোনো লাভ ছাড়াই মোট ১৬ ধরনের পণ্য বিক্রি করছেন। প্রতি কেজি আলু ১৭ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৩৫ টাকা, শসা ২৫ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, ছোলা ৯৫ টাকা, মুড়ি ৬৫ টাকা, বেসন ৬০ টাকা, চিড়া ৬০ টাকা, টমেটো সাড়ে ৭ টাকা, কাঁচামরিচ ৪০ টাকা, রসুন ১০০ টাকা, ডিম প্রতি পিস ১০ টাকা, সয়াবিন তেল এক লিটারের বোতল ১৭৫ টাকা এবং লেবু প্রতি হালি ২৭ টাকায় বেচছেন। এ ছাড়া রয়েছে ধনিয়া পাতা ও বোম্বাই মরিচ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন খুলনার বাজার নিয়ন্ত্রণ টাস্কফোর্সের সদস্য হৃদয় ঘরামী জানান, গত অক্টোবরে বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে তারা নগরীর শিববাড়ী মোড়, বয়রা বাজার, নতুন বাজার, গল্লামারী, দৌলতপুর বাসস্ট্যান্ড ও খালিশপুর চিত্রালী মার্কেটে ‘বিনা লাভের দোকান’ চালু করেছিলেন। তখন ক্রেতাদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পান। রোজার সময় একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী আবারও সিন্ডিকেট করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এ কারণে তারা আবারও এ দোকান চালু করেছেন।
তিনি আরও জানান, প্রথমে শিববাড়ী মোড়ে এ দোকান চালু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরও কয়েকটি পয়েন্টে চালু করা হবে। রমজানজুড়ে তাদের এ কার্যক্রম চলবে। হৃদয় বলেন, তারা পণ্য কেনার পর পরিবহন খরচসহ মূল্য নির্ধারণ করছেন। শিক্ষার্থীরা স্বেচ্ছাশ্রমে এগুলো বিক্রি করছেন। প্রতিদিন বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ দোকান চালু থাকবে।
বাজার মনিটরিং কন্ট্রোল টিম সদস্য ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাঈম মল্লিক, টিম সদস্য আরিফুল ইসলাম সানি ও রাইসা ইসলাম জানান, মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মূলত বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেশি। সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য না কমা পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে।
শিক্ষার্থীরা জানান, নিজেদের টাকায় পণ্য কিনে এনে বিক্রি করছেন তারা। কারও কাছ থেকে কোনো অনুদান নেননি।
এই দোকান থেকে আলু, পেঁয়াজ, সয়াবিন তেল ও মুড়ি কেনার পর ইজিবাইক চালক ইসমাইল হোসেন বলেন, বাজারের তুলনায় এখানে দাম অনেক কম। নগরীর আরও কিছু পয়েন্টে এ ধরনের দোকান চালু করলে লোকজন রোজায় কম দামে জিনিসপত্র কিনতে পারত।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী আলম শেখ বলেন, বাড়ি যাওয়ার সময় লোকের ভিড় দেখে এলাম। আমি ছয় আইটেম কিনেছি। নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য খুবই ভালো উদ্যোগ। তবে আরও কিছু পণ্য এবং বিক্রির পয়েন্ট বৃদ্ধি করলে ভালো হবে। তাহলে আরও অনেকে উপকৃত হবেন। শিক্ষার্থীরা অসাধারণ একটি উদ্যোগ নিয়েছে।