নিজের তৈরি উড়োজাহাজ উড়ানো জুলহাসের পাশে তারেক রহমান
Published: 5th, March 2025 GMT
নিজের তৈরি উড়োজাহাজ আকাশে উড়িয়ে করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন মানিকগঞ্জের জুলহাস মোল্লা। এ নিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন তরুণ উদ্ভাবক জুলহাস। এবার তার পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বুধবার দুপুরে শিবালয় উপজেলার জাফরগঞ্জ বাজারে গিয়ে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে জুলহাস মোল্লার হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন। এ সময় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আফরোজা খান রিতাসহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জুলহাস মোল্লা দৌলতপুর উপজেলার জিয়নপুর বিকেএস উচ্চ বিদ্যালয় থেকে থেকে ২০১৪ সালে এসএসসি পাশ করেন। কলেজে ভর্তি হলেও অর্থাভাবে পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি। বাড়িতে থেকেই ঢাকায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রির কাজ করেন তিনি। উদ্ভাবনী ইচ্ছা থেকে চার বছরের চেষ্টায় উড়োজাহাজ নির্মাণ করেন জুলহাস। মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে আকাশে সেই উড়োজাহাজ আকাশে উড়াতে সক্ষম হন তিনি। বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রচার হয়।
‘আমরা বিএনপি পরিবার’ এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন বলেন, জুলহাস মোল্লার গবেষণাকাজে সহযোগিতা করবে বিএনপি। তারেক রহমানের নির্দেশে আজ আমরা তার পাশে দাঁড়িয়েছি। এ ধরনের উদ্ভাবকদের পাশে সমাজের বৃত্তবানদের দাঁড়ানো উচিত। তাহলে দেশে নতুন নতুন উদ্ভাবক সৃষ্টি হবে।
জুলহাস মোল্লা বলেন, তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আমাকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ায় খুব খুশি হয়েছি। বিএনপিকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ তৈরির স্বপ্ন আছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ত র ক রহম ন ম ন কগঞ জ ব এনপ ত র ক রহম ন রহম ন র ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
‘বিনা লাভের দোকানে’ নিম্নবিত্তের স্বস্তি
খুলনা নগরীর শিববাড়ী মোড়। গতকাল বুধবার বিকেল ৪টায় সেখানে দেখা মেলে একদল মানুষের জটলা। এগিয়ে গিয়ে দেখা গেল, নতুন একটি দোকানে বসে চিড়া, মুড়ি, সয়াবিন তেল, আলু-পেঁয়াজসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য বিক্রি করছেন তিন-চার যুবক।
দোকানের ওপরে ব্যানারে লেখা– ‘পবিত্র মাহে রমজানে জনমনে স্বস্তি ও বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে বিনা লাভের দোকান। কেনা দামে পণ্য বিক্রি। আয়োজনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও টাস্কফোর্স টিম, খুলনা।’ সেখান থেকে বেশ আগ্রহ নিয়ে পণ্য কিনছিলেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
বিক্রেতারা জানান, তারা সবাই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থী। কোনো লাভ ছাড়াই মোট ১৬ ধরনের পণ্য বিক্রি করছেন। প্রতি কেজি আলু ১৭ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৩৫ টাকা, শসা ২৫ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, ছোলা ৯৫ টাকা, মুড়ি ৬৫ টাকা, বেসন ৬০ টাকা, চিড়া ৬০ টাকা, টমেটো সাড়ে ৭ টাকা, কাঁচামরিচ ৪০ টাকা, রসুন ১০০ টাকা, ডিম প্রতি পিস ১০ টাকা, সয়াবিন তেল এক লিটারের বোতল ১৭৫ টাকা এবং লেবু প্রতি হালি ২৭ টাকায় বেচছেন। এ ছাড়া রয়েছে ধনিয়া পাতা ও বোম্বাই মরিচ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন খুলনার বাজার নিয়ন্ত্রণ টাস্কফোর্সের সদস্য হৃদয় ঘরামী জানান, গত অক্টোবরে বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে তারা নগরীর শিববাড়ী মোড়, বয়রা বাজার, নতুন বাজার, গল্লামারী, দৌলতপুর বাসস্ট্যান্ড ও খালিশপুর চিত্রালী মার্কেটে ‘বিনা লাভের দোকান’ চালু করেছিলেন। তখন ক্রেতাদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পান। রোজার সময় একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী আবারও সিন্ডিকেট করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এ কারণে তারা আবারও এ দোকান চালু করেছেন।
তিনি আরও জানান, প্রথমে শিববাড়ী মোড়ে এ দোকান চালু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরও কয়েকটি পয়েন্টে চালু করা হবে। রমজানজুড়ে তাদের এ কার্যক্রম চলবে। হৃদয় বলেন, তারা পণ্য কেনার পর পরিবহন খরচসহ মূল্য নির্ধারণ করছেন। শিক্ষার্থীরা স্বেচ্ছাশ্রমে এগুলো বিক্রি করছেন। প্রতিদিন বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ দোকান চালু থাকবে।
বাজার মনিটরিং কন্ট্রোল টিম সদস্য ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাঈম মল্লিক, টিম সদস্য আরিফুল ইসলাম সানি ও রাইসা ইসলাম জানান, মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মূলত বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেশি। সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য না কমা পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে।
শিক্ষার্থীরা জানান, নিজেদের টাকায় পণ্য কিনে এনে বিক্রি করছেন তারা। কারও কাছ থেকে কোনো অনুদান নেননি।
এই দোকান থেকে আলু, পেঁয়াজ, সয়াবিন তেল ও মুড়ি কেনার পর ইজিবাইক চালক ইসমাইল হোসেন বলেন, বাজারের তুলনায় এখানে দাম অনেক কম। নগরীর আরও কিছু পয়েন্টে এ ধরনের দোকান চালু করলে লোকজন রোজায় কম দামে জিনিসপত্র কিনতে পারত।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী আলম শেখ বলেন, বাড়ি যাওয়ার সময় লোকের ভিড় দেখে এলাম। আমি ছয় আইটেম কিনেছি। নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য খুবই ভালো উদ্যোগ। তবে আরও কিছু পণ্য এবং বিক্রির পয়েন্ট বৃদ্ধি করলে ভালো হবে। তাহলে আরও অনেকে উপকৃত হবেন। শিক্ষার্থীরা অসাধারণ একটি উদ্যোগ নিয়েছে।