প্রশাসনের নির্ধারিত দর মানছেন না কেউ, বাজারে সয়াবিন তেল ১৯০ টাকার বেশি
Published: 5th, March 2025 GMT
চট্টগ্রাম নগরের বাদুরতলা এলাকার বাসিন্দা আবদুল্লাহ আল মামুন। পত্রপত্রিকায় খবর পেয়েছেন, চট্টগ্রামে খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেঁধে দিয়েছে প্রশাসন। সে আশায় নগরের বহদ্দারহাট বাজারে এসেছেন তিনি। তবে বাজারে এসে দেখলেন ভিন্ন চিত্র। প্রশাসন যে দাম নির্ধারণ করেছে, তার থেকে ৩০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে খোলা সয়াবিন।
আজ বুধবার সকালে বহদ্দারহাট কাঁচাবাজারে কথা হয় পেশায় চাকরিজীবী মামুনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘গতকাল মঙ্গলবার ফেসবুকে ও আজ বুধবার সকালে পত্রিকাতেও দেখলাম, খোলা সয়াবিন ১৬০ টাকার বেশি দামে বিক্রি করা যাবে না। অথচ বাজারে প্রতি লিটার সয়াবিন ১৯২ টাকা চাইছে। তারা তো প্রশাসনকেও মানছে না।’
মামুনের মতো অধিকাংশ ক্রেতাই সয়াবিনের দাম নিয়ে ক্ষোভ ঝাড়লেন। দেশে গত নভেম্বর মাস থেকে সয়াবিনের বাজারে সংকট। বাজারে খোলা সয়াবিনের দাম বাড়তি আবার বোতলজাত সয়াবিন প্রায় নেই–ই বলা চলে। গত ৯ ডিসেম্বর সরকার খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৫৭ ও বোতলজাত সয়াবিনের দাম প্রতি লিটার ১৭৫ টাকা নির্ধারণ করে দেয়।
তবে এ দামে বাজারে বিক্রি হচ্ছে না সয়াবিন তেল। এর মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার আমদানিকারক, মিলমালিক, পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে খোলা সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করে দেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র শাহাদাত হোসেন ও জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম। এতে আগামী ১০ এপ্রিল পর্যন্ত খোলা সয়াবিন পাইকারি পর্যায়ে ১৫৫ এবং খুচরা পর্যায়ে সর্বোচ্চ ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। তবে এ দর কার্যকর হয়নি বাজারে।
নগরের বহদ্দারহাট ও চকবাজার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা দোকানগুলোতে খোলা সয়াবিনের দাম প্রতি লিটার ১৯০ থেকে ১৯৩ টাকা চাওয়া হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি বাজার থেকে তাঁরা আগে বেশি দরে কিনেছেন। সেই তেল শেষ হলে এরপর নতুন তেল কিনবেন। পাইকারি বাজার থেকে কম দামে কিনতে পারলে কম দামে বিক্রিতে তাঁদের আপত্তি নেই।
পবিত্র রমজানে নিত্যপণ্যের দাম তদারকিতে বাজার পরিদর্শন করেন সিটি মেয়র শাহাদাত হোসেন। আজ দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের কাজীর দেউড়ি বাজারে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: নগর র
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজের আগুনে পাঁচজন দগ্ধ
গাজীপুরে একটি বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজের আগুনে পাঁচজন দগ্ধ হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত আটটার দিকে নগরের মোগরখাল মোল্লা মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গাজীপুর নগরের মোগরখাল মোল্লা মার্কেট এলাকার একটি বাসায় গতকাল রাত আটটার দিকে পারভিন আক্তার নামের এক নারী রান্না করছিলেন। এ সময় গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে হঠাৎ আগুন ধরে যায়। এতে পারভিনসহ পাঁচজন দগ্ধ হন। তাঁদের প্রথমে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁদের ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়।
দগ্ধ অন্য চারজন হলেন সীমা আক্তার (৩০), তাসলিমা আক্তার, পারভিন আক্তারের দেড় বছরের ছেলে আয়ান, শেফালী বেগম (৪০) ও তাঁর মেয়ে তানজিলা।
বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কায়সার আহমেদ বলেন, গ্যাস লিকেজ থেকে আগুনে পাঁচজন দগ্ধ হয়েছেন। তাঁদের উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে ওসি জানান, তাসলিমার শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। এ ছাড়া দুজন ৯০ শতাংশ, একজন ৩২ শতাংশ ও অন্য একজন ২৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন।