Prothomalo:
2025-03-06@00:21:09 GMT

রোজা রেখেও কাদের ওজন কমে না

Published: 5th, March 2025 GMT

মূলত খাদ্যাভ্যাসই এ জন্য দায়ী।

রোজার সময় পরিবর্তিত খাদ্যাভ্যাস গ্লুকোজ হোমিওস্টেসিস ও গ্লুকোরেগুলেটরি প্রক্রিয়াগুলোর ওপর প্রভাব ফেলে। ফলে ভিসেরাল ফ্যাট, রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডস ও কোলেস্টেরল, খালি পেটের ইনসুলিন ও গ্লুকোজের অসামঞ্জস্যের কারণে শরীরে বিপাকক্রিয়ায় পরিবর্তন দেখা দেয়। এ কারণে নানা ধরনের ফলাফল খেয়াল করা যায়। যেমন—

ওজন বেড়ে যাওয়া

গবেষণায় দেখা গেছে, রোজার প্রথম ২ সপ্তাহে প্রায় অর্ধেক (৪৮ দশমিক ৫ শতাংশ) মানুষের ওজন বাড়ে। কারণ, দীর্ঘ সময় অভুক্ত থাকার কারণে শরীরে এনার্জি ও পুষ্টির চাহিদা বেশি থাকে। ফলে যাঁদের ইফতারে উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার থাকে, তাঁদের ওজন বাড়বে। উচ্চ ক্যালরির খাবার বলতে অতিরিক্ত চিনি বা এ–জাতীয় খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংকস, বিরিয়ানি, তেহারি, ফ্রায়েড রাইস, পায়া, নেহারি, কিমা পরোটা, মাংসের চর্বিযুক্ত হালিম, বিভিন্ন ধরনের ফাস্ট ফুড (যেখানে ডাবল চর্বি, মেয়োনেজ, মার্জারিন, বাটার, চিজ মেশানো থাকে), প্রক্রিয়াজাত ও প্যাকেটজাত খাবার, এমনকি অতিরিক্ত তেলে ভাজা ইত্যাদি খাবারের কথা বলা হয়েছে। এ ধরনের খাবার প্রতিদিন খাওয়া এবং প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খাওয়া, অন্যদিকে রাতের খাবার খেয়েই শুয়ে পড়া, একইভাবে সাহ্‌রিতে ক্যালরিবহুল খাবার ও পরিমাণে বেশি খাওয়া, তারপর দীর্ঘ সময় ঘুমিয়ে থাকা, পাশাপাশি রোজায় শারীরিক পরিশ্রম কম করার কারণে শরীরে ক্যালরি জমা হওয়ার হার বৃদ্ধি পেয়ে ওজন না কমে বেড়ে যেতে থাকে।

ওজন কমে যাওয়া

রমজানের শেষ ২ সপ্তাহে সাধারণত রোজাদারদের ওজন কমতে (গড়ে আড়াই থেকে পাঁচ কেজি পর্যন্ত) থাকে—এ তথ্যও গবেষণা করে পাওয়া। এ সময়ে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজনের ওজন কমতে থাকে। এটা মূলত রোজার সময়কার ঘুমের ধরন, বিপরীত ধরনের খাওয়ার অভ্যাস ও সময়ের পরিবর্তনে হয়। অনেকের ক্ষেত্রে গভীর রাতে খাবার খাওয়ায় অনীহা দেখা দেয়। ফলে সাহ্‌রি না খাওয়ায় শরীরে ক্যালরির ঘাটতি হয়ে ওজন হ্রাস পায়।

আরও পড়ুনদিনে দুটি খেজুর খেলে কত উপকার, জানেন?০১ মার্চ ২০২৫যা করতে হবেইফতারে টেবিল থেকে ভাজাপোড়া সরিয়ে রাখুন.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ধরন র র ওজন

এছাড়াও পড়ুন:

আলোচনায় রাজি ইউক্রেন, প্রস্তুত রাশিয়াও

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধ বন্ধে আলোচনার টেবিলে বসার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তাঁর কাছ থেকে এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি পাওয়ার কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার রাতে মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে তিনি এ তথ্য জানান। 

ট্রাম্প বলেন, আজ সকালে আমি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির কাছ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ চিঠি পেয়েছি। এতে বলা হয়েছে, ‘স্থায়ীভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আলোচনার টেবিলে আসতে প্রস্তুত ইউক্রেন। ইউক্রেনীয়দের চেয়ে বেশি শান্তি আর কেউ চায় না।’ 

ট্রাম্প জানান, তিনি রাশিয়ার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় আছেন। রাশিয়াও শান্তির জন্য প্রস্তুত আছে– এমন জোরালো ইঙ্গিত পেয়েছেন তিনি। ট্রাম্প বলেন, ‘এটি কি সুন্দর হবে না? এই পাগলামি বন্ধ করার সময় এখন। সময় এখন এসব হত্যাকাণ্ড বন্ধ করার। সময় এখন এই অর্থহীন যুদ্ধ বন্ধ করার। যুদ্ধ বন্ধ করতে চাইলে উভয় পক্ষের সঙ্গেই কথা বলতে হবে।’ ইউক্রেন তাদের মূল্যবান খনিজসম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি করতে প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন ট্রাম্প। এই চুক্তিটি স্বাক্ষর করতেই গত শুক্রবার জেলেনস্কি ওয়াশিংটন গিয়েছিলেন। কিন্তু হোয়াইট হাউসের ওভাল দপ্তরে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের ফলে ট্রাম্পের সঙ্গে জেলেনস্কির আলোচনা ভেস্তে গিয়েছিল। 

এর পর ট্রাম্পের নির্দেশে ইউক্রেনে সব ধরনের মার্কিন সামরিক সহায়তা বন্ধ হয়। পরে জেলেনস্কি ট্রাম্পের মন জয়ের উদ্যোগ নেন। ট্রাম্পের সঙ্গে আচরণ নিয়ে অনুতপ্ত হন তিনি। 

এদিকে ক্রেমলিন বলেছে, রাশিয়া ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি আলোচনার সম্ভাবনা সম্পর্কে আশাবাদী। মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেন, তবে এটি কীভাবে কাজ করবে, তা স্পষ্ট নয়। কারণ, ইউক্রেনের রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার ওপর আইনি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। 

ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট গ্রিনল্যান্ড অধিগ্রহণের বিষয়ে তাঁর আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। ডেনমার্কের স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপটির জনগণকে ধনী বানানোর আশ্বাসও দেন তিনি। ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা তোমাদের নিরাপদ রাখব, আমরা তোমাদের ধনী বানাব। একসঙ্গে আমরা গ্রিনল্যান্ডকে এমন উচ্চতায় নিয়ে যাব, যা তোমরা আগে কখনও কল্পনাও করোনি।’

ভাষণে ট্রাম্প তাঁর পূর্বসূরি জো বাইডেনকে দোষারোপ করেন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ডিমের মূল্যবৃদ্ধির জন্য। তিনি বলেন, ডিমের দাম এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে এবং আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, যুক্তরাষ্ট্রে  এটি আবার সাশ্রয়ী করে তুলব। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ