Prothomalo:
2025-04-25@19:50:16 GMT

রোজা রেখেও কাদের ওজন কমে না

Published: 5th, March 2025 GMT

মূলত খাদ্যাভ্যাসই এ জন্য দায়ী।

রোজার সময় পরিবর্তিত খাদ্যাভ্যাস গ্লুকোজ হোমিওস্টেসিস ও গ্লুকোরেগুলেটরি প্রক্রিয়াগুলোর ওপর প্রভাব ফেলে। ফলে ভিসেরাল ফ্যাট, রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডস ও কোলেস্টেরল, খালি পেটের ইনসুলিন ও গ্লুকোজের অসামঞ্জস্যের কারণে শরীরে বিপাকক্রিয়ায় পরিবর্তন দেখা দেয়। এ কারণে নানা ধরনের ফলাফল খেয়াল করা যায়। যেমন—

ওজন বেড়ে যাওয়া

গবেষণায় দেখা গেছে, রোজার প্রথম ২ সপ্তাহে প্রায় অর্ধেক (৪৮ দশমিক ৫ শতাংশ) মানুষের ওজন বাড়ে। কারণ, দীর্ঘ সময় অভুক্ত থাকার কারণে শরীরে এনার্জি ও পুষ্টির চাহিদা বেশি থাকে। ফলে যাঁদের ইফতারে উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার থাকে, তাঁদের ওজন বাড়বে। উচ্চ ক্যালরির খাবার বলতে অতিরিক্ত চিনি বা এ–জাতীয় খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংকস, বিরিয়ানি, তেহারি, ফ্রায়েড রাইস, পায়া, নেহারি, কিমা পরোটা, মাংসের চর্বিযুক্ত হালিম, বিভিন্ন ধরনের ফাস্ট ফুড (যেখানে ডাবল চর্বি, মেয়োনেজ, মার্জারিন, বাটার, চিজ মেশানো থাকে), প্রক্রিয়াজাত ও প্যাকেটজাত খাবার, এমনকি অতিরিক্ত তেলে ভাজা ইত্যাদি খাবারের কথা বলা হয়েছে। এ ধরনের খাবার প্রতিদিন খাওয়া এবং প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খাওয়া, অন্যদিকে রাতের খাবার খেয়েই শুয়ে পড়া, একইভাবে সাহ্‌রিতে ক্যালরিবহুল খাবার ও পরিমাণে বেশি খাওয়া, তারপর দীর্ঘ সময় ঘুমিয়ে থাকা, পাশাপাশি রোজায় শারীরিক পরিশ্রম কম করার কারণে শরীরে ক্যালরি জমা হওয়ার হার বৃদ্ধি পেয়ে ওজন না কমে বেড়ে যেতে থাকে।

ওজন কমে যাওয়া

রমজানের শেষ ২ সপ্তাহে সাধারণত রোজাদারদের ওজন কমতে (গড়ে আড়াই থেকে পাঁচ কেজি পর্যন্ত) থাকে—এ তথ্যও গবেষণা করে পাওয়া। এ সময়ে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজনের ওজন কমতে থাকে। এটা মূলত রোজার সময়কার ঘুমের ধরন, বিপরীত ধরনের খাওয়ার অভ্যাস ও সময়ের পরিবর্তনে হয়। অনেকের ক্ষেত্রে গভীর রাতে খাবার খাওয়ায় অনীহা দেখা দেয়। ফলে সাহ্‌রি না খাওয়ায় শরীরে ক্যালরির ঘাটতি হয়ে ওজন হ্রাস পায়।

আরও পড়ুনদিনে দুটি খেজুর খেলে কত উপকার, জানেন?০১ মার্চ ২০২৫যা করতে হবেইফতারে টেবিল থেকে ভাজাপোড়া সরিয়ে রাখুন.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ধরন র র ওজন

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় চাপাতিসহ তিন ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার

বগুড়ায় চাপাতিসহ তিন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। বৃহস্পতিবার রাতে শহরের কলোনি বটতলা ও সদর থানার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় একটি ধারালো চাপাতি ও ছিনতাই করা নগদ ১৪ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তাররা হলেন- শাজাহানপুর উপজেলার লতিফপুর মধ্যপাড়া এলাকার আজিজ শেখের ছেলে আরিফ শেখ, চকফরিদ কলোনির আব্দুল খালেক বাদলের ছেলে তারিকুল ইসলাম তারেক এবং একই উপজেলার গন্ডগ্রামের খোরশেদ আলম বুদুর ছেলে জাহিদ হোসেন।

ডিবি সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২১ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বগুড়া শহরের চকফরিদ কলোনির ফাতেমা কোর্টেজের সামনে যমুনা গ্যাস সিলিন্ডারের ডিলার মোছা. আম্বিয়া খাতুনের ম্যানেজার মো. তারেকের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় একদল ছিনতাইকারী। তারা ম্যানেজারকে ছুরিকাঘাত করে ৯ লাখ ১৬ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় পরদিন বগুড়া সদর থানায় একটি মামলা হয়।

গোয়েন্দা পুলিশ এ ঘটনায় প্রথমে বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের কলোনি বটতলা এলাকা থেকে আরিফ শেখকে গ্রেপ্তার করে। তার প্যান্টের কোমরের পেছনে লুকানো অবস্থায় ১৫ ইঞ্চি লম্বা একটি ধারালো চাপাতি উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ওইদিন রাতেই সদর থানার বিভিন্ন এলাকা থেকে বাকিদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ছিনতাই করা ১৪ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

বগুড়া ডিবির ইনচার্জ ইকবাল বাহার বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাদের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র ও বাকি টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ