‘ওয়ানডেতে কোহলিই সর্বকালের সেরা’—বলছেন তাঁরা
Published: 5th, March 2025 GMT
তাঁরা বলার বেশ আগেই বিষয়টি অনেকের চোখে প্রতিষ্ঠিত। তাঁরা মুখ ফুটে বলায় ব্যাপারটি আরও শক্ত ভিত পেল, এ–ই যা। আগামী দিনগুলোয় হয়তো এ নিয়ে আর তর্কের অবকাশও থাকবে না। বিরাট কোহলি সে সুযোগটাও হয়তো রাখবেন না!
কিসের সুযোগ? সর্বকালের সেরা ওয়ানডে খেলোয়াড় কে—এ নিয়ে তর্কের সুযোগ।
দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে গতকাল অস্ট্রেলিয়ার ২৬৪ রান তাড়া করতে নেমে ম্যাচ জেতানো ৯৮ বলে ৮৪ রানের ইনিংস খেলেন কোহলি। এরপর সুর উঠেছে, কোহলিই ওয়ানডেতে সর্বকালের সেরা। কেউ আবার বলছেন, রান তাড়ায় ওয়ানডেতে কোহলিই সব যুগ মিলিয়ে শেষ কথা। অর্থাৎ ওয়ানডেতে কোহলিই রান তাড়ায় সর্বকালের সেরা।
যাঁরা এই সুর তুলেছেন, তাঁদের নামগুলো কিন্তু মোটেও হালকা-পাতলা নয়। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে বিশ্বকাপজয়ী সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক, একই দেশের হয়ে দুবার বিশ্বকাপজয়ী স্টিভেন স্মিথ এবং ভারতের হয়ে বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তি অলরাউন্ডার কপিল দেব।
গতকাল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে ম্যাচসেরা হয়েছেন বিরাট কোহলি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
৩৬ কোম্পানি থেকে বিশ্বের অর্ধেক কার্বন ডাইঅক্সাইড
জলবায়ু পরিবর্তন ও তাপমাত্রা বাড়ানোর জন্য দায়ী কার্বন ডাইঅক্সাইডের অর্ধেক উৎপাদন করে মাত্র ৩৬টি কোম্পানি। এসব জীবাশ্ম জ্বালানি কোম্পানি বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়াতে বড় ভূমিকা রাখছে। এ কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে সৌদি আরবের আরামকো, ভারতের কোল, এক্সন মোবিল, শেল ও চীনের বেশ কয়েকটি কোম্পানি। এগুলোর উৎপাদিত কয়লা, তেল ও গ্যাসের কারণে ২০২৩ সালে ২০ বিলিয়ন টনের বেশি কার্বন ডাইঅক্সাইড উৎপন্ন হয়েছে।
গতকাল বুধবার দ্য গার্ডিয়ান অনলাইনে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে। প্রতিবেদনে ২০২৩ সালের জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার ও প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমিত রাখতে হলে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণ অবশ্যই ৪৫ শতাংশ কমাতে হবে। কিন্তু এখনও কার্বন নিঃসরণের এ ধারা ঊর্ধ্বগামী, যা বিশ্বব্যাপী চরম ভাবাপন্ন আবহাওয়াকে উস্কানি দিচ্ছে।
আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থা বলছে, ২০২১ সালের পর যেসব জীবাশ্ম জ্বালানি সংস্থা যাত্রা শুরু করেছে, তারা ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন ঠেকাতে যথাযত পদক্ষেপ নিচ্ছে না। বিশ্বের প্রভাবশালী ১৬৯ কোম্পানির মধ্যে অধিকাংশই ২০২৩ সালে তাদের কার্বন নিঃসরণ না কমিয়ে উল্টো বাড়িয়েছে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনফ্লুয়েন্স ম্যাপের এমেট্টি কোনেয়ার বলেন, জলবায়ু নিয়ে বৈশ্বিক অঙ্গীকার সত্ত্বেও বিশ্বের বড় জীবাশ্ম জ্বালানি কোম্পানিগুলোর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য হারে কার্বন নিঃসরণ বাড়াচ্ছে।
কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গমনে দায়ী বিশ্বের ৩৬ কোম্পানির মধ্যে আরও আছে চীনের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত কোম্পানি চায়না এনার্জি, ইরানের জাতীয় তেল কোম্পানি, রাশিয়ার গ্যাজপ্রম ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের এডনক। বলা বাহুল্য, জীবাশ্ম জ্বালানির সবচেয়ে বেশি ব্যবহার দেখা যায় পশ্চিমের দেশগুলোতে।