আশুলিয়ায় পোশাক কারখানায় আগুন, আহত ৫
Published: 5th, March 2025 GMT
ঢাকা শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় একটি পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এতে পাঁচ শ্রমিক আহত হয়েছে।
বুধবার (৫ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে শিল্পাঞ্চলের বারইপাড়া এলাকায় তানজিলা টেক্সটাইল লিমিটেড কারখানায় আগুন লাগে। খবর পেয়ে ডিইপিজেড ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট ৩০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রাথমিকভাবে আহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
আরো পড়ুন:
পাবনায় অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ গেল গৃহণবধূর
বরিশালে যুবদল নেতাকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্তের বাড়িতে আবার আগুন
ফায়ার সার্ভিস সুত্রে জানায়, কারখানার ফিনিশিং ফ্লোরে মেশিন থেকে আগুন লাগে। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ৩০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে পাঁচ জন আহত হয়েছে। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ডিইপিজেড ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার প্রণব চৌধুরী জানান, আহতদের দুজনের অবস্থা গুরুতর। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা যায়নি।
ঢাকা/সাব্বির/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কোটা চালু করা হয়েছে: বিন ইয়ামিন
রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ৫ শতাংশ কোটার অবতারণা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা।
তিনি বলেছেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়া, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করতে না পারা, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের তালিকা প্রকাশ করতে না পারা, আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত না করাসহ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নানামুখী ব্যর্থতা রয়েছে। এ ব্যর্থতা ঢাকতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ৫ শতাংশ কোটার অবতারণা করা হয়েছে।”
সোমবার (৩ মার্চ) দুপুর সোয়া ২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদেরও সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ৫ শতাংশ কোটা প্রদানের বিরোধিতা করে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আরো পড়ুন:
আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে গণঅবস্থানের ১৮ দিন
নাগরিক পার্টির যুগ্ম-আহ্বায়ক সাবেক ছাত্রদল নেতা
এ সময় নেতাকর্মীরা- ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাই নাই’, ‘২৪ এর বাংলায়, কোটার ঠাই নাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, “আমরা মনে করি এ কোটা প্রথা চালুর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে। বর্তমান সরকার রাষ্ট্র সংস্কার, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ, শহীদ ও আহতদের পরিবারকে পুনর্বাসন করা, আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করা, দেশের প্রতিটি সেক্টরকে স্বৈরাচার মুক্ত করাসহ সব বিষয়ে ব্যর্থ হয়েছে। এ সরকার দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করতে পারেনি। মানুষের এখন নিরাপত্তা নেই। এ পরিস্থিতিতে তাদের ব্যর্থতা ধামাচাপা দিতে কোটার অবতারণা করেছে।”
তিনি বলেন, “আমরা ২০১৮ সাল থেকে সারাদেশে কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছি। যার ধারাবাহিকতায় শেখ হাসিনার পতন হয়েছে। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব বিশ্ববিদ্যালয়ের পোষ্য কোটার বিলুপ্তির দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে বর্তমান সরকার আবারো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কোটা পুনর্বহাল করছে। আমরা চাই এ কোটা প্রথা বাতিল করা হোক। অন্যথায় ছাত্র অধিকার পরিষদ তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবে।”
ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাবি আহ্বায়ক সানাউল্লাহ হক বলেন, “যে কোটার কারণে শেখ হাসিনার পতন হয়েছে, আমরা চাই না কোটার কারণে বর্তমান সরকারের অধঃপতন না হয়। শেখ হাসিনা যে খেলায় ব্যর্থ হয়েছে, আমরা চাই না আপনারা আবার সে খেলায় ব্যর্থ হন। আপনারা মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী রাষ্ট্র সংস্কার ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার কাজে মনোযোগ দিন। মানুষের আশা-আকাঙ্খার বাস্তবায়ন করতে ও নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে আপনারা সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করুন।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য সচিব রাকিবুল হাসান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক অফিসে আদেশে বলা হয়েছে, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের পাশাপাশি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদেরও সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ৫ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে। তবে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের পাওয়া না গেলে মেধা তালিকা থেকে এই আসনে ভর্তি করতে হবে। কোনে অবস্থায় আসন শূন্য রাখা যাবে না।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী