বাংলাদেশ থেকে লেবাননে কর্মী পাঠানোর ওপর যে নিষেধাজ্ঞা ছিল, তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। লেবাননে ইসরায়েলের হামলার কারণে দেশটিতে পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হওয়ায় কর্মী পাঠানো বন্ধ ছিল। পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় এখন থেকে আবার লেবাননে যেতে পারবেন বাংলাদেশি কর্মীরা।

বুধবার (৫ মার্চ) লেবাননে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, লেবাননে শর্তসাপেক্ষে কর্মী পাঠানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

শর্তগুলো হলো-

১.

 প্রতিটি চাহিদাপত্র অবশ্যই বৈরুতের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে সত্যায়িত হতে হবে।

২. ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল ব্যতীত অন্যান্য এলাকায় উপযুক্ত কর্মপরিবেশ সাপেক্ষে কর্মী পাঠাতে হবে।

লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ থেকে কর্মী পাঠানো বন্ধ করে দেওয়া হয়। গত বছরের ৮ আগস্ট বাংলাদেশ দূতাবাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে লেবাননে না যাওয়ার পরামর্শ দেয়।

গত বছরের ১৩ আগস্ট প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে লেবাননে বাংলাদেশি কর্মীদের না যাওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।

ফলে, গত ৭ মাস ধরে লেবাননে বাংলাদেশি কর্মীদের যাওয়া বন্ধ ছিল। যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে লেবানন থেকে বাংলাদেশি কর্মীদের ফিরিয়ে আনতে শুরু করে সরকার। গত বছরের ২১ অক্টোবর লেবানন থেকে বিশেষ ফ্লাইটে করে বাংলাদেশিদের ফেরত আনা শুরু হয়। এর পর ধাপে ধাপে ১৯টি ফ্লাইটে মোট ১ হাজার ২৪৬ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত আনা হয়।

সম্প্রতি বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়, লেবাননে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। ফলে, সে দেশে কর্মী পাঠানো যেতে পারে। এর পরিপ্রেক্ষিতে লেবাননে পুনরায় কর্মী পাঠানোর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ঢাকা/হাসান/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর স থ ত ল ব নন

এছাড়াও পড়ুন:

পুতিনকে ছয়টি হাতি উপহার মিয়ানমার জান্তার

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ছয়টি হাতি উপহার দিয়েছেন মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্ল্যাইং। মঙ্গলবার মস্কো সফরের সময় এ উপহার দেন তিনি। খবর বার্তা সংস্থা তাসের।

সম্প্রতি রাশিয়ার কাছ থেকে ছয়টি যুদ্ধবিমান কিনেছে মিয়ানমার। বিশ্লেষকরা মনে করেন, রাশিয়া ও মিয়ানমারের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করার একটি প্রয়াস এ হাতি উপহার। অনেকে একে ‘হাতি কূটনীতি’ বলছেন। মঙ্গলবার ক্রেমলিনে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন জান্তাপ্রধান।

বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়। মিয়ানমারে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চুক্তিতেও সই হয়। রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত পরমাণু বিদ্যুৎ কোম্পানি রোসাটমের অর্থায়ন ও তত্ত্বাবধানে মিয়ানমারে ১০০ মেগাওয়াটের একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। এ কেন্দ্র নির্মাণ শেষে পরিচালনার দায়িত্বও রোসাটমের হাতে থাকবে।

রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, ২০২৪ সালে দুই দেশের বাণিজ্য ৫০ শতাংশ বেড়েছে। উপহারের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আপনার এ বন্ধুত্বপূর্ণ উপহারের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। হাতিগুলো ইতোমধ্যেই মস্কোর চিড়িয়াখানায় স্থানান্তর করা হয়েছে।’ মিয়ানমারে সামরিক সহায়তা অব্যাহত রাখারও আশ্বাস দেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ