গাইবান্ধায় বিএসটিআই (বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন) এর নীতিমালা অনুযায়ী ইটের গুণগত মান রক্ষা না করে অবৈধভাবে ইটভাটা পরিচালনা করার অপরাধে ৫২টি ইটভাটা মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বিএসটিআই রংপুর অফিস। 

৫২টি ইটভাটার মধ্যে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ১৭টি, পলাশবাড়ী উপজেলায় ১৭টি, সাদুল্লাপুর উপজেলায় ৯টি, গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ৪টি, সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ৪টি এবং সাঘাটা উপজেলায় ১টি ইটভাটা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।

বুধবার (৫ মার্চ) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিএসটিআইয়ের রংপুর বিভাগীয় অফিস প্রধান ও উপপরিচালক (পদার্থ) মুবিন-উল-ইসলাম।

তিনি বলেন, “গত ফেব্রুয়ারি মাসে গাইবান্ধার সাতটি উপজেলায় বিভিন্ন সময়ে বিএসটিআইয়ের রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের উদ্যোগে সার্ভিল্যান্স অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে গুণগত মান পরীক্ষণ সাপেক্ষে বিএসটিআইয়ের লাইসেন্স গ্রহণ বা নবায়ন সাপেক্ষে ইট উৎপাদনের নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এরপরও যেসব ইটভাটা লাইসেন্স গ্রহণ বা নবায়ন প্রক্রিয়া না করেই উৎপাদন চালু রেখেছিল, তাদের বিরুদ্ধে বিএসটিআই আইন ২০১৮-এর ২১ ধারা মোতাবেক গাইবান্ধা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বরাবর নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।”

তিনি আরও বলেন, “অভিযান পরিচালনার সময় এবং মামলা দেওয়ার আগের দিনও এইসব ইটভাটা মালিককে বারবার সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা আমাদের সতর্কবার্তায় কর্ণপাত করেননি। ইটের গুণগত মান রক্ষায় বিএসটিআইয়ের এ ধরনের অভিযান আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। প্রতি তিন বছর পর পর এই লাইসেন্স নবায়ন করতে হয়।”

এদিকে সারা দেশের সব অবৈধ ইটভাটা চার সপ্তাহের মধ্যে গুঁড়িয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সব বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসিকে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করে আগামী ১৭ মার্চ প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। গত মাসের ২৪ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। 

সদর উপজেলা ইটভাটা মালিক সভাপতি আয়ান উদ্দিন বলেন, “মামলার বিষয়টি আমার জানা নেই। আগামী ১১ মার্চ জেলা প্রশাসক কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করা হবে।” 

উল্লেখ্য, পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী গাইবান্ধা জেলায় ১২৬টি ইটভাটার মধ্যে বৈধ ইটভাটার সংখ্যা মাত্র ১৬টি।

ঢাকা/মাসুম/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসট আইয় র উপজ ল য় ইটভ ট

এছাড়াও পড়ুন:

গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগ, ‘মিডিয়া ট্রায়াল’ বন্ধের দাবি পরীমনির

চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এক বছরের সন্তানকে খাবার খাওয়ানোকে কেন্দ্র করে গৃহকর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে নায়িকার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পিংকি আক্তার গত বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার ভাটারা থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনার পর গতকাল দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন পরীমনি। ২১ মিনিট ৬ সেকেন্ডের দীর্ঘ এই ফেসবুক লাইভে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ আইনিভাবে মোকাবিলার কথা জানান ঢাকাই ছবির এই নায়িকা।

ফেসবুক লাইভের শুরুতেই নিজের টিমের সদস্যদের নিয়ে পরীমনি বলেন, ‘আপনারা আমার বিগত জীবনযাপন দেখলেই বুঝবেন, কোনো আত্মীয়স্বজন নিয়ে আমার জীবনযাপন না, আমার পুরো পরিবারটাই হলো আমার স্টাফদের নিয়ে। বিভিন্ন বিশেষ দিবসে তাদের নিয়ে লেখালেখি করতাম। মাদার্স ডে, ফাদার্স ডে যা–ই বলেন না কেন, কারণ আমি তাদের নিয়েই থাকি। সেখানে একজন আমার গৃহকর্মী, যে এক মাসও হয়নি না আসলে...সে দাবি করতেই পারে (গৃহকর্মী হিসেবে), তবে আমি বলব সে আমার গৃহকর্মী না।’

পরীমনি

সম্পর্কিত নিবন্ধ