রাজধানীর গাবতলী বেড়িবাঁধে অভিযান চালিয়ে ইট, বালু ও পাথরের আড়তসহ অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। 

বুধবার (৫ মার্চ) এ অভিযান চালায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। এ সময় ইট, পাথর ও বালুর আড়তদারদের মালামাল সরিয়ে নিতে সাত দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়।

উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন, সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা খানম এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.

শাহীদুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ এবং প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান।

সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ডিএনসিসির প্রশাসক বলেছেন, “সিটি কর্পোরেশনের সম্পত্তিগুলো দখলমুক্ত করা আমাদের দায়িত্ব। সিটি কর্পোরেশনের জায়গা দখলমুক্ত করে মাঠ ও পার্ক করা হবে। খালি জায়গা, মাঠ, পার্ক জনগণের সম্পত্তি। ঢাকা শহরের মানুষ এসব মাঠে ও পার্কে যাবে, খালি জায়গায় ঘোরাফেরা করবে। এটা জনগণের অধিকার। বর্তমানে ঢাকা শহরে খালি জায়গায় অভাব। সিটি কর্পোরেশনের অনেকগুলো জায়গা আছে, সেগুলো থেকে রাজস্ব আহরণ করা হয়। এই বেড়িবাঁধের (গাবতলী বেড়িবাঁধ) দুই পাশে ডিএনসিসির প্রায় ১৫০ একর জায়গা আছে। বেশিরভাগ জায়গা দীর্ঘদিন ধরে বেদখল আছে। এগুলো আমরা উদ্ধার করব। আজ উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। অভিযান ধারাবাহিকভাবে চলবে।”

তিনি আরো বলেন, “এখানে (গাবতলী বেড়িবাঁধ) অবৈধভাবে দখল করে নানা কর্মকাণ্ড করা হচ্ছে। ইট-পাথরের আড়তসহ নানা বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড করছে অবৈধভাবে। তারা সিটি কর্পোরেশন থেকে কোনো ধরনের অনুমতি নেয়নি, একটি পয়সাও এখান থেকে সিটি কর্পোরেশন রাজস্ব পাচ্ছে না। অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করতে কোনো নোটিসের প্রয়োজন নেই। তারা আমাদের না জানিয়ে দখল করেছে। দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে এ জায়গা উদ্ধার করা হবে।”

সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসির প্রশাসক বলেন, “এখানে ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলেছি। তাদেরকে সাত দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে তাদের মালামাল সরিয়ে নিতে হবে অথবা তারা বৈধ উপায়ে সিটি কর্পোরেশনকে ভাড়া দিয়ে ব্যবসা করবেন। এর মধ্যে আমাদের সংশ্লিষ্ট বিভাগ সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী ভাড়া নির্ধারণ করবে। কোনো প্রকার অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ দখলদারিত্ব আর চলবে না।” 

ঢাকা/এএএম/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ড এনস স র প র গ বতল

এছাড়াও পড়ুন:

‌‘দেশের ভেতরেই শিক্ষার্থীরা তাদের ভবিষ্যত দেখতে পাবে এমন শিক্ষাব্যবস্থার স্বপ্ন দেখি’

নতুন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার) বলেছেন, ‌‘আমি এমন শিক্ষাব্যবস্থার স্বপ্ন দেখি, যেখানে আমাদের শিক্ষার্থীরা দেশের ভেতরেই তার ভবিষ্যত দেখতে পাবে এবং বাংলাদেশ থেকেই বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে। এটা হয়তো একদিনে হবে না, এক বছরে হবে না কিংবা ৫ বছরে হবে না। কিন্তু তার জন্য ভিত্তিটি তৈরি করে দেওয়া, ইতোমধ্যে অনেকগুলো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

বুধবার দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণের পর সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেছেন। শপথ নিয়ে তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অফিস করেছেন। মন্ত্রণালয়ে তাঁকে স্বাগত জানান মন্ত্রণালয়ে বিদায়ী এবং বর্তমানে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জুবায়ের এবং কারিগরি এ মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম। 

উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশে বড় রকমের একটা পরিবর্তন এসেছে। আমরা ভাবিনি আমাদের জীবদ্দশায় এভাবে মুক্তভাবে কথা বলতে পারব। প্রধান উপদেষ্টা যে আমাকে এই দায়িত্বটা দিয়েছেন, সেটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। প্রধান উপদেষ্টাও বলেছেন, সামনের যে ‘জার্নিটা ইজি’ হবে তা নয়।’

তিনি বলেন, শিক্ষা একটা বিশাল জগৎ। আমরা সবাই জনগণের টাকায় বড় হয়েছি। সুতরাং জনগণের প্রতি আমাদের দায়িত্ববোধ আছে। 

এই ধরনের পরিসরে এসে বসবেন তা জীবনে ভাবেননি জানিয়ে নতুন শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, আমি মনে করি, শিক্ষা হচ্ছে বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাহন। আমি এমন এক শিক্ষা ব্যবস্থার কথা ভাবি, যা হবে ব্যক্তির কর্মদক্ষতা অর্জন, তার আত্মোন্নয়নের উপযুক্ত পথ। যা হবে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও বিজ্ঞান প্রযুক্তিভিত্তিক উৎকর্ষের সহায়ক এবং যা হবে সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মূল্যবোধ সম্পন্ন নাগরিক তৈরির উপায়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক শিক্ষক সি আর আবরার এর আগে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নতুন উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন। বুধবার সকাল এগারোটায় বঙ্গভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শেখ আবদুর রশীদ। নতুন একজন উপদেষ্টা যুক্ত হওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকারে প্রধান উপদেষ্টাসহ মোট উপদেষ্টার সংখ্যা  হলো ২৩ জন।

শপথের পর উপদেষ্টা সি আর আবরারকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এতদিন একসঙ্গে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছিলেন। সি আর আবরারকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ার পর ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এখন শুধু পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্বে থাকবেন।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এবি পার্টিতে যোগ দিয়েছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবু রাইয়ান আশয়ারী
  • বাংলাদেশ থেকেই বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে শিক্ষার্থীরা: অধ্যাপক আবরার
  • রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় লুটপাটের মহোৎসবের পথ বন্ধ করতে হবে: সাংবাদিক নেতা আজিজ
  • সিলেট নগরের ফুটপাত দখলমুক্ত করতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম
  • '‌দেশের ভেতরই শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যৎ দেখবে- এমন শিক্ষাব্যবস্থার স্বপ্ন দেখি'
  • ‌দেশের ভেতরই শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যৎ দেখবে- এমন শিক্ষাব্যবস্থার স্বপ্ন দেখি
  • ‌‘দেশের ভেতরই শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যত দেখবে- এমন শিক্ষাব্যবস্থার স্বপ্ন দেখি’
  • ‌‘দেশের ভেতরেই শিক্ষার্থীরা তাদের ভবিষ্যত দেখতে পাবে এমন শিক্ষাব্যবস্থার স্বপ্ন দেখি’