আড়াইহাজারে ইয়াবাসহ স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা গ্রেপ্তার
Published: 5th, March 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জে আড়াইহাজার উপজেলার ব্রাক্ষন্দী ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শাহীনকে (৩৮) ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। বুধবার দুপুরে উপজেলার ছোট ফাউসা গ্রামে অভিযান তাকে ৭২ পিছ ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়। সে ওই গ্রামের আনছার আলীর ছেলে এবং ব্রাক্ষন্দী ইউনিয়নের সেচ্ছাসেবকদলের ২৮নং কার্যকরী সদস্য ও ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি প্রার্থী। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে প্রভাবশালী এমপি নজরুল ইসলাম বাবুর ভাগনি জামাই রবিনের আশ্রয়ে থেকে শাহীন মাদক বিক্রিসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ড করে আসছিল। ৫ আগস্টের পর ভোল পাল্টিয়ে বিএনপি সেজে মানুষের উপর অত্যাচার শুরু করে। গত ১৫ দিন আগে ওরশের নামে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও উত্তেজনা সৃস্টি হয়। পরে প্রশাসন ওরশ বন্ধ করে দেয়। তার অত্যাচারে সাধারণ মানুষ অতিস্ট হয়ে পড়েছে। বর্তমানে বিএনপির নাম ব্যবহার করে প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি ও চাঁদাবাজি করে আসছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ৭২ পিছ ইয়াবাসহ তাকে আটক করে। তার নামে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর নিকট ৮টি অভিযোগ দিয়েছে এলাকাবাসী। বিএনপির নেতাদের ছবি দিয়ে এলাকাতে পোস্টারিং করেছে মাদক বিক্রিতা শাহিন। আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহমেদ জানান, শাহীন বিএনপির কেউ না। সে বিএনপির সাজার চেস্টা করছে। আড়াইহাজার থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান, আটকের পর তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
লক্ষ্মীপুরে সংঘর্ষে ২ জন নিহত: বিএনপির ১৪ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
লক্ষ্মীপুরে রায়পুর উপজেলায় খাসেরহাট এলাকায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে দুইজন নিহতের ঘটনায় ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সংঘর্ষে নিহত স্বেছাসেবকদলের নেতা জসিম উদ্দিন ব্যাপারী হত্যা মামলায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ১৪ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা। বুধবার (২৩ এপ্রিল) ভোররাতে ঢাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, আবুল খায়ের গাজী, খালিদ গাজী, জাকির হোসেন, আবদুল মান্নান গাজী, সিদ্দিক আলী, সোলায়ানমান দেওয়ান, নেসার উদ্দিন, ইমাম হোসেন, মিজান সরদার, শাহদাত হোসেন, খিজির আহমেদ, তসলিম উদ্দিন, হানিফ দেওয়ান ও হারুন।
এর আগে বিএনপিকর্মী সাইজ উদ্দিন হত্যা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে একই ঘটনায় দুটি হত্যা মামলায় ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তাররা সবাই বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী।
আরো পড়ুন:
বিএনপি কারচুপির নির্বাচন সমর্থন করে না: রুমিন ফারহানা
৩১ দফা ঘরে ঘরে পৌঁছাতে হবে: তারেক রহমান
বিষয়টি নিশ্চিত করেন রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া। তিনি জানান, গত ৭ এপ্রিল সংঘর্ষে বিএনপির দুইজন মারা যায়। এ ঘটনায় দুটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এই দুই মামলায় ৭৪ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরো ২৩০ জনকে আসামি করা হয়।
অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারেও অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।
গত ৭ এপ্রিল আধিপত্যা বিস্তার নিয়ে রায়পুর উপজেলার ২নং চরবংশী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ফারুক কবিরাজ ও উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব শামীম গাজী গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ সময় বিএনপিকর্মী সাইজ উদ্দিন মারা যায়। এর সাত দিন পর আহত স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতা জসিম উদ্দিন ব্যাপারী ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
ঘটনার তিনদিন পর নিহত সাইজ উদ্দিনের ভাই হানিফ দেওয়ান বাদী হয়ে বিএনপি নেতা ফারুক কবিররাজকে প্রধান করে ২৬ জনের নাম উল্লেখ ও ১৮৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
ঘটনার ৮ দিন পর জসিম উদ্দিন ব্যাপারী নিহতের ঘটনায় তার বাবা হজল করিম ব্যাপারী বাদী হয়ে ৪৮ জনের নাম উল্লেখ এবং আরো ৭০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে রায়পুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
এ সব ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও কৃষকদলসহ অঙ্গসংগঠনের ১৬ নেতাকর্মীকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে রায়পুর উপজেলা বিএনপি।
ঢাকা/লিটন/বকুল