দুই ভারতীয়কে আটকের পর ফেরত দিল বিজিবি
Published: 5th, March 2025 GMT
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের দায়ে দুই ভারতীয় নাগরিককে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। পরে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) কাছে হস্তান্তর করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গি থানার বিশ্বাসপাড়া গ্রামের মৃত ইমাম বক্সের ছেলে আবু সাঈদ (৫৫) ও মৃত শরৎ হালদারের ছেলে কানু হালদার (৫৫)।
বিজিবি জানায়, মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে কুষ্টিয়া বিজিবির ৪৭ ব্যাটালিয়নের চিলমারী বিওপি’র সীমান্ত পিলার ৮৫/১৩-এস এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে ঢোকে দুই ভারতীয়। এ সময় উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের আলিমডোবা মাঠ এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সীমান্ত পিলার ৮৫/১৩-এস সংলগ্ন এলাকায় বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক হয়। সেখানে যাচাই-বাছাই শেষে বিএসএফের অনুরোধের ভিত্তিতে মানবিক বিবেচনায় ওই দুই ভারতীয়কে ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিজিবি।
আজ বুধবার দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুষ্টিয়া বিজিবির ৪৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহাবুব মুর্শেদ রহমান। তিনা জানান, ভুলবশত সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছিলেন ওই দুই ভারতীয়। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তাদের ফেরত দেওয়ার মাধ্যমে বিজিবি পেশাদারিত্ব, মানবিক মূল্যবোধ ও আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এসএফ
এছাড়াও পড়ুন:
অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির অন্যতম চালিকা শক্তি হতে পারে ক্ষুদ্র উদ্যোগের বিকাশ
অর্থনীতিবিদ সেলিম জাহান বলেছেন, দেশের অর্থনীতির অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করার অন্যতম প্রধান চালিকা শক্তি হতে পারে ক্ষুদ্র উদ্যোগের বিকাশ। ক্ষুদ্রঋণ উদ্যোগ উন্নয়নের অন্যতম অনুষঙ্গ হলেও ক্ষুদ্র উদ্যোগ ও ক্ষুদ্রঋণ এক কথা নয়। ক্ষুদ্র উদ্যোগ উন্নয়নের জন্য মানুষের ভাবনা ও চেতনার বিকাশ ঘটাতে হবে, সুযোগের বৈষম্য দূর করতে হবে।
আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) ভবনে আয়োজিত ‘ছোট উদ্যোগ, বড় ভবিষ্যৎ: বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির চালিকা শক্তি হিসেবে ক্ষুদ্র উদ্যোগ’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন সেলিম জাহান।
অবকাঠামোগত অগ্রগতিকে উন্নয়নের সমার্থক হিসেবে বিবেচনা করার প্রবণতা সঠিক নয় মন্তব্য করে সেলিম জাহান বলেন, স্কুলে ভর্তির হার বৃদ্ধি বা নতুন অবকাঠামো নির্মাণ হলো অগ্রগতি। কিন্তু উন্নয়ন হলো শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি এবং পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর শিশুদের মানসম্পন্ন শিক্ষার সুযোগ লাভ। অগ্রগতিকে উন্নয়নের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলা ঠিক নয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে পিকেএসএফ চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান বলেন, পিকেএসএফ বর্তমানে দক্ষতা উন্নয়নের জন্য বিবিধ প্রকল্প ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক আয়োজিত সৌদি আরবে এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে পিকেএসএফের একটি প্রকল্পের সাফল্য বিশেষভাবে প্রদর্শন করা হয়।
স্বাগত বক্তব্যে পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের বলেন, দেশের প্রায় ৪০ লাখ ক্ষুদ্র উদ্যোগের অর্থায়ন করছে পিকেএসএফ। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় অতিরিক্ত অর্থায়ন, কারিগরি সহায়তা ও প্রযুক্তি স্থানান্তরের মাধ্যমে ভ্যালু চেইন উন্নয়ন, মূল্য সংযোজিত সনদে পণ্য উৎপাদন ও বিপণনে বিস্তৃত সেবা প্রদান করছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ইনস্টিটিউট অব মাইক্রোফিন্যান্সের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক মোস্তফা কে মুজেরী, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা সংস্থার (বিআইডিএস) গবেষণা পরিচালক কাজী ইকবাল, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ ইয়াকুব হোসেন প্রমুখ।