শেখ পরিবারের নামে থাকা ইবির ৫ স্থাপনার নাম পরিবর্তন
Published: 5th, March 2025 GMT
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শেখ পরিবারের নামে থাকা পাঁচটি স্থাপনার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।
গত ২৬ ফ্রেব্রুয়ারি ২৬৭তম সিন্ডিকেটের সাধারণ সভার ৬ নম্বর প্রস্তাব ও সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ নামগুলো পরিবর্তন করা হয়েছে। বুধবার (৫ মার্চ) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচএম আলী হাসান স্বাক্ষরিত নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়।
নোটিশে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের নামে থাকা স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠানের নাম মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো পত্র অনুযায়ি পরিবর্তন করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
ইবি প্রক্টরকে জামায়াত ট্যাগ উপ-উপাচার্যের, উপাচার্য কার্যালয়ে হট্টগোল
বার কাউন্সিলের অযৌক্তিক ফি নির্ধারণের প্রতিবাদে ইবিতে মানববন্ধন
শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন করে ‘জুলাই-৩৬, শেখ রাসেল হলের নাম পরিবর্তন করে ‘শহীদ আনাছ হল’, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে নাম পরিবর্তন করে ‘শাহ আজিজুর রহমান হল’ রাখা হয়েছে।
এছাড়া বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলের নাম পরিবর্তন করে ‘উম্মুল মু'মিনীন আয়েশা সিদ্দিকা হল’ এবং ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবন নাম পরিবর্তন করে ‘ইবনে সিনা বিজ্ঞান ভবন’ নাম রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ঢাকা/তানিম/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আলোচনায় রাজি ইউক্রেন, প্রস্তুত রাশিয়াও
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধ বন্ধে আলোচনার টেবিলে বসার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তাঁর কাছ থেকে এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি পাওয়ার কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার রাতে মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে তিনি এ তথ্য জানান।
ট্রাম্প বলেন, আজ সকালে আমি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির কাছ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ চিঠি পেয়েছি। এতে বলা হয়েছে, ‘স্থায়ীভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আলোচনার টেবিলে আসতে প্রস্তুত ইউক্রেন। ইউক্রেনীয়দের চেয়ে বেশি শান্তি আর কেউ চায় না।’
ট্রাম্প জানান, তিনি রাশিয়ার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় আছেন। রাশিয়াও শান্তির জন্য প্রস্তুত আছে– এমন জোরালো ইঙ্গিত পেয়েছেন তিনি। ট্রাম্প বলেন, ‘এটি কি সুন্দর হবে না? এই পাগলামি বন্ধ করার সময় এখন। সময় এখন এসব হত্যাকাণ্ড বন্ধ করার। সময় এখন এই অর্থহীন যুদ্ধ বন্ধ করার। যুদ্ধ বন্ধ করতে চাইলে উভয় পক্ষের সঙ্গেই কথা বলতে হবে।’ ইউক্রেন তাদের মূল্যবান খনিজসম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি করতে প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন ট্রাম্প। এই চুক্তিটি স্বাক্ষর করতেই গত শুক্রবার জেলেনস্কি ওয়াশিংটন গিয়েছিলেন। কিন্তু হোয়াইট হাউসের ওভাল দপ্তরে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের ফলে ট্রাম্পের সঙ্গে জেলেনস্কির আলোচনা ভেস্তে গিয়েছিল।
এর পর ট্রাম্পের নির্দেশে ইউক্রেনে সব ধরনের মার্কিন সামরিক সহায়তা বন্ধ হয়। পরে জেলেনস্কি ট্রাম্পের মন জয়ের উদ্যোগ নেন। ট্রাম্পের সঙ্গে আচরণ নিয়ে অনুতপ্ত হন তিনি।
এদিকে ক্রেমলিন বলেছে, রাশিয়া ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি আলোচনার সম্ভাবনা সম্পর্কে আশাবাদী। মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেন, তবে এটি কীভাবে কাজ করবে, তা স্পষ্ট নয়। কারণ, ইউক্রেনের রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার ওপর আইনি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট গ্রিনল্যান্ড অধিগ্রহণের বিষয়ে তাঁর আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। ডেনমার্কের স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপটির জনগণকে ধনী বানানোর আশ্বাসও দেন তিনি। ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা তোমাদের নিরাপদ রাখব, আমরা তোমাদের ধনী বানাব। একসঙ্গে আমরা গ্রিনল্যান্ডকে এমন উচ্চতায় নিয়ে যাব, যা তোমরা আগে কখনও কল্পনাও করোনি।’
ভাষণে ট্রাম্প তাঁর পূর্বসূরি জো বাইডেনকে দোষারোপ করেন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ডিমের মূল্যবৃদ্ধির জন্য। তিনি বলেন, ডিমের দাম এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে এবং আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, যুক্তরাষ্ট্রে এটি আবার সাশ্রয়ী করে তুলব।