মাদারীপুরে ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা প্রমথ রঞ্জন ঘটকসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা করেছে। পদ্মা সেতু প্রকল্পসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণে সরকারি খাস জমি ও অর্পিত সম্মত্তি ও অন্যের মালিকানাধীন সম্পত্তির ভূয়া কাগজপত্র তৈরি করে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে এই ২৩ জনের বিরুদ্ধে।

আজ বুধবার (৫ মার্চ) দুদকের সমন্বিত মাদারীপুর জেলা কার্যালয়ে এ বিষয়টি মামলা করা হয়।

মাদারীপুরের কার্যালয়ের দুদকের উপপরিচালক মো.

আতিকুর রহমান জানান, ২০২২ সালে এ ঘটনার বিষয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশনা পান। দীর্ঘদিন অনুসন্ধান করে এ ঘটনার তথ্য-উপাত্তসহ প্রমাণ সংগ্রহ করার পর মামলা করার অনুমোদন পান। সেই অনুসারে মামলা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

নোয়াখালীতে ইয়াবাসহ দম্পতি গ্রেপ্তার

কক্সবাজারে হামলা সংঘর্ষ: নিহত যুবকের বাবার মামলা

অভিযুক্ত ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা প্রমথ রঞ্জন ঘটক মাদারীপুর ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল ঢাকার সহকারী পরিচালক। অন্য অন্যতম আসামিরা হলেন, মাদারীপুর ভূমি অধিগ্রহণ শাখার সার্ভেয়ার রাসেল আহমেদ ও নাসির উদ্দিন, মাদারীপুরের শিবচরের দত্তপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সুধাংশ কুমার মন্ডল।

দুদকের মামলার সূত্রে জানা যায়, পদ্মা বহুমূখী সেতু প্রকল্পসহ ৫টি এলএ কেসের সরকারি খাস, ভিপি সম্পত্তি ও বিভিন্ন মালিকের সম্পত্তির কাগজপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ বিল তুলে নেয়। ২৩টি চেকের বিপরীতে ৯ কোটি ৯৭ লাখ ৮৫ হাজার ৫৪ টাকা বিভিন্ন নামে তুলে নেয়। তৎকালিন ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা প্রমথ রঞ্জন ঘটক এ জালিয়াতির সঙ্গে সারাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ পায় দুদক। এছাড়া একইসময় কর্মরত সার্ভেয়ার রাসেল আহম্মেদ ও নাসির উদ্দিন জড়িত ছিলেন। স্থানীয় একটি চক্রের সঙ্গে মিলে প্রায় ১০ কোটি টাকার দুর্নীতি করেছে বলে প্রমাণ পেয়েছে দুদক। স্থানীয় আলো পত্তনদার, আব্দুল মালেক মৃধা, সুরুজ মিয়া, রাজিয়া বেগম, আব্দুল কাদির কাজী, শাহিন বেপারী, কুলসুম বিবি, আতিকুর রহমান, মো. মিলন শেখ, জিল্লুর রহমান, মনির মিয়া, জোসনা বেগম, আখি বেগম, আলম আলী বেপারী, হাছিনা বেগম, আছমা বেগম, আওলাদ হোসেন, ফরিদা বেগম, মতিউর রহমান, সুধাংশু কুমার মন্ডলকে আসামি করা হয়েছে।

উপপরিচালক মো. আতিকুর রহমান জানান, এখন তারা আসামিদের আটক করার জন্য চেষ্টা করবেন। এ বিষয়ে দ্রুত অভিযান শুরু হবে।

ঢাকা/বেলাল/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ভর্তি শুরু আজ, শিক্ষার্থীদের যা যা করণীয়

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষের ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’, ‘ডি’ ও ‘ই’ ইউনিটের প্রথম পর্যায়ে বিষয়প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ রোববার দুপুর ১২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিসংক্রান্ত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে ভর্তি ফি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. শেখ গিয়াস উদ্দিন স্বাক্ষরিত ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আজ দুপুর ১২টা থেকে আগামী ৫ মে রাত ১১টা ৫৯ মিনিটের মধ্যে নিজ নিজ প্যানেলে প্রবেশ করে ভর্তি ফি অনলাইনে জমা দিতে হবে। ভর্তি ফি জমাদানকারী শিক্ষার্থীদের আজ থেকে ৬ মে ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত (সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে) সরাসরি সংশ্লিষ্ট ডিন অফিসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি জমা দিয়ে কাগজপত্র জমাদান স্লিপ সংগ্রহ করে ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে।

আরও পড়ুনঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে ৪ কোর্সে মাস্টার্স, ডিগ্রি পাসেও আবেদন১২ এপ্রিল ২০২৫ভর্তি ফিসের পরিমাণ

বিজ্ঞান অনুষদ ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদভুক্ত বিভাগগুলোর জন্য (ব্যবহারিক ক্লাসের ফিসহ) ১২ হাজার ৪৩০ টাকা, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদভুক্ত বিভাগগুলোর জন্য ১০ হাজার ৪৩০ টাকা, কলা অনুষদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, আইন অনুষদভুক্ত বিভাগ এবং ইনস্টিটিউটগুলোর জন্য (ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন, সংগীত ও নাট্যকলা বিভাগ ব্যতীত) ১০ হাজার ৪৩০ টাকা, ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগ, সংগীত ও নাট্যকলা বিভাগ (ব্যবহারিক ক্লাসের ফিসহ) ১২ হাজার ৪৩০ টাকা, চারুকলা অনুষদভুক্ত বিভাগগুলোর জন্য (ব্যবহারিক ক্লাসের ফিসহ) ১২ হাজার ৪৩০ টাকা।

ভর্তির জন্য যে যে কাগজপত্র জমা দিতে হবে

সংশ্লিষ্ট ডিন অফিসে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার মূল নম্বরপত্র; ভর্তি পরীক্ষার প্রত্যবেক্ষক (Invigilator) কর্তৃক স্বাক্ষরিত প্রবেশপত্র (Admit Card); অনলাইন থেকে প্রিন্টকৃত ভর্তি ফরম;২ (দুই) কপি সদ্যতোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের ভর্তি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বিষয় নির্বাচনের (Subject Choice) জন্য ৮ থেকে ১৭ এপ্রিল ২০২৫ পর্যন্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসনসংখ্যা ২ হাজার ৮১৫।

আরও পড়ুনপিএইচডি ফেলোশিপ দিচ্ছে সরকার, গবেষকেরা মাসে পাবেন ২৫০০০২৬ এপ্রিল ২০২৫

‘এ’ ইউনিটের তিনটি পালায় মোট আসন ৮৬০টি। প্রথম পালায় মোট আসন ২৮৪টি, দ্বিতীয় পালায় মোট আসন ২৮৭টি এবং তৃতীয় পালায় মোট আসন ২৮৯টি।

‘বি’ ইউনিটের তিনটি পালায় মোট আসন ৭৮৫টি, প্রথম পালায় মোট আসন ২৯৪টি, দ্বিতীয় পালায় মোট আসন ২৯২টি এবং তৃতীয় পালায় মোট আসন ১৯৯টি।

‘সি’ ইউনিটের দুটি পালায় মোট আসন ৫২০টি। প্রথম পালায় মোট আসন ২৩০টি এবং দ্বিতীয় পালায় মোট আসন ২৯০টি।

‘ডি’ ইউনিটের দুটি পালায় মোট আসন ৫৯০টি। প্রথম পালায় মোট আসন ২৯৪টি এবং দ্বিতীয় পালায় মোট আসন ২৯৬টি।

‘ই’ ইউনিটের মোট আসন ৬০টি। ড্রইং অ্যান্ড পেইন্টিং বিভাগের জন্য ২০টি আসন। প্রিন্ট মেকিং বিভাগের জন্য ২০টি আসন। ভাস্কর্য বিভাগের জন্য ২০টি আসন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • স্ত্রী, শ্যালকসহ সাবেক এমপি নদভীর অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে দুদক
  • জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ভর্তি শুরু আজ, শিক্ষার্থীদের যা যা করণীয়
  • জবিতে চূড়ান্ত ভর্তি শুরু রবিবার