টিউলিপের বিরুদ্ধে তদন্তে বাংলাদেশকে সহযোগিতার কথা ভাবছে যুক্তরাজ্য
Published: 5th, March 2025 GMT
বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি এবং যুক্তরাজ্যের সাবেক দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্তে কীভাবে ঢাকাকে সহযোগিতা করা যায় তা ভাবছে লন্ডন। বুধবার স্কাই নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।
স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড.
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আর্থিক সম্পর্কের বিষয়ে বারবার প্রশ্ন ওঠায় টিউলিপ সিদ্দিক জানুয়ারিতে মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ওই মাসেই বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা একটি মামলায় মা, ভাই-বোন ও খালা শেখ হাসিনার সাথে টিউলিপ সিদ্দিককেও অভিযুক্ত করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার ক্ষমতার অপব্যবহার করে তারা পূর্বাচল নতুন শহরে প্লট বরাদ্দ নিয়েছিলেন। তবে টিউলিপের একজন মুখপাত্র এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
স্কাই নিউজ জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক দুর্নীতি দমন সমন্বয় কেন্দ্র (আইএসিসিসি) এখন বাংলাদেশের সরকার এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে মহা-দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের প্রচেষ্টায় সহায়তা করার জন্য ‘সুযোগ অনুসন্ধান’ করছে। আইএসিসিসি বর্তমানে ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির (এনসিএ) মাধ্যমে পরিচালিত হয় এবং প্রাথমিকভাবে যুক্তরাজ্য সরকার এর অর্থায়ন করে। এটিতে বিশেষজ্ঞ এবং বিশ্লেষকরা রয়েছেন যারা বিদেশী অংশীদারদের সাথে বড় ধরনের দুর্নীতির তদন্তে কাজ করেন। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সমর্থন করার প্রাথমিক কাজের অংশ হিসেবে অক্টোবর এবং নভেম্বর মাসে এনসিএ-এর কর্মীরা ঢাকা সফর করেছিলেন।
সংবাদমাধ্যমটি আরো জানিয়েছে, এই অনুসন্ধানী কাজের অর্থ এই নয় যে যুক্তরাজ্যের সংস্থাগুলো সরাসরি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে তদন্তের সাথে জড়িত। সূত্র জানিয়েছে, এই অগ্রগতি এনসিএ বা আইএসিসিসি কোনও নির্দিষ্ট তদন্তকে সমর্থন করছে বলে নিশ্চিত করা উচিত নয়। তবে, শেখ হাসিনার শাসনামালে বাংলাদেশ থেকে অর্থ যুক্তরাজ্যে পাচার করে আনা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিতে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের তদন্তের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে বিষয়টি।
ঢাকা/শাহেদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরক র তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
টিউলিপের বিরুদ্ধে তদন্তে বাংলাদেশকে সহযোগিতার কথা ভাবছে যুক্তরাজ্য
বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি এবং যুক্তরাজ্যের সাবেক দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্তে কীভাবে ঢাকাকে সহযোগিতা করা যায় তা ভাবছে লন্ডন। বুধবার স্কাই নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।
স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলাটি খুবই গুরুতর। দেশে তার বিপুল পরিমাণ সম্পদ রয়েছে এবং সবকিছু খতিয়ে দেখা হবে। ড. ইউনূসের এই মন্তব্যের পরপরই যুক্তরাজ্যভিত্তিক তদন্তকারীরা টিউলিপের দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্তে বাংলাদেশকে কীভাবে সহায়তা করা যাবে তা খতিয়ে দেখছেন।
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আর্থিক সম্পর্কের বিষয়ে বারবার প্রশ্ন ওঠায় টিউলিপ সিদ্দিক জানুয়ারিতে মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ওই মাসেই বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা একটি মামলায় মা, ভাই-বোন ও খালা শেখ হাসিনার সাথে টিউলিপ সিদ্দিককেও অভিযুক্ত করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার ক্ষমতার অপব্যবহার করে তারা পূর্বাচল নতুন শহরে প্লট বরাদ্দ নিয়েছিলেন। তবে টিউলিপের একজন মুখপাত্র এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
স্কাই নিউজ জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক দুর্নীতি দমন সমন্বয় কেন্দ্র (আইএসিসিসি) এখন বাংলাদেশের সরকার এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে মহা-দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের প্রচেষ্টায় সহায়তা করার জন্য ‘সুযোগ অনুসন্ধান’ করছে। আইএসিসিসি বর্তমানে ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির (এনসিএ) মাধ্যমে পরিচালিত হয় এবং প্রাথমিকভাবে যুক্তরাজ্য সরকার এর অর্থায়ন করে। এটিতে বিশেষজ্ঞ এবং বিশ্লেষকরা রয়েছেন যারা বিদেশী অংশীদারদের সাথে বড় ধরনের দুর্নীতির তদন্তে কাজ করেন। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সমর্থন করার প্রাথমিক কাজের অংশ হিসেবে অক্টোবর এবং নভেম্বর মাসে এনসিএ-এর কর্মীরা ঢাকা সফর করেছিলেন।
সংবাদমাধ্যমটি আরো জানিয়েছে, এই অনুসন্ধানী কাজের অর্থ এই নয় যে যুক্তরাজ্যের সংস্থাগুলো সরাসরি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে তদন্তের সাথে জড়িত। সূত্র জানিয়েছে, এই অগ্রগতি এনসিএ বা আইএসিসিসি কোনও নির্দিষ্ট তদন্তকে সমর্থন করছে বলে নিশ্চিত করা উচিত নয়। তবে, শেখ হাসিনার শাসনামালে বাংলাদেশ থেকে অর্থ যুক্তরাজ্যে পাচার করে আনা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিতে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের তদন্তের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে বিষয়টি।
ঢাকা/শাহেদ