প্রয়াত বাবাকে নিয়ে ফারিয়া-তিশার আবেগঘন পোস্ট
Published: 5th, March 2025 GMT
ছোটপর্দার অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া ও তানজিন তিশা। অভিনয় দক্ষতা দিয়ে শোবিজ অঙ্গনে নিজে জায়গাটা পাকাপোক্ত করে নিয়েছেন দুজনই। এই দুই তারকারই বাবা বেঁচে নেই। তিশার বাবা মারা গেছেন দুই বছর আগে আর ফারিয়ার বাবা মারা গেছেন প্রায় আট বছর আগে। রোজার শুরুর দিকে বাবার স্মৃতিতে কাতর দুই অভিনেত্রী।
বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিশা তার বাবাকে নিয়ে একটি আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন। যেখানে এ অভিনেত্রী লিখেছেন ‘মৃত্যুর পর নাকি, মানুষ প্রিয় মানুষদের উপস্থিতি অনুভব করতে পারে, তুমি কি তোমার বাবুকে অনুভব করতে পারো আব্বু।’
অন্যদিকে দীর্ঘ এক পোস্টে শবনম ফারিয়া লিখেছেন, ‘আমার বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে রোজার মাসে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করি বাসায় ইফতার করতে। যখন নিয়মিত কাজ করতাম, তখনও চেষ্টা করতাম ইফতারটা মা’র সাথে করে আবার কাজে ফিরে যেতে! সেই উত্তরা থেকে শান্তিনগর এসে আবার ফিরে যাওয়া চারটি খানি কথা না! অথচ বাবা থাকতে ভাবতাম বন্ধু বান্ধবদের সাথে বাইরে ইফতার করি, ঈদের আগে টানা কাজ, ২/১ দিন ব্রেক পাই, তখন বাসা থেকে বের হতে চাইলে বাবা-মা রাগ করে! সেসময় খুব বিরক্ত হতাম, খুবই অভিমান হতো “আমার বাবা-মা এমন কেন”। কিন্তু এই যে সবাই বলে ইফতারের মূল আইটেম পরিবার, সেইটা বুঝতে পেরেছি বাবা চলে যাওয়ার পর, তাই সর্বোচ্চ চেষ্টা করি মার সাথে ইফতার করার।’
ফারিয়া আরও লিখেছেন, ‘বাবা চলে যাওয়ার পর গত সাত রোজায় আমাদের বাসায় কোনদিন কোন বিশেষ আয়োজন হয় না! যদি আমার দুই দুলাভাইকে মা ইফতারে দাওয়াত দেয়, তাহলে হয়তো ভাইয়াদের জন্য মা একটুখানি আয়োজন করে কিন্তু বাবা থাকতে ইফতারের যে আমেজ, সেইটা বললে এখন শুনতে মনে হবে গল্প! কারণ আমার ইফতারের মুল আইটেম মিসিং! আমার বাবা যেই চেয়ারে বসতো, অতিথি না আসলে সেই চেয়ারে এখনো কেউ বসে না, না চাইতেও চোখ চলে যায়!’
সবশেষে ফারিয়া লিখেছেন, ‘মাঝে মাঝে মনে হয়, বাবা এতক্ষণ ছিল, মাগরিবের নামাজ পরে আবার বসবে আমাদের দুজনের সাথে। এভাবেই আরেকটা রমজান কেটে যাবে। বাবা মাগরিব থেকে ফিরে আসবে এই ভাবনাটা বোধহয় কোনোদিন শেষ হবে না। রাব্বির হামহুমা, কামা রাব্বায়ানি সাগিরা।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শবনম ফ র য় ইফত র
এছাড়াও পড়ুন:
মুছাপুর ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মঞ্জুরের বিরুদ্ধে অনাস্থা
অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে বন্দরের মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফ্যাসিস্ট দোসর মঞ্জুর আলম মঞ্জু’র বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেছেন উল্লেখিত ইউনিয়ন পরিষদের ১১ জন ইউপি সদস্য।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর এ অভিযোগ দায়ের করা হয় । এর আগে সকালে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এক সভায় সকল সদস্যের সম্মতিক্রমে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মঞ্জুকে অনাস্থা এবং ২নং প্যানেল চেয়ারম্যান কাজী মনির হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসাবে প্রস্তাবনা গৃহীত হয়।
১১ সদস্যের স্বাক্ষরিত অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলমের অন্যান্য সদস্যের সঙ্গে কাজ কর্মে বনিবনা হচ্ছিল না। । ব্যক্তিগত কাজে এখানে সেখানে ঘুরে বেড়ান। এর ফলে জন্ম নিবন্ধন সহ বিভিন্ন নাগরিক সেবায় ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ ।
ট্রেড লাইসেন্সে নির্ধারিত ফি ছাড়াও অতিরিক্ত অর্থ আদায় সহ সেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়েছে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলমের বিরুদ্ধে।
এ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন পদত্যাগ করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অংশ নেওয়ায় শূন্য পদে জাতীয় পার্টির এমপি সেলিম ওসমানের দলীয় ক্ষমতায় মঞ্জুর আলম ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহন করেন।
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম জানান, 'অনাস্থার বিষয়ে এখনো কেউ অবগত করেনি বা ডকুমেন্ট পাইনি। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্ত প্রমানিত হলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। আনীত অভিযোগ অসত্য হলে এ বিষয়টি আমার দেখার আছে'।
বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ইউএনও) মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলমকে অনাস্থা চেয়ে ১১ সদস্যের স্বাক্ষরিত একটি অনাস্থা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে'।