পবিত্র রমজান মাসে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির লাঘবে অনলাইনে ক্লাস চালু করা ও নিয়মিত রুটের গাড়ি চলমান রাখার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ বুধবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে এ সিদ্ধান্ত হয়। সম্মেলনকক্ষে সভার এ সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক শেখ মো.

গিয়াসউদ্দিন স্বাক্ষরিত দুটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সম্মেলনকক্ষে কোষাধ্যক্ষ, সব অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, রেজিস্ট্রার, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, প্রক্টর ও পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ)-এর সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী ৯ মার্চ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত সব ইনস্টিটিউট ও বিভাগে ক্লাস রুটিন অনুযায়ী অনলাইনে ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে।’

আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ, আছে দৈনিক ২০০ টাকা ভাতা০৩ মার্চ ২০২৫

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘প্রত্যেক ইনস্টিটিউট ও বিভাগের পরীক্ষার রুটিন অনুযায়ী সশরীর সেমিস্টার ফাইনাল ও মিডটার্ম পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।’

অন্য একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনলাইন ক্লাস চলাকালীন সময়ে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা ও মিডটার্ম পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ সময় শিক্ষার্থীদের নিয়মিত রুটে যাতায়াতের জন্য গাড়ির চাহিদা, আগামী ৬ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের নিকট পরীক্ষার রুটিনসহ জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।

আরও পড়ুনবাংলাদেশিদের জন্য ভারতের আইসিসিআর দিচ্ছে ৫০০ বৃত্তি, জেনে নিন বিস্তারিত০৪ মার্চ ২০২৫

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে সভায় অনলাইন ক্লাসের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের নিয়মিত রুটের গাড়ি চলবে, তবে শিফট অনুযায়ী চক্রাকার বাসগুলো বন্ধ থাকবে।’

আরও পড়ুনজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেশনাল মাস্টার্স, আবেদন শেষ ৬ মার্চ১ ঘণ্টা আগে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ত পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

চসিকের ১০ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অব্যাহত রাখবে ইউনিলিভার

ইউনিলিভার বাংলাদেশ ২০২৫ সালেও চট্টগ্রামের ব্যবস্থাপনার বাইরে থাকা (অব্যবস্থাপিত) ১০ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াকরণ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির বৈশ্বিক টেকসই উন্নয়ন প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

এই মাইলফলক উদযাপন উপলক্ষে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) এবং ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল অ্যাকশনের (ইপসা) সহযোগিতায় ইউনিলিভার বাংলাদেশ চট্টগ্রামের একটি হোটেলে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করে। সেখানে তারা তাদের প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উদ্যোগের অগ্রগতির কথা তুলে ধরে। একইসঙ্গে, অনুষ্ঠানে তিনজন বর্জ্য সংগ্রাহক এবং দুইজন ভাঙারিওয়ালা/সিএসও প্রতিনিধিকে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও সমাজ উন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য সম্মাননা প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম ও চিফ কনজারভেন্সি অফিসার কমান্ডার আইইউএ চৌধুরী। আরও ‍ছিলেন ইউনিলিভার বাংলাদেশের সাপ্লাই চেইন ডিরেক্টর রুহুল কুদ্দুস; লিগ্যাল ডিরেক্টর অ্যান্ড কোম্পানি সেক্রেটারি এস ও এম. রাশেদুল কাইয়ুম, কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স, পার্টনারশিপস অ্যান্ড কমিউনিকেশন্স ডিরেক্টর শামিমা আক্তার এবং ইপসা’র সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টর নাসিম বানু।

২০২২ সালের জুনে ইউনিলিভার বাংলাদেশ, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এবং ইপসা’র মধ্যে ত্রিপক্ষীয় এই সহযোগিতা শুরু হয়। এই উদ্যোগের মাধ্যমে চট্টগ্রামের ৪১টি ওয়ার্ডে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনা হয়েছে। উদ্যোগটির আওতায় এখন পর্যন্ত ২৪,০০০ টনের বেশি প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করা হয়েছে, যা শহরের মোট বর্জ্যের প্রায় ১০ শতাংশের সমান। এছাড়া, ৩,০০০ এর বেশি বর্জ্যকর্মীকে নিরাপদভাবে বর্জ্য সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ২০০ জনের বেশি ভাঙারিওয়ালা ও ২,০০০ জনের বেশি বর্জ্য সংগ্রাহককে সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম এবং ব্যবসায়িক উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণ দিয়ে আরও দক্ষ করে তোলা হয়েছে।

কর্মপদ্ধতি উন্নয়নের পাশাপাশি, এই উদ্যোগের মাধ্যমে স্থানীয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে টেকসই জীবিকা ও দীর্ঘমেয়াদি কমিউনিটি উন্নয়নের পথও তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া, ১,৮২৭ জন বর্জ্যকর্মী ও ভাঙারিওয়ালার জন্য একটি গ্রুপ ইন্স্যুরেন্স কর্মসূচি চালু করা হয়েছে, যেখানে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু হলে সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত জীবনবীমার সুবিধা রয়েছে। চিকিৎসার খরচ, যেমন-ডাক্তার ফি, হাসপাতালের খরচ ও ওষুধের খরচও এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। এসব আর্থিক নিরাপত্তা এবং সামাজিক সুরক্ষা সুবিধাগুলো এই ঝুঁকিপূর্ণ পেশাজীবীদের জন্য বড় ধরনের সহায়তা নিয়ে এসেছে। জনসচেতনতা তৈরিতেও এই প্রকল্পে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১৫,০০০টিরও বেশি পরিবারের মাঝে এবং ৭১টি স্কুলের ৭,০০০ এরও বেশি শিক্ষার্থীর মধ্যে উৎসস্থলেই বর্জ্য পৃথক করার বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ