প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় আরো দুজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। 

প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নিয়োগ দেওয়া নতুন দুই বিশেষ সহকারী হলেন শেখ মইনউদ্দিন এবং ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব। 

বুধবার (৫ মার্চ) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, তারা প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় বেতন, ভাতা ও অন্যান্য ‍সুবিধা পাবেন। 

শেখ মইনউদ্দিনকে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের, যেখানে উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। 

আর ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যবকে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে, যা রয়েছে প্রধান ‍উপদেষ্টার অধীনে।

একই পদমর্যাদায় এর আগে আরো তিনটি মন্ত্রণালয়ে তিনজন বিশেষ সহকারী নিয়োগ দেন প্রধান উপদেষ্টা। নতুন দুজনকে নিয়ে এখন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন পাঁচজন।

সরকারে দপ্তর বণ্টন ও নতুন নিয়োগ নিয়ে বুধবার পৃথক প্রজ্ঞাপনে সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়া অধ্যাপক ড.

চৌধুরী রফিকুল (সি আর) আবরারকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

পরিকল্পনা ও শিক্ষায় থাকা উপদেষ্টার ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের দায়িত্ব কমিয়ে শুধু পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে দেওয়া হয়েছে।

গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের সরকারের পতনের পর গত ৮ অগাস্ট অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের যাত্রা শুরু হয়। প্রথম দফায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ১৬ জন এবং দ্বিতীয় দফায় আরও চারজন উপদেষ্টা সরকারে যুক্ত হন।

সবশেষ গত ১০ নভেম্বর তিনজন শপথ নিলে অন্তর্বর্তী সরকারে উপদেষ্টার সংখ্যা হয় ২৪ জন। তাদের মধ্যে এএফ হাসান আরিফ গত ২০ ডিসেম্বর মারা যান। আর রাজনীতিতে যোগ দিতে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সরকার থেকে পদত্যাগ করেন নাহিদ ইসলাম।

বর্তমানে উপদেষ্টাদের পাশাপাশি উপদেষ্টা পদমর্যাদায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, বিশেষ দূত ও প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ রয়েছেন তিনজন। 

ঢাকা/নঈমউদ্দিন/রাসেল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব শ ষ সহক র পদমর য দ য় সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম নিয়ে পরবর্তী রিভিউ শুনানি ১৮ মে

রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদমর্যাদাক্রম (ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স) নির্ধারণ সংক্রান্ত আপিল বিভাগের রায় রিভিউ আবেদনের শুনানি শুরু হয়েছে। প্রথম দিনের শুনানি শেষে ১৮ মে পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ৬ বিচারপতির বেঞ্চ রোববার শুনানির এদিন ধার্য করেন।

এর আগে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আইনজীবী ব্যারিস্টার সালাহউদ্দীন দোলন শুনানির জন্য সময় চেয়ে আবেদন করেন। তখন আপিল বিভাগ বলেন, এর আগে অনেকবার শুনানির জন্য সময় দেওয়া হয়েছে। আর সময় দেওয়া হবে না। আপনারা শুনানি শুরু করুন। পরে শুনানিতে ব্যারিস্টার সালাহউদ্দীন দোলন আপিল বিভাগের রায়ের মূল অংশবিশেষ তুলে ধরেন। এরপর শুনানি মূলতবি করে ১৮ মে ফের দিন ধার্য করা হয়েছে। এ সময় আদালতে রায় রিভিউ (পুনবিবেচনা) চেয়ে আবেদনকারী বিচারকদের সংগঠন জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার নিহাদ কবীর।

২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম ঠিক করে রায় দেন আপিল বিভাগ। এরপর ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর পুর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, সংবিধান যেহেতু রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন, সেহেতু রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমের শুরুতেই সাংবিধানিক পদাধিকারীদের গুরুত্ব অনুসারে রাখতে হবে। রায়ে জেলা জজ ও সমমর্যাদার বিচার বিভাগীয় সদস্যরা রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমের ২৪ নম্বর থেকে ১৬ নম্বরে সরকারের সচিবদের সমমর্যাদায় উন্নীত করা হয়। অতিরিক্ত জেলা জজ ও সমমর্যাদার বিচার বিভাগীয় সদস্যদের অবস্থান হবে জেলা জজদের ঠিক পরেই, রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমে তাদের অবস্থান হবে ১৭ নম্বরে।

রায়ে আরও বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম কেবল রাষ্ট্রীয় আচার-অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে। নীতি নির্ধারণী ক্ষেত্র বা অন্য কোনো কার্যক্রমে যেন এর ব্যবহার না হয়।

প্রসঙ্গত, রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী ১৯৮৬ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরি করে তা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হয়। ২০০০ সালে এটি সংশোধন করা হয়। সংশোধিত এ ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব আতাউর রহমান। ওই রিটের ওপর ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে ওই ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স বাতিল করে আট দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়। পরে এর বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানি নিয়ে ২০১৫ সালে রায় দেন আপিল বিভাগ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম নিয়ে পরবর্তী রিভিউ শুনানি ১৮ মে
  • এবার বিপিএম-পিপিএম পদক পাচ্ছেন ৬২ জন