বাংলাদেশ জাতীয় দলে বর্তমানে তিন ফরম্যাটের অবধারিত নাম তাসকিন আহমেদ। ধারাবাহিক পারফর্ম করছেন তিনি। দলের প্রতি একাগ্রতা বা পরিশ্রম নিয়ে প্রশ্ন নেই। দলের সিনিয়র ক্রিকেটারও বটে। শুধু ওই তাসকিনকে ‘এ প্লাস’ ক্যাটাগরিতে রেখে বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তির নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। 

গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিসিবি পরিচালকদের সভা ছিল। ওই সভায় কেন্দ্রীয় চুক্তির প্রস্তাবিত খসড়া পেশ করা হয়। সংবাদ মাধ্যম ক্রিকবাজ জানিয়েছে, খসড়া তালিকায় নাম আছে টেস্ট ও টি-২০ থেকে অবসর নেওয়া এবং ওয়ানডে ফরম্যাটের ক্যারিয়ার নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাওয়া ৩৯ বছর বয়সী মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। 

এছাড়া খসড়া কেন্দ্রীয় চুক্তিতে তরুণ পেসার নাহিদ রানা, বাঁ-হাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ, টেস্ট ব্যাটার সাদমান ইসলাম জায়গা পেয়েছেন। তবে জাকির হাসান ও মাহমুদল হাসান জয় নেই তালিকায়। ঢুকেছেন জাতীয় দলে নিয়মিত হয়ে ওঠা লেগ স্পিন অলরাউন্ডার রিশাদ হোসেন। 

পূর্বে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-২০ ক্যাটাগরি পদ্ধতি ছিল। তিন ফরম্যাটে খেলা ক্রিকেটাররা এক ধরনের বেতন পেতেন। শুধু সাদা বলে খেলা ক্রিকেটারদের গ্রেডিং পদ্ধতি ছিল আলাদা। আবার যারা শুধু এক ফরম্যাট খেলেন তাদের বেতন কাঠামো ছিল ভিন্ন। এবার ‘এ প্লাস’, ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’ ও ‘ডি’ ক্যাটাগরি অনুযায়ী খসড়া কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা প্রস্তাব করা হয়েছে। 

সর্বশেষ বোর্ড সভা শেষে, বিসিবির পরিচালক নাজমুল আবেদিন ফাহিম জাতীয় দলের অভিজ্ঞ মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহর ফর্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তাদের পারফর্ম করতে হবে বলে উল্লেখ করেছিলেন। মুশফিক ও রিয়াদের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা নিয়ে বোর্ডে বিতর্ক আছে। ক্রিজবাজ দাবি করেছে, ওই কারণে এখনো অনুমোদন হয়নি প্রস্তাবিত কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা। 

বিসিবির প্রস্তাবিত কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা: 
এ প্লাস: তাসকিন আহমেদ
এ: নাজমুল শান্ত, মেহেদী মিরাজ, লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম।
বি: মুমিনুল হক, তাইজুল ইসলাম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুস্তাফিজুর রহমান, তাওহীদ হৃদয়, হাসান মাহমুদ, নাহিদ রানা। 
সি: সাদমান ইসলাম, সৌম্য সরকার, জাকের আলী, তানজিদ তামিম, শরিফুল ইসলাম, রিশাদ হোসেন, তানজিম সাকিব, শেখ মাহেদী। 
ডি: নাসুম আহমেদ, খালেদ আহমেদ। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফরম য ট আহম দ ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

সালাহ, কেইন, না লেভা—সোনার জুতার লড়াইয়ে কে কোথায়

এবার কি তবে অবশেষে ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু জিততে যাচ্ছেন মোহাম্মদ সালাহ?
আভাস সে রকমই। তবে মৌসুমের শেষে এসে যদি রবার্ট লেভানডফস্কি বা হ্যারি কেইন অবিশ্বাস্য কিছু করে ফেলেন, আরও একবার হতাশ হতে হবে লিভারপুলের মিসরীয় ফরোয়ার্ডকে। আরও একবার কথাটা বলা হচ্ছে, কারণ আগেও বেশ কয়েকবার এই পুরস্কার জেতার খুব কাছে গিয়েছিলেন সালাহ, শেষ পর্যন্ত জিততে পারেননি। অন্যদিকে লেভানডফস্কি, কেইন কিংবা আর্লিং হলান্ডের এরই মধ্যে সৌভাগ্য হয়েছে পুরস্কারটি জেতার।

ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু কী

সহজ কথায়, প্রতি মৌসুমে ইউরোপের প্রতিটি দেশের সর্বোচ্চ লিগগুলোর মধ্যে যিনি সবচেয়ে বেশি গোল করেন, তাঁকে দেওয়া হয় সোনার বুট, যে পুরস্কারের আনুষ্ঠানিক নাম ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু।
এমনিতে ইউরোপের সব লিগই আলাদা করে প্রতি মৌসুমের সর্বোচ্চ গোলদাতাকে গোল্ডেন বুট পুরস্কার দেয়। তবে ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু তাঁকেই দেওয়া হয়, যিনি পুরো ইউরোপে সব লিগ মিলিয়ে গোলের জন্য সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট পান। পয়েন্ট হিসাব করা হয় গোলসংখ্যা ও সংশ্লিষ্ট লিগের মানের ওপর ভিত্তি করে।  

লিগে ৩৩ ম্যাচে সালাহ গোল করেছেন ২৭টি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ