মশার কামড়ে ঘুম হচ্ছে না, আইনজীবীকে জানান ছাত্রলীগনেতা সৈকত
Published: 5th, March 2025 GMT
যাত্রাবাড়ী থানার পৃথক দুই মামলায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক (ঢাবি শাখা) তানভীর হাসান সৈকতকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়। বুধবার (৫ মার্চ) তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় সৈকত তার আইনজীবীকে জানান, কারাগারে মশার কামড়ে ঠিকমতো ঘুম হচ্ছে না।
বুধবার (৫ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো.
তখন সৈকত তার আইনজীবী তরিকুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় সৈকত বলেন, ‘‘কারাগারে অনেক লোক গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে। মশার কামড়ে ঠিকমতো ঘুম হয় না। ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়াও হচ্ছে না। যেদিন কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়, সেদিন ফজরের আগেই ঘুম ভাঙানো হয়। এরপর ভোরে আদালতের উদ্দেশ্যে আনা হয়। খুব কষ্টে আছি আমি।’’
সৈকতের আইনজীবী তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘একের পর এক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে সৈকতকে। এগুলো ষড়যন্ত্রমূলক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা।’’
গত ১৪ আগস্ট রাতে রাজধানীর নিকুঞ্জ এলাকা থেকে তানভীর হাসান সৈকতকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে বিভিন্ন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কয়েক দফা রিমান্ডে নেওয়া হয়।
ঢাকা/মামুন/এনএইচ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নাটোরে আইনজীবীর বাড়িতে ডাকাতি, অস্ত্রের মুখে নগদ টাকা-স্বর্ণালঙ্কার লুট
নাটোরের লালপুরে আইনজীবী সাধন কুমার দাসের (৪২) বাড়িতে মুখোশধারী ডাকাত দলের হামলায় আহত হয়েছেন পরিবারের তিন সদস্য। বুধবার রাত ১২টার পর লালপুর সদর ইউনিয়নের চকবাদেকুলপাড়া গ্রামে ঘটে এ ঘটনা।
ডাকাতরা বাড়ির পেছনের গেট ভেঙে বাড়ির ভেতরে ঢুকে সাধন কুমার দাসের ভাতিজা রিপন কুমার দাস (৩৫) এবং রিপনের স্ত্রী সুমী রানীকে (২৫) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। ডাকাতদের বাধা দিতে গেলে সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করা হয় এবং লুট করা হয় প্রায় তিন লাখ টাকা ও ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার।
আহতদের মধ্যে সাধন কুমার দাসের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতেই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ডাকাতদের হাতে ছিল রাম দা, চায়নিজ কুড়াল এবং হাঁসুয়া। তারা পরিবারের সদস্যদের হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলে, এরপর টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার দিতে অস্বীকৃতি জানালে কুপিয়ে জখম করে।
লালপুর থানার ওসি (তদন্ত) মোমিনুজ্জামান জানান, রাতে খবর পেয়েই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি, তবে অভিযোগ পেলে মামলা গ্রহণ করা হবে। অপরাধীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।