চায়ের দোকানে ধূমপান করা নিয়ে দুই তরুণীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়েছে। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে; হয়েছে প্রতিবাদ। এ ঘটনার পরই উত্তপ্ত হয় নেটদুনিয়া। একই বিষয় নিয়ে এবার কথা বললেন অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক।

চমকের মতে, সিগারেট নারী-পুরুষ দু‘জনের শরীরের জন্যই ক্ষতিকর। তাই সকলেরই উচিত ধূমপান থেকে বিরত থাকা।

ফেসবুক পোস্টে চমক লিখেছেন, ‘সিগারেট নারীর শরীরের জন্য যতটুকু ক্ষতিকর, পুরুষের শরীরের জন্যও ঠিক ততটুকু ক্ষতিকর। নারী-পুরুষ সবাই ধূমপান করা থেকে বিরত থাকুন।’

‘ধূমপান’ নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত রাজধানীর লালমাটিয়ায়। সেখানে দুই তরুণীর প্রকাশ্যে ধূমপান নিয়ে এক বয়স্ক ব্যক্তির সঙ্গে বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে দুই তরুণীর ওপর চড়াও হয়। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে।

এরপর বিষয়টি নিয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, উন্মুক্ত জায়গায় সিগারেট খাওয়া সবার জন্যই নিষেধ। এটা একটা অফেন্স। এ জন্য ওপেন সিগারেটটা না খাওয়ার পরামর্শও দেন তিনি।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কথার জের ধরে এ ঘটনায় বেশ উত্তপ্ত হয় সোশ্যাল মিডিয়া। মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে সাধারন মানুষে মাঝে। অভিনেত্রীর এই স্ট্যাটাসের সঙ্গে অনেকেই একমত পোষণ করেছেন। কেউ কেউ আবার কটাক্ষও করেছেন। তবে চমককে নেটিজেনদের মন্তব্যের কোনো প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা যায়নি।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মাদারীপুর প্রশাসনের ২৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকে মামলা

মাদারীপুরে পদ্মা সেতুসহ বিভিন্ন প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণের সময় প্রায় ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। অন্যের মালিকানাধীন খাস ও অর্পিত সম্পত্তির ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে এমনটা করা হয়েছে।

এ ঘটনায় সাবেক ভূমি হুকুম দখল কর্মকর্তা প্রমথ রঞ্জন ঘটকসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) মামলা হয়েছে। বর্তমানে তিনি জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল ঢাকার সহকারী পরিচালক। 

মামলা সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতুসহ ৫টি এল এ কেসের সরকারি খাস, ভিপি সম্পত্তি ও বিভিন্ন মালিকের সম্পত্তির কাগজপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ বিল তুলে নেওয়া হয়। ২৩ চেকের বিপরীতে ৯ কোটি ৯৭ লাখ ৮৫ হাজার ৫৪ টাকা বিভিন্ন নামে তুলে নেয় একটি চক্র। মাদারীপুর ডিসি অফিসের সাবেক এলএও প্রমথ রঞ্জন ঘটক এই জালিয়াতিতে জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে দুদক। একই সময় কর্মরত দুই সার্ভেয়ার মো. রাসেল আহমেদ ও মো. নাসিরউদ্দিন জড়িত ছিল।

এই তিনজন ছাড়াও স্থানীয় আলো পত্তনদার, আব্দুল মালেক মৃধা, সুরুজ মিয়া, রাজিয়া বেগম, আব্দুল কাদির কাজী, শাহিন বেপারি, কুলসুম বিবি, আতিকুর রহমান, মো. মিলন শেখ, জিল্লুর রহমান, মনির মিয়া, জোছনা বেগম, আঁখি বেগম, আলম আলী বেপারি, হাসিনা বেগম, আসমা বেগম, আওলাদ হোসেন, ফরিদা বেগম, মতিউর রহমান ও সুধাংশু কুমার মণ্ডলকে আসামি করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ