প্রতিযোগিতা জ্ঞানার্জনের আগ্রহ বাড়ায়
Published: 5th, March 2025 GMT
‘প্রতিযোগিতা জ্ঞানার্জনের আগ্রহ বাড়ায়। শৃঙ্খলা ও বন্ধুত্ব সৃষ্টিতে সহায়তা করে।’পটুয়াখালী সমকাল সুহৃদ সমাবেশের প্রতিভা অন্বেষণের কুইজ প্রতিযোগিতায় বক্তারা এ কথা বলেন। পটুয়াখালী জেলা কমিটির নিয়মিত এ আয়েজন সম্প্রতি স্থানীয় লতিফ মিউনিসিপ্যাল সেমিনারিতে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিযোগিতা সঞ্চালনায় ছিলেন সমকালের জেলা প্রতিনিধি ও জেলা সুহৃদ সমন্বয়ক মুফতী সালাহউদ্দিন। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন– জেলা সুহৃদ সমাবেশের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য কবি ও লেখক গাজী হানিফ, সংগঠনের জেলা আহ্বায়ক পলাশ চন্দ্র হাওলাদার, সদস্য সচিব সাইয়ারা আফিয়া ঝুমুর, নির্বাহী সদস্য কাজী রফিকুল ইসলাম রাহাত, সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি মো.
গত ২১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত কুইজ প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেন জেলা সুহৃদ সমাবেশের আহ্বায়ক কমিটির নির্বাহী সদস্য কাজী রফিকুল ইসলাম রাহাত, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন সরকারি কলেজ শাখার সাধারণ সুহৃদ মো. রাকিবুল ইসলাম এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করেন সরকারি কলেজ শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জিয়াউর রহমান।
অন্যদিকে ২৮ ফেব্রুয়ারি কুইজ প্রতিযোগিতায় জেলা সুহৃদ সমাবেশের আহ্বায়ক কমিটির নির্বাহী সদস্য কাজী রফিকুল ইসলাম রাহাত, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন সরকারি কলেজ শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জিয়াউর রহমান এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সুহৃদ মোহাম্মদ রাব্বি। পরে বিজয়ী সুহৃদদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন সুহৃদ নেতারা। এর আগে সুহৃদদের সাংগঠনিক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, ঈদের পর প্রতিভা অন্বেষণে বিতর্কভিত্তিক উপস্থিত বক্তৃতার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের।
প্রতিযোগিতার শুরুতে সূচনা বক্তব্যে সমকালের জেলা প্রতিনিধি ও সুহৃদ সমাবেশের জেলা সমন্বয়ক মুফতী সালাহউদ্দিন বলেন, ‘মানুষের প্রতিভা বিকাশের ক্ষেত্র না পেলে প্রতিভা ও শক্তি ক্রমেই ম্নান হয়ে যায়। তাই সমকাল সুহৃদ সমাবেশ মূলত প্রতিভার বিকাশ এবং জ্ঞান অর্জনের একটি বীমা প্রতিষ্ঠান। এই জ্ঞানের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সত্য, সুন্দর ও তারুণ্যনির্ভর আলোকিত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কল জ শ খ র ল ইসল ম সদস য ক অন ষ ঠ সমক ল সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
৩৬ কোম্পানি থেকে বিশ্বের অর্ধেক কার্বন ডাইঅক্সাইড
জলবায়ু পরিবর্তন ও তাপমাত্রা বাড়ানোর জন্য দায়ী কার্বন ডাইঅক্সাইডের অর্ধেক উৎপাদন করে মাত্র ৩৬টি কোম্পানি। এসব জীবাশ্ম জ্বালানি কোম্পানি বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়াতে বড় ভূমিকা রাখছে। এ কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে সৌদি আরবের আরামকো, ভারতের কোল, এক্সন মোবিল, শেল ও চীনের বেশ কয়েকটি কোম্পানি। এগুলোর উৎপাদিত কয়লা, তেল ও গ্যাসের কারণে ২০২৩ সালে ২০ বিলিয়ন টনের বেশি কার্বন ডাইঅক্সাইড উৎপন্ন হয়েছে।
গতকাল বুধবার দ্য গার্ডিয়ান অনলাইনে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে। প্রতিবেদনে ২০২৩ সালের জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার ও প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমিত রাখতে হলে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণ অবশ্যই ৪৫ শতাংশ কমাতে হবে। কিন্তু এখনও কার্বন নিঃসরণের এ ধারা ঊর্ধ্বগামী, যা বিশ্বব্যাপী চরম ভাবাপন্ন আবহাওয়াকে উস্কানি দিচ্ছে।
আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থা বলছে, ২০২১ সালের পর যেসব জীবাশ্ম জ্বালানি সংস্থা যাত্রা শুরু করেছে, তারা ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন ঠেকাতে যথাযত পদক্ষেপ নিচ্ছে না। বিশ্বের প্রভাবশালী ১৬৯ কোম্পানির মধ্যে অধিকাংশই ২০২৩ সালে তাদের কার্বন নিঃসরণ না কমিয়ে উল্টো বাড়িয়েছে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনফ্লুয়েন্স ম্যাপের এমেট্টি কোনেয়ার বলেন, জলবায়ু নিয়ে বৈশ্বিক অঙ্গীকার সত্ত্বেও বিশ্বের বড় জীবাশ্ম জ্বালানি কোম্পানিগুলোর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য হারে কার্বন নিঃসরণ বাড়াচ্ছে।
কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গমনে দায়ী বিশ্বের ৩৬ কোম্পানির মধ্যে আরও আছে চীনের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত কোম্পানি চায়না এনার্জি, ইরানের জাতীয় তেল কোম্পানি, রাশিয়ার গ্যাজপ্রম ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের এডনক। বলা বাহুল্য, জীবাশ্ম জ্বালানির সবচেয়ে বেশি ব্যবহার দেখা যায় পশ্চিমের দেশগুলোতে।