‘ডিসেন্ট্রালাইজড বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্যে ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীকতার প্রতিবাদে রেললাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন রাজশাহী বিশ্বব্যিালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা দুই ঘণ্টা রেলপথ অবরোধ করে রাখেন।

বুধবার (৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে একদল শিক্ষার্থী রাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেশন বাজার এলাকায় রেলপথ অবরোধ করেন।  এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘ঢাকা না রংপুর, রংপুর, রংপুর’, ‘ঢাকা না কুমিল্লা, কুমিল্লা, কুমিল্লা’, ‘ঢাকা না রাজশাহী, রাজশাহী, রাজশাহী’, ‘ঢাবি না রাবি, রাবি, রাবি' বলে স্লোগান দিতে থাকেন। দুপুর ২টার দিকে তারা অবরোধ তুলে নেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, “আমরা ঢাকা কেন্দ্রিকতার বাইরে সারা দেশ থেকে নিয়োগের সমতা চাই। এই বাংলাদেশকে ঢাকা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীকতা থেকে মুক্তি দিতে হবে।”

আরো পড়ুন:

স্কুলে ভর্তিতে ৫ শতাংশ কোটা বাতিল, থাকবে সংরক্ষিত আসন

ডুয়েটে ছাত্রদলের নতুন কমিটি থেকে সভাপতিসহ ১৫ নেতার পদত্যাগ

তিনি আরো বলেন, “ইউজিসি থেকে শুরু করে উপদেষ্টা নিয়োগে সব জায়গায় ঢাকা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিপত্য। আমরা এ আধিপত্য মানি না। আমরা পিএসসি থেকে শুরু করে ইউজিসি পর্যন্ত সবকিছুর পুনর্গঠন চাই।”

অপর সমন্বয়ক ফাহিম রেজা বলেন, “আমরা ডিসেন্ট্রোলাইজড বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এখানে দাঁড়িয়েছি। আমাদের লক্ষ্য হলো ঢাবি কেন্দ্রিক আধিপত্যের বাইরে এসে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়কে তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী ন্যায্য অধিকার দেওয়া। রাষ্ট্র পুনর্গঠনের এই প্রক্রিয়ায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। ঢাবি-সিন্ডিকেটের একচেটিয়া প্রভাবের অবসান ঘটিয়ে পিএসসি ও ইউজিসিতে সবার জন্য সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। পাশাপাশি, আমাদেরও সেখানে প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।”

এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দিবাগত রাতে একই দাবিতে রাবি ক্যাম্পাসের ভেতরে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা/ফাইম/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অবর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

মাদারীপুর প্রশাসনের ২৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকে মামলা

মাদারীপুরে পদ্মা সেতুসহ বিভিন্ন প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণের সময় প্রায় ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। অন্যের মালিকানাধীন খাস ও অর্পিত সম্পত্তির ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে এমনটা করা হয়েছে।

এ ঘটনায় সাবেক ভূমি হুকুম দখল কর্মকর্তা প্রমথ রঞ্জন ঘটকসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) মামলা হয়েছে। বর্তমানে তিনি জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল ঢাকার সহকারী পরিচালক। 

মামলা সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতুসহ ৫টি এল এ কেসের সরকারি খাস, ভিপি সম্পত্তি ও বিভিন্ন মালিকের সম্পত্তির কাগজপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ বিল তুলে নেওয়া হয়। ২৩ চেকের বিপরীতে ৯ কোটি ৯৭ লাখ ৮৫ হাজার ৫৪ টাকা বিভিন্ন নামে তুলে নেয় একটি চক্র। মাদারীপুর ডিসি অফিসের সাবেক এলএও প্রমথ রঞ্জন ঘটক এই জালিয়াতিতে জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে দুদক। একই সময় কর্মরত দুই সার্ভেয়ার মো. রাসেল আহমেদ ও মো. নাসিরউদ্দিন জড়িত ছিল।

এই তিনজন ছাড়াও স্থানীয় আলো পত্তনদার, আব্দুল মালেক মৃধা, সুরুজ মিয়া, রাজিয়া বেগম, আব্দুল কাদির কাজী, শাহিন বেপারি, কুলসুম বিবি, আতিকুর রহমান, মো. মিলন শেখ, জিল্লুর রহমান, মনির মিয়া, জোছনা বেগম, আঁখি বেগম, আলম আলী বেপারি, হাসিনা বেগম, আসমা বেগম, আওলাদ হোসেন, ফরিদা বেগম, মতিউর রহমান ও সুধাংশু কুমার মণ্ডলকে আসামি করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ