দুই কার্গো এলএনজি ও সার ক্রয়ে ব্যয় ১৬৫১ কোটি
Published: 5th, March 2025 GMT
দেশের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে মার্চ মাসের জন্য সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ২ কার্গো এলএনজি আমদানির দুটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ১৬৫১ কোটি ৫ লাখ ২৭ হাজার ১৮০ টাকা।
বুধবার (৫মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় প্রস্তাব দুটিতে অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় কমিটির সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভা সূত্রে জানা গেছে, পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮ অনুযায়ী স্পট মার্কেট হতে ১ কার্গো এলএনজি সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ক্রয়ের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। বিদ্যুৎ, সার, শিল্পখাতসহ বিভিন্ন খাতে দেশে গ্যাসের চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি ক্রয়ের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হলে ২টি কোটেশন জমা পড়ে। এ কারণে সরসারি ক্রয় পদ্ধতিতে এলএনজি ক্রয়ের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে মোট ব্যয় হবে ৭৫৪ কোটি ৪২ লাখ ৮ হাজার ৬৭২ টাকা।
এ ছাড়াও সভায়, পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা-২০০৮ অনুসরণ করে আন্তর্জাতিক কোটেশন প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে ১ কার্গো এলএনজি আমদানির প্রত্যাশাগত অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। দরপ্রস্তাব আহ্বান করা হলে ৩টি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে। ৩টি প্রস্তাবই কারিগরি ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান মেসার্স গানভর সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লি.
সভায় কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের কাছ থেকে ১৪তম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ক্রয়ের একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এতে ব্যয় হবে ১৫৪ কোটি ৬৮ লাখ ৭ হাজার ৫০০ টাকা।
ঢাকা/হাসনাত
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আরও এক কার্গো এলএনজি কেনা হচ্ছে, দাম প্রতি ইউনিট সাড়ে ১২ ডলার
সিঙ্গাপুর থেকে এক কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির প্রস্তাব সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে অনুমোদিত হয়েছে। এতে প্রায় ৫৯৮ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এলএনজি সরবরাহের এ কাজ পেয়েছে সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ক্রয় কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও বিশ্বব্যাংকের বসন্তকালীন বৈঠকে যোগ দিতে অর্থ উপদেষ্টা এখন যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। সেখান থেকে তিনি অনলাইনে এ সভায় অংশ নেন।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, গণখাতে ক্রয় বিধিমালা, ২০০৮ অনুসরণ করে আন্তর্জাতিক দরপত্র প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে এ এলএনজি আমদানি করা হবে। এক কার্গো সমান ৩৩ লাখ ৬০ হাজার মিলিয়ন মেট্রিক ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট (এমএমবিটিইউ) এলএনজি। এ দফায় প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম পড়েছে ১২ দশমিক ৪৭৫ মার্কিন ডলার।
এর আগে গত ৫ মার্চ ক্রয় কমিটিতে দুই কার্গো এলএনজি কেনার দুটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছিল। একটিতে দর ছিল প্রতি এমএমবিটিইউ ১৫ দশমিক ৭৩ মার্কিন ডলার, আরেকটিতে দর ছিল প্রতি এমএমবিটিইউ ১৫ দশমিক ৪৭ মার্কিন ডলার। সেই হিসাবে এখন দাম কিছুটা কম পড়ছে।
২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে তৎকালীন সরকার আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানির জন্য আগ্রহী বিক্রেতা বা সরবরাহকারীদের তালিকা চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এতে সাড়া দিয়ে ২৯টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। তাদের মধ্য থেকে ১৭টির সঙ্গে প্রথম দফায় মাস্টার সেল অ্যান্ড পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট (এমএসপিএ) অনুস্বাক্ষর করা হয়।
তবে আইনি পরীক্ষা-নিরীক্ষার (ভেটিং) পর অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি পেট্রোবাংলার সঙ্গে এমএসপিএ স্বাক্ষরের অনুমোদন দেওয়া হয় ১৪টি প্রতিষ্ঠানকে। পরে প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা অবশ্য ২৩–এ উন্নীত হয়। ভিটল এশিয়া সেই ২৩টিরই একটি।
এলএনজি সরবরাহের জন্য চুক্তিবদ্ধ ২৩টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দর প্রস্তাব আহ্বান করা হলে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান দর প্রস্তাব দাখিল করে। এর মধ্যে চারটি প্রস্তাব কারিগরি ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয় এবং সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে কাজ পায় ভিটল এশিয়া। এ ছাড়া ক্রয় কমিটিতে ‘ইনস্টলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং উইথ ডাবল পাইপলাইন’ শীর্ষক প্রকল্পে নিয়োজিত আইএলএফ কনসাল্টিং ইঞ্জিনিয়ার্স, ইউএই পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ১ কোটি ৩ লাখ টাকা ভেরিয়েশন প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে।