এস আলম গ্রুপের মালিকের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ১১ ব্যক্তির বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা
Published: 5th, March 2025 GMT
এস আলম গ্রুপের কর্ণধার আলোচিত ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সাইফুল আলমের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ১১ ব্যক্তির বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ জাকির হোসেন গতকাল মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
যে ১১ ব্যক্তির বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন বেলাল আহমেদ, ফসিহল আলম, সাজদা বেগম, মাহমুদুল আলম, মোস্তান বিল্লাহ আদিল, আতিকুর নেছা, লুৎফুন নাহার, চেমন আরা বেগম, মায়মুনা খানম, বদরুন্নেসা আলম ও শারমিন ফাতেমা।
দুদকের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে আদালতকে বলা হয়, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুর, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডস, সাইপ্রাস ও অন্যান্য দেশে ১০০ কোটি মার্কিন ডলার পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান করছে দুদক।
দুদকের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলমের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ১১ জন যেকোনো সময় বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা না গেলে সাইফুল আলম ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করা দুরূহ হয়ে যাবে। শুনানি শেষে আদালত ওই ১১ ব্যক্তির বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন।
সর্বশেষ গত ২৩ ফেব্রুয়ারি এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তির নামে থাকা ৮ হাজার ১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। তিন দফায় সাইফুল আলম ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তির নামে থাকা ১৬ হাজার কোটি টাকা মূল্যের শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন আদালত।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এস আলম গ র প র
এছাড়াও পড়ুন:
৩৬ কোম্পানি থেকে বিশ্বের অর্ধেক কার্বন ডাইঅক্সাইড
জলবায়ু পরিবর্তন ও তাপমাত্রা বাড়ানোর জন্য দায়ী কার্বন ডাইঅক্সাইডের অর্ধেক উৎপাদন করে মাত্র ৩৬টি কোম্পানি। এসব জীবাশ্ম জ্বালানি কোম্পানি বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়াতে বড় ভূমিকা রাখছে। এ কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে সৌদি আরবের আরামকো, ভারতের কোল, এক্সন মোবিল, শেল ও চীনের বেশ কয়েকটি কোম্পানি। এগুলোর উৎপাদিত কয়লা, তেল ও গ্যাসের কারণে ২০২৩ সালে ২০ বিলিয়ন টনের বেশি কার্বন ডাইঅক্সাইড উৎপন্ন হয়েছে।
গতকাল বুধবার দ্য গার্ডিয়ান অনলাইনে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে। প্রতিবেদনে ২০২৩ সালের জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার ও প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমিত রাখতে হলে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণ অবশ্যই ৪৫ শতাংশ কমাতে হবে। কিন্তু এখনও কার্বন নিঃসরণের এ ধারা ঊর্ধ্বগামী, যা বিশ্বব্যাপী চরম ভাবাপন্ন আবহাওয়াকে উস্কানি দিচ্ছে।
আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থা বলছে, ২০২১ সালের পর যেসব জীবাশ্ম জ্বালানি সংস্থা যাত্রা শুরু করেছে, তারা ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন ঠেকাতে যথাযত পদক্ষেপ নিচ্ছে না। বিশ্বের প্রভাবশালী ১৬৯ কোম্পানির মধ্যে অধিকাংশই ২০২৩ সালে তাদের কার্বন নিঃসরণ না কমিয়ে উল্টো বাড়িয়েছে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনফ্লুয়েন্স ম্যাপের এমেট্টি কোনেয়ার বলেন, জলবায়ু নিয়ে বৈশ্বিক অঙ্গীকার সত্ত্বেও বিশ্বের বড় জীবাশ্ম জ্বালানি কোম্পানিগুলোর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য হারে কার্বন নিঃসরণ বাড়াচ্ছে।
কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গমনে দায়ী বিশ্বের ৩৬ কোম্পানির মধ্যে আরও আছে চীনের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত কোম্পানি চায়না এনার্জি, ইরানের জাতীয় তেল কোম্পানি, রাশিয়ার গ্যাজপ্রম ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের এডনক। বলা বাহুল্য, জীবাশ্ম জ্বালানির সবচেয়ে বেশি ব্যবহার দেখা যায় পশ্চিমের দেশগুলোতে।