মাত্র দুই সপ্তাহ আগে আইফোন ১৬ই উন্মোচনের পর এবার আরও একটি নতুন পণ্য বাজারে আনতে যাচ্ছে অ্যাপল। এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য না জানা না গেলেও অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) টিম কুকের এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক ভিডিও বার্তা প্রযুক্তিপ্রেমীদের কৌতূহল বাড়িয়ে দিয়েছে। ‘এই সপ্তাহে’ ক্যাপশন দিয়ে তৈরি ভিডিওতে লেখা রয়েছে ‘দেয়ার ইস সামথিং ইন দ্য এয়ার’। ভিডিওটি প্রকাশের পর প্রযুক্তি বিশ্লেষক ও ব্যবহারকারীদের মধ্যে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। অনেকে মনে করছেন, নতুন যন্ত্রটি হতে পারে এম৪ চিপযুক্ত নতুন ম্যাকবুক এয়ার। তবে কেউ কেউ বলছেন, এটি আইপ্যাড এয়ারের নতুন সংস্করণও হতে পারে।

প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের বড় একটি অংশ মনে করছেন, অ্যাপল এবার এম৪ চিপযুক্ত ম্যাকবুক এয়ার উন্মোচন করতে পারে। গত বছরের ৪ মার্চ অ্যাপল ১৩ ইঞ্চি ম্যাকবুক এয়ার বাজারে এনেছিল। আর তাই এবার প্রতিষ্ঠানটি ১৩ ও ১৫ ইঞ্চি পর্দার ম্যাকবুক এয়ার বাজারে আনতে পারে। এ বিষয়ে ব্লুমবার্গের বিশ্লেষক মার্ক গারম্যান জানিয়েছেন, অ্যাপল এম৪ চিপযুক্ত নতুন ম্যাকবুক এয়ার আনতে যাচ্ছে। নতুন সংস্করণে আরও উন্নত ক্ষমতার ব্যাটারি, ন্যানো-টেক্সচার ডিসপ্লে এবং ১৬ থেকে ৩২ গিগাবাইট র‍্যাম থাকতে পারে। নতুন ম্যাকবুক এয়ার আরও দক্ষতার সঙ্গে অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স পরিচালনা করতে পারবে।

আরও পড়ুনআইফোনে নকল চার্জার থেকে বৈদ্যুতিক শক ও অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি০১ মার্চ ২০২৫

অনেক প্রযুক্তি বিশ্লেষকের ধারণা, টিম কুকের পোস্ট শুধু ম্যাকবুক এয়ারের জন্য নয়, বরং আইপ্যাড এয়ারের নতুন সংস্করণেরও ইঙ্গিত হতে পারে। কুকের পোস্টের ভিডিও বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ‘এয়ার’ শব্দটির ওপর দিয়ে একটি সরু যন্ত্র দ্রুতগতিতে অতিক্রম করেছে। আর তাই কেউ কেউ বলছেন, এটি ম্যাকবুক এয়ার নয়, বরং নতুন আইপ্যাড এয়ার হতে পারে। সর্বশেষ আইপ্যাড এয়ার বাজারে এসেছিল ২০২৪ সালের মে মাসে। এতে ছিল এম২ চিপ এবং ১১ ও ১৩ ইঞ্চির দুটি সংস্করণ। এবার এম৩ চিপযুক্ত নতুন আইপ্যাড এয়ার আসতে পারে।

আরও পড়ুননতুন আইফোনের ঘোষণা দিল অ্যাপল, দাম কত২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুরোনো মডেলের আইপ্যাড এয়ারের স্টক কমাতে শুরু করেছে অ্যাপল। যা সাধারণত নতুন সংস্করণ উন্মোচনের আগে করা হয়। ফলে এ বছরই নতুন আইপ্যাড এয়ার বাজারে আসার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
অ্যাপল চলতি সপ্তাহে কোন যন্ত্র উন্মোচন করতে যাচ্ছে, সেটি এখনো নিশ্চিত নয়। তবে প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মতে, নতুন ম্যাকবুক এয়ার এবং আইপ্যাড এয়ার—এই দুটি ডিভাইসই উন্মুক্ত করা হতে পারে।

সূত্র: ডেইলি মেইল

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

৩৬ কোম্পানি থেকে বিশ্বের অর্ধেক কার্বন ডাইঅক্সাইড

জলবায়ু পরিবর্তন ও তাপমাত্রা বাড়ানোর জন্য দায়ী কার্বন ডাইঅক্সাইডের অর্ধেক উৎপাদন করে মাত্র ৩৬টি কোম্পানি। এসব জীবাশ্ম জ্বালানি কোম্পানি বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়াতে বড় ভূমিকা রাখছে। এ কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে সৌদি আরবের আরামকো, ভারতের কোল, এক্সন মোবিল, শেল ও চীনের বেশ কয়েকটি কোম্পানি। এগুলোর উৎপাদিত কয়লা, তেল ও গ্যাসের কারণে ২০২৩ সালে ২০ বিলিয়ন টনের বেশি কার্বন ডাইঅক্সাইড উৎপন্ন হয়েছে।

গতকাল বুধবার দ্য গার্ডিয়ান অনলাইনে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে। প্রতিবেদনে ২০২৩ সালের জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার ও প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমিত রাখতে হলে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণ অবশ্যই ৪৫ শতাংশ কমাতে হবে। কিন্তু এখনও কার্বন নিঃসরণের এ ধারা ঊর্ধ্বগামী, যা বিশ্বব্যাপী চরম ভাবাপন্ন আবহাওয়াকে উস্কানি দিচ্ছে।

আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থা বলছে, ২০২১ সালের পর যেসব জীবাশ্ম জ্বালানি সংস্থা যাত্রা শুরু করেছে, তারা ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন ঠেকাতে যথাযত পদক্ষেপ নিচ্ছে না। বিশ্বের প্রভাবশালী ১৬৯ কোম্পানির মধ্যে অধিকাংশই ২০২৩ সালে তাদের কার্বন নিঃসরণ না কমিয়ে উল্টো বাড়িয়েছে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনফ্লুয়েন্স ম্যাপের এমেট্টি কোনেয়ার বলেন, জলবায়ু নিয়ে বৈশ্বিক অঙ্গীকার সত্ত্বেও বিশ্বের বড় জীবাশ্ম জ্বালানি কোম্পানিগুলোর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য হারে কার্বন নিঃসরণ বাড়াচ্ছে। 

কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গমনে দায়ী বিশ্বের ৩৬ কোম্পানির মধ্যে আরও আছে চীনের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত কোম্পানি চায়না এনার্জি, ইরানের জাতীয় তেল কোম্পানি, রাশিয়ার গ্যাজপ্রম ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের এডনক। বলা বাহুল্য, জীবাশ্ম জ্বালানির সবচেয়ে বেশি ব্যবহার দেখা যায় পশ্চিমের দেশগুলোতে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ