Prothomalo:
2025-04-26@01:35:22 GMT

এবার গরম কেমন পড়বে

Published: 5th, March 2025 GMT

এ বছরের জানুয়ারি মাস ছিল ইতিহাসের সবচেয়ে উষ্ণতম মাস। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোপার্নিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস এ পরিসংখ্যান দিয়েছে। তাদের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারির তাপমাত্রা প্রায় শূন্য দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপ নিয়ে গত বছরের (২০২৪) জানুয়ারির রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।

এবার দেশে শীত তেমন পড়েনি। ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে শূন্য দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। আর সদ্য বিদায়ী ফেব্রুয়ারিতে তাপমাত্রা বেশি ছিল ১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেখা যাচ্ছে, ফেব্রুয়ারিতে তাপমাত্রা অনেকটাই বেড়ে গেছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর ইতিমধ্যে তাদের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলেছে, মার্চ মাসে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকতে পারে।

আবহাওয়াবিদ মো.

ওমর ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, ৯ মার্চের পর থেকেই তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করতে পারে। আর এটা অব্যাহত থাকবে। শীতের মাসগুলোতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তাপমাত্রা এবার ইঙ্গিত দিচ্ছে, গরম অনেকটাই পড়বে।

এল নিনো ও লা নিনার অবস্থা

বৈশ্বিক আবহাওয়ার গতিপ্রকৃতি নির্ধারণে এল নিনো ও লা নিনার প্রভাব আছে। এগুলো হলো প্রশান্ত মহাসাগরের ওপর বাতাসের ধরন ও সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রার একটি অনিয়মিত কিন্তু পর্যায়ক্রমিক পরিবর্তন। এল নিনো বলতে বায়ুপ্রবাহের উষ্ণ পর্যায়কে বোঝায়। অন্যদিকে লা নিনা বোঝায় এর শীতল পর্যায়কে।

২০২৪ সালের জুলাই থেকে প্রশান্ত মহাসাগরের পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করেছিল। এর আগে, মহাসাগরের উপরিতলের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ছিল, যা আবহাওয়াবিদদের ভাষায় ‘এল নিনো’ পরিস্থিতি হিসেবে পরিচিত।

তবে চলতি বছরে লা নিনা প্রাধান্যশীল বলে ধরা হয়। তাই স্বাভাবিকভাবেই ধরে নেওয়া যেতে পারে, গরম অত তীব্র নাও হতে পারে। কিন্তু আবহাওয়ার বিভিন্ন মডেল ব্যাখ্যা করে আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, লা নিনার প্রভাব অনেকটাই কমে আসছে।

যুক্তরাজ্য আবহাওয়া অফিসের দীর্ঘমেয়াদি আবহাওয়ার পূর্বাভাস বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক অ্যাডাম স্কাইফ বলেন, ‘মজার বিষয় হলো, ২০২৫ সালের উষ্ণ বৈশ্বিক তাপমাত্রার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে যদিও গ্রীষ্মমণ্ডলীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল লা নিনা পর্যায়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, যা কিছুটা শীতল পরিস্থিতি তৈরি করছে।’

অ্যাডাম স্কাইফের ভাষ্য, ২০২৫ সালের মতো বছরগুলোতে যখন এল নিনোর উষ্ণায়নের প্রভাব নেই, সেই সময় আরও শীতল হওয়া উচিত। ২০১৬ সাল ছিল এল নিনোর বছর এবং সেই সময়ে এটি ছিল বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রার রেকর্ডের সবচেয়ে উষ্ণ বছর। যদিও ২০২৫ সালের জন্য আমাদের পূর্বাভাসের তুলনায়, ২০১৬ এখন স্পষ্টতই শীতল দেখাচ্ছে।

আবহাওয়ার বৈশ্বিক পূর্বাভাসগুলো কী বলছে

জাপান আবহাওয়া সংস্থা গত ডিসেম্বরেই জানিয়েছিল, নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ভারত মহাসাগর থেকে পশ্চিম–উত্তর প্রশান্ত মহাসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলে, দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্ব এবং পূর্ব এশিয়ার অনেক অংশসহ, স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তাপমাত্রা থাকবে।

বাস্তবেও তা–ই হয়েছে। শুধু বাংলাদেশ না, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে মিয়ানমার, থাইল্যান্ড এবং ফিলিপাইন পর্যন্ত অবস্থা মোটামুটি একই রকম ছিল।
যুক্তরাজ্যের আবহাওয়া অফিসের ওয়েবসাইটে দেওয়া পূর্বাভাস বলছে, ২০২৫ সাল বিশ্বব্যাপী গড় তাপমাত্রার নিরিখে উষ্ণতম বছরের মধ্যে একটি হতে পারে। ২০২৪ এবং ২০২৩ সালের ঠিক পরেই থাকবে।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) ইতিমধ্যেই বলেছে, ২০২৪ সাল ছিল সবচেয়ে উষ্ণ বছর। প্রথমবারের মতো এটি প্রাক্‌-শিল্প (১৮৫০-১৯০০) স্তরের চেয়ে প্যারিস চুক্তির ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা অতিক্রম করেছে। ২০২৩ সালে ১ দশমিক ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা অতিক্রম করেছি। সেটিও আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে উষ্ণতম বছর ছিল। সেই ধারাবাহিকতা ২০২৫–এও চলতে পারে বলে এ সংস্থা বলছে।

লা নিনার কারণে গরম যে খুব কমে যাবে, তা বলছে না জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক আন্তসরকারি প্যানেল বা আইপিসিসি। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লা নিনার শীতল প্রভাব সত্ত্বেও চরম তাপ এখনো উদ্বেগের বিষয়। এশিয়ায়, তাপপ্রবাহের তীব্রতা বেড়েছে, সেই সঙ্গে শীতের তীব্রতা কমে গেছে। প্রবণতা আগামী দশকগুলোতেও অব্যাহত থাকতে পারে।

জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এ কে এম সাইফুল ইসলাম বলছিলেন, এবার লা নিনার বছর হলেও গত বছরের চেয়ে তাপমাত্রা এবার অনেকটা কমে যাবে এমন সম্ভাবনা কম। গত বছরের উষ্ণ আবহাওয়ার ধারাবাহিকতা এবারও থাকতে পারে। এর জন্য যে শুধু বৈশ্বিক আবহাওয়ার গতিপ্রকৃতিই কারণ, তা–ই নয়। গাছ উজাড়, অপরিকল্পিত নগরায়ণসহ পরিবেশবিরুদ্ধ নানা কর্মকাণ্ডের ভূমিকা আছে।

অধ্যাপক এ কে এম সাইফুল ইসলাম, পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউট, বুয়েট

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ২০২৫ স ল পর য য এল ন ন দশম ক বছর র

এছাড়াও পড়ুন:

১০৫ শতাংশ চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করল বাটা

বাটা শু (বাংলাদেশ) লিমিটেড ২০২৪ সালের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০৫ শতাংশ চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত পর্ষদ সভায় এ লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে দেওয়া ঘোষণায় এই তথ্য জানানো হয়েছে।

কোম্পানিটির ঘোষিত লভ্যাংশ ও অন্যান্য এজেন্ডায় বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন নিতে আগামী ২৬ জুন বার্ষিক সাধারণ সভা আহ্বান করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৬ মে।

বাটা শুর বিবরণী অনুযায়ী, আগের বছরের তুলনায় গত বছর শেয়ারপ্রতি আয় ২৬ শতাংশ কমে ২১ টাকা ৬২ পয়সায় দাঁড়িয়েছে। ২০২৪ সালে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ২১ টাকা ৬২ পয়সা। আগের বছর যেখানে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছিল ২৯ টাকা ৩১ পয়সা।

সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি প্রকৃত সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ২২০ টাকা ২২ পয়সা। এটি ২০২৩ সালে ছিল ২৩৭ টাকা ৯৩ পয়সা। এ ছাড়া গত বছর বাটা শুর নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো পার শেয়ার বা শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থের প্রবাহ হয়েছে ৭১ টাকা ৪২ পয়সা; ২০২৩ সালে যা ছিল ৯৩ টাকা ৮০ পয়সা।

লভ্যাংশ ঘোষণারও পর আজ বুধবার শেয়ারবাজারে বা শু কোম্পানির শেয়ারের দাম তেমন একটা বাড়েনি। সকালের প্রথম অধিবেশনে দাম বেড়েছে মাত্র ১ দশমিক ২৫ শতাংশ।

গত এক বছরে বাট শু কোম্পানির শেয়ারের সর্বোচ্চ দর ছিল ১ হাজার ২৫ টাকা এবং সর্বনিম্ন দর ছিল ৭৭০ টাকা। এর আগে ২০২৩ সালে বাটা লভ্যাংশ দিয়েছে ৪৩৫ শতাংশ; ২০২২ সালে ৩৬৫ শতাংশ; ২০২১ সালে ৭৫ শতাংশ ও ২০২০ সালে ২৫ শতাংশ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রং হারিয়েছে বিশ্বের ৮৪ শতাংশ প্রবালপ্রাচীর
  • গৃহকর নিয়ে প্রশাসকের সঙ্গে বাসিন্দাদের হট্টগোল
  • রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমবে
  • ফুটবলার মোরসালিনের বিবাহ বিচ্ছেদ, স্ত্রীর মামলা প্রত্যাহার
  • আইপিডিসি ফাইন্যান্সের এজিএমের সময় পরিবর্তন
  • অর্থ উপদেষ্টার কাছে হিমায়িত মৎস্য রপ্তানিকারকদের ৬ দাবি
  • যুক্তরাষ্ট্র–ভারত বাণিজ্য চুক্তির শর্ত প্রস্তুত, আজ থেকে আলোচনা
  • বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের ২০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা
  • ১০৫ শতাংশ চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করল বাটা
  • বাটা সুর ৪৪৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা