দুদকের করা অবৈধ ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় আত্মপক্ষ শুনানিতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন আলোচিত ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তার।

আজ বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলমের আদালতে তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান।

আদালত সূত্রে জানা যায়, এদিন মামলাটিতে আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানির দিন ধার্য ছিল। বিচারক আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পড়ে শোনান। এরপর আদালত তাদের কাছে জানতে চান, তারা দোষী না নির্দোষ। এসময় তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চায়। সাফাই সাক্ষ্য দেবেন কিনা জানতে চাইলে বলেন, সাফাই সাক্ষ্য দিবেন। পরে আদালত আগামী ১০ মার্চ সাফাই সাক্ষ্যের তারিখ ধার্য করেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী বেলাল হোসেন জানান, ‘দুই আসামির মধ্যে জি কে শামীম কারাগারে আছেন। তাকে আদালতে হাজির করা হয়। তার মা জামিনে আছেন, তিনি অসুস্থ। তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে আদালতে হাজির করা হয়। এদিন আত্মপক্ষ শুনানিতে তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।’

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলাটি রায়ের জন্য ছিলো। তবে জি কে শামীমের আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে পুনরায় জেরা করার আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন। মামলাটি রায় থেকে উত্তোলন করে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ধার্য করা হয়।

২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর জি কে শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের বিরুদ্ধে ২৯৭ কোটি ৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো.

সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। ২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ২০২২ সালের ১৮ অক্টোবর তাদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

পুতিনকে ছয়টি হাতি উপহার মিয়ানমার জান্তার

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ছয়টি হাতি উপহার দিয়েছেন মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্ল্যাইং। মঙ্গলবার মস্কো সফরের সময় এ উপহার দেন তিনি। খবর বার্তা সংস্থা তাসের।

সম্প্রতি রাশিয়ার কাছ থেকে ছয়টি যুদ্ধবিমান কিনেছে মিয়ানমার। বিশ্লেষকরা মনে করেন, রাশিয়া ও মিয়ানমারের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করার একটি প্রয়াস এ হাতি উপহার। অনেকে একে ‘হাতি কূটনীতি’ বলছেন। মঙ্গলবার ক্রেমলিনে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন জান্তাপ্রধান।

বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়। মিয়ানমারে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চুক্তিতেও সই হয়। রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত পরমাণু বিদ্যুৎ কোম্পানি রোসাটমের অর্থায়ন ও তত্ত্বাবধানে মিয়ানমারে ১০০ মেগাওয়াটের একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। এ কেন্দ্র নির্মাণ শেষে পরিচালনার দায়িত্বও রোসাটমের হাতে থাকবে।

রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, ২০২৪ সালে দুই দেশের বাণিজ্য ৫০ শতাংশ বেড়েছে। উপহারের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আপনার এ বন্ধুত্বপূর্ণ উপহারের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। হাতিগুলো ইতোমধ্যেই মস্কোর চিড়িয়াখানায় স্থানান্তর করা হয়েছে।’ মিয়ানমারে সামরিক সহায়তা অব্যাহত রাখারও আশ্বাস দেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ