অবিলম্বে মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্তরের সব শিক্ষার্থীর কাছে সব পাঠ্যপুস্তক পৌঁছে দেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছে জাতীয় শিক্ষা সংস্কৃতি আন্দোলন।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির আহ্বায়ক মাহমুদ সেলিম ও সদস্য সচিব রুস্তম আলী খোকন।

বিবৃতিতে তারা বলেছেন, দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যথাসময়ে বই সরবরাহ না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বছরের প্রথম দুই মাস অতিক্রান্ত হয়ে তৃতীয় মাস চলছে। ইতোমধ্যে বিদ্যালয়গুলোতে চল্লিশ দিনের রমজানের ছুটি শুরু হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি, মাধ্যমিক স্তরে ৬ কোটি ২২ লাখ পাঠ্যপুস্তক এখনও ছাপা হয়নি। বিভিন্ন সূত্র জানাচ্ছে, কাগজসহ নানা সঙ্কটের কারণে এনসিটিবি চলতি মাসে সব বই পৌঁছে দেওয়ার ঘোষণা দিলেও প্রকৃতপক্ষে তা সম্ভব না।’

বিবৃতিতে শিক্ষাজীবন রক্ষায় অবিলম্বে শিক্ষার্থীদের মাঝে সব বই তুলে দিতে প্রয়োজনীয় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানান জাতীয় শিক্ষা সংস্কৃতি আন্দোলনের নেতারা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বই

এছাড়াও পড়ুন:

মাদারীপুর প্রশাসনের ২৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকে মামলা

মাদারীপুরে পদ্মা সেতুসহ বিভিন্ন প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণের সময় প্রায় ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। অন্যের মালিকানাধীন খাস ও অর্পিত সম্পত্তির ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে এমনটা করা হয়েছে।

এ ঘটনায় সাবেক ভূমি হুকুম দখল কর্মকর্তা প্রমথ রঞ্জন ঘটকসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) মামলা হয়েছে। বর্তমানে তিনি জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল ঢাকার সহকারী পরিচালক। 

মামলা সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতুসহ ৫টি এল এ কেসের সরকারি খাস, ভিপি সম্পত্তি ও বিভিন্ন মালিকের সম্পত্তির কাগজপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ বিল তুলে নেওয়া হয়। ২৩ চেকের বিপরীতে ৯ কোটি ৯৭ লাখ ৮৫ হাজার ৫৪ টাকা বিভিন্ন নামে তুলে নেয় একটি চক্র। মাদারীপুর ডিসি অফিসের সাবেক এলএও প্রমথ রঞ্জন ঘটক এই জালিয়াতিতে জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে দুদক। একই সময় কর্মরত দুই সার্ভেয়ার মো. রাসেল আহমেদ ও মো. নাসিরউদ্দিন জড়িত ছিল।

এই তিনজন ছাড়াও স্থানীয় আলো পত্তনদার, আব্দুল মালেক মৃধা, সুরুজ মিয়া, রাজিয়া বেগম, আব্দুল কাদির কাজী, শাহিন বেপারি, কুলসুম বিবি, আতিকুর রহমান, মো. মিলন শেখ, জিল্লুর রহমান, মনির মিয়া, জোছনা বেগম, আঁখি বেগম, আলম আলী বেপারি, হাসিনা বেগম, আসমা বেগম, আওলাদ হোসেন, ফরিদা বেগম, মতিউর রহমান ও সুধাংশু কুমার মণ্ডলকে আসামি করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ