বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। আজ বুধবার তিনি বাসায় ফিরতে পারেন। প্রথম আলোকে এই তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান। মির্জা ফখরুলের ব্যক্তিগত সহকারী ইউনুছ আলী অবশ্য গতকাল মঙ্গলবার রাতে প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘স্যারের সুস্থ হতে আরও সময় লাগবে।’ আজ তাঁকে ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

অসুস্থ বোধ করায় গত রোববার সকালে রাজধানীর গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে মির্জা ফখরুলকে ভর্তি করা হয়। বিএনপির সূত্র বলছে, ইউনাইটেড হাসপাতালের চিফ কার্ডিওলজি কনসালট্যান্ট অধ্যাপক এন এ এম মোমেনুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে মির্জা ফখরুল চিকিৎসাধীন। তাঁর রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা কমে গিয়েছিল। আর বুকে কাশি জমাট বাঁধায় শ্বাসপ্রশ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছিল। প্রচণ্ড দুর্বল বোধ করছিলেন তিনি। এখন তিনি অনেকটা সুস্থ আছেন।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান প্রথম আলোকে জানিয়েছিলেন, গত সপ্তাহে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বইমেলায় বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে প্রচুর ধুলাবালু থাকার কারণে অসুস্থ বোধ করছিলেন বিএনপির মহাসচিব। এরপর দুই দিন ধরে তাঁর খারাপ লাগছিল। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে গত রোববার তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ফোনে মির্জা ফখরুলের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ র ম ফখর ল

এছাড়াও পড়ুন:

রাশিয়ার কুরস্কে সেনা মোতায়েনের কথা নিশ্চিত করল উত্তর কোরিয়া

রাশিয়ায় সেনা মোতায়েনের কথা প্রথমবারের মতো নিশ্চিত করেছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির সরকারি সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ আজ সোমবার জানিয়েছে, পিয়ংইয়ংয়ের সেনারা ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণাধীন কুরস্ক সীমান্ত অঞ্চল পুনর্দখলে রাশিয়াকে সাহায্য করেছে।

এর কয়েক দিন আগেই উত্তর কোরিয়ার সেনাদের যুদ্ধে অংশ নেওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে স্বীকার করে রাশিয়া। যদিও দক্ষিণ কোরিয়া ও পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো অনেক আগে থেকেই জানাচ্ছিল, পিয়ংইয়ং গত বছর কুরস্কে ১০ হাজারেরও বেশি সেনা পাঠিয়েছিল।

উত্তর কোরিয়ার কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশন কেসিএনএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর উপদলটি রাষ্ট্রপ্রধানের নির্দেশ অনুযায়ী কুরস্ক এলাকা মুক্ত করতে অভিযানে অংশগ্রহণ করেছে।’

কেসিএনএ জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং–উনের সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত ছিল পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তির অধীনে।

কিম বলেন, ‘ন্যায়বিচারের জন্য যারা লড়ছে, তারা সবাই মাতৃভূমির গর্ব এবং সম্মানের প্রতিনিধিত্বকারী।’

আরও পড়ুন কুরস্ক ‘পুনর্দখলে’ রাশিয়ার সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার সেনারা, প্রশংসায় মাতল মস্কো১৭ ঘণ্টা আগে

কিম আরও বলেছেন, যুদ্ধের বীরত্বগাথার স্মরণে রাজধানীতে শিগগিরই একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত হবে। তিনি ‘শহীদ সেনাদের সমাধিফলক’ স্থাপনের কথাও উল্লেখ করেছেন। এতে প্রকাশ্যে নিশ্চিত করা হলো, যুদ্ধে উত্তর কোরীয় সেনারা নিহত হয়েছেন। তিনি বলেন, যুদ্ধে অংশ নেওয়া সেনাদের পরিবারের প্রতি বিশেষ সম্মান দেখানো হবে এবং তাদের দেখভালের জন্য গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।

আরও পড়ুনপুতিন একটা মহাযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন?২৬ এপ্রিল ২০২৫

কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের মতে, ‘রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের দুঃসাহসী আক্রমণ প্রতিহত করে কুরস্ক অঞ্চল মুক্ত করার অভিযানে বিজয় হয়েছে।’

রুশ সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমভ গত শনিবার উত্তর কোরীয় সেনাদের ‘বীরত্বের’ প্রশংসা করে বলেছিলেন, তাঁরা ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর একটি দলকে পরাজিত করতে গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা করেছে।

আরও পড়ুনইউক্রেনে রুশ যুদ্ধশিবির থেকে দুর্বিষহ জীবনের গল্প বললেন এই বাংলাদেশি তরুণ২৬ এপ্রিল ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ