ইতিহাস শিখিয়েছে নেতৃত্বের কোনো লিঙ্গ হয় না: জীনাত হারুন
Published: 5th, March 2025 GMT
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের পরিচালক (গ্লোবাল সাবসিডিয়ারিজ) জীনাত হারুন। নিজ ক্ষেত্রে দারুণ পেশাদারিত্ব এবং নেতৃত্বের ছাপ রাখা এই কর্মকর্তার কাছে তার প্রিয় উক্তিটি জানতে চাওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘উদাহরণের মাধ্যমে নেতৃত্ব দেওয়াই সর্বোত্তম উপায়। যে পরিবর্তনটি আমরা দেখতে চাই, নিজের মাঝেই সেই পরিবর্তনকে ধারণ করতে হবে।’
দেশের ব্যাংকিং খাতের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব জীনাত হারুন। দায়িত্বের অংশ হিসেবে ইউরোপ এবং কোরিয়ার মাঝে বাণিজ্যিক নেটওয়ার্কগুলোর সমন্বয়ে কাজ করেন তিনি।
নিজ কর্মক্ষেত্রে তো বটেই, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মাঝেও তিনি নিজের কাজের প্রভাব রেখে যাবেন বলে আশা করেন জীনাত।
তিনি জানান, কর্মজীবনের শুরু থেকেই অনুজদের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা ছড়িয়ে দিতে চেষ্টা করেছেন তিনি। এর ফল হিসেবে নিজ চোখেই দেখেছেন তাদের উন্নতি। তার জন্য বড় গর্ব এবং উদ্যমের বিষয় এটি।
পৃথিবী প্রতিনিয়তই পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। জীনাত মনে করেন, এমন একটি পৃথিবীতে সকল কর্মীর মাঝেই একাগ্রতা এবং অনবরত শিক্ষা গ্রহণের মানসিকতা তৈরি করা জরুরি। এক্ষেত্রে নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তির উচিত সুবিবেচনাভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরিবেশ তৈরি করা এবং সকলের মাঝে সততা ও সমবেদনার চর্চা নিশ্চিত করা।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে, ইউনিলিভার বাংলাদেশের ‘এক্সেলারেট অ্যাকশন–এম্পাওয়ার্ড ওমেন, এম্পাওয়ারিং দ্য ফিউচার’ ক্যাম্পেইনের অধীনে জীনাত হারুনের নিবেদিত চেতনাকে স্বীকৃতি জানানো হয়েছে।
জীনাত হারুন জানান, ইতিহাসের অন্যতম প্রভাবশালী নারীদের মাঝে রয়েছেন ক্লিওপেট্রা, রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ, অ্যাঙ্গেলা মর্কেল এবং জ্যাসিন্ডা আর্ডেনের মতো ব্যক্তিত্ব। তারা প্রত্যেকেই বাধা পেরিয়ে, পরিবর্তন এনে নিজ নিজ অবস্থানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।
জীনাত বিশ্বাস করেন, ইতিহাসের প্রভাবশালী নারীদের সাহস এবং দৃঢ় সংকল্প থেকেই আমরা শিখতে পারি যে নেতৃত্বের আসলে কোনো লিঙ্গ হয় না। নারীদের নিজের স্বপ্ন ও সংকল্পকে সবসময়েই প্রাধান্য দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কর মকর ত
এছাড়াও পড়ুন:
মাদারীপুর প্রশাসনের ২৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকে মামলা
মাদারীপুরে পদ্মা সেতুসহ বিভিন্ন প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণের সময় প্রায় ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। অন্যের মালিকানাধীন খাস ও অর্পিত সম্পত্তির ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে এমনটা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় সাবেক ভূমি হুকুম দখল কর্মকর্তা প্রমথ রঞ্জন ঘটকসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) মামলা হয়েছে। বর্তমানে তিনি জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল ঢাকার সহকারী পরিচালক।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতুসহ ৫টি এল এ কেসের সরকারি খাস, ভিপি সম্পত্তি ও বিভিন্ন মালিকের সম্পত্তির কাগজপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ বিল তুলে নেওয়া হয়। ২৩ চেকের বিপরীতে ৯ কোটি ৯৭ লাখ ৮৫ হাজার ৫৪ টাকা বিভিন্ন নামে তুলে নেয় একটি চক্র। মাদারীপুর ডিসি অফিসের সাবেক এলএও প্রমথ রঞ্জন ঘটক এই জালিয়াতিতে জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে দুদক। একই সময় কর্মরত দুই সার্ভেয়ার মো. রাসেল আহমেদ ও মো. নাসিরউদ্দিন জড়িত ছিল।
এই তিনজন ছাড়াও স্থানীয় আলো পত্তনদার, আব্দুল মালেক মৃধা, সুরুজ মিয়া, রাজিয়া বেগম, আব্দুল কাদির কাজী, শাহিন বেপারি, কুলসুম বিবি, আতিকুর রহমান, মো. মিলন শেখ, জিল্লুর রহমান, মনির মিয়া, জোছনা বেগম, আঁখি বেগম, আলম আলী বেপারি, হাসিনা বেগম, আসমা বেগম, আওলাদ হোসেন, ফরিদা বেগম, মতিউর রহমান ও সুধাংশু কুমার মণ্ডলকে আসামি করা হয়েছে।