সুন্দর ত্বক কে না চায়? ত্বকের যত্নে তাই অনেকেই বিউটি পার্লারে ছোটেন। কেউ আবার দামি ক্রিম ব্যবহার করেন। ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করলেও অনেক সময় ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখা যায়। সে ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন জবা ফুল। 

উজ্জ্বল ত্বক পেতে জবা ফুল ব্যবহারের নিয়ম-

তাজা দেখে ১০ টি জবা ফুল নিন। এবার একটি পাত্রে আধ লিটার পানি গরম করুন। এবার আঁচ কমিয়ে জবা ফুল দিয়ে দিন। ১৫ মিনিট পর এটি অন্য পাত্রে ঢেলে নিন। এবার আপনি জবা ফুলের একটি জেল পাবেন। এই জেলটি আপনার মুখে লাগিয়ে আলতো করে ম্যাসাজ করুন। এটি শুধুমাত্র মুখেই নয়, হাত, পা এবং গলায়ও লাগাতে পারেন। ২০ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে করলে মুখের ময়লা, দাগ, কালো দাগ দূর হয়ে ত্বক উজ্জ্বল হবে। গোসলের আগে টানা সাত দিন এটি ব্যবহার করলে ত্বক উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।

জবা ফুলের জেলের সাথে মুলতানি মাটি মিশিয়ে ফেস প্যাক হিসেবে ব্যবহার করলে ত্বক উজ্জ্বল হয়। এই ফেস প্যাক ত্বকের মৃত কোষ দূর করে। এই ফেস প্যাকটি সপ্তাহে দুই বা তিনবার ব্যবহার করতে পারেন।

জবা ফুলের সাথে টক দই মিশিয়ে ফেস প্যাক হিসেবে ব্যবহার করলে ব্রণ দূর হয়। কারণ জবা ফুলে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ব্রণ সৃষ্টিকারী জীবাণু ধ্বংস করে। দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক উপাদান ত্বক পরিষ্কার রাখতে এবং বলিরেখা প্রতিরোধে সাহায্য করে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব যবহ র করল ব যবহ র কর

এছাড়াও পড়ুন:

৩৬ কোম্পানি থেকে বিশ্বের অর্ধেক কার্বন ডাইঅক্সাইড

জলবায়ু পরিবর্তন ও তাপমাত্রা বাড়ানোর জন্য দায়ী কার্বন ডাইঅক্সাইডের অর্ধেক উৎপাদন করে মাত্র ৩৬টি কোম্পানি। এসব জীবাশ্ম জ্বালানি কোম্পানি বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়াতে বড় ভূমিকা রাখছে। এ কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে সৌদি আরবের আরামকো, ভারতের কোল, এক্সন মোবিল, শেল ও চীনের বেশ কয়েকটি কোম্পানি। এগুলোর উৎপাদিত কয়লা, তেল ও গ্যাসের কারণে ২০২৩ সালে ২০ বিলিয়ন টনের বেশি কার্বন ডাইঅক্সাইড উৎপন্ন হয়েছে।

গতকাল বুধবার দ্য গার্ডিয়ান অনলাইনে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে। প্রতিবেদনে ২০২৩ সালের জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার ও প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমিত রাখতে হলে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণ অবশ্যই ৪৫ শতাংশ কমাতে হবে। কিন্তু এখনও কার্বন নিঃসরণের এ ধারা ঊর্ধ্বগামী, যা বিশ্বব্যাপী চরম ভাবাপন্ন আবহাওয়াকে উস্কানি দিচ্ছে।

আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থা বলছে, ২০২১ সালের পর যেসব জীবাশ্ম জ্বালানি সংস্থা যাত্রা শুরু করেছে, তারা ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন ঠেকাতে যথাযত পদক্ষেপ নিচ্ছে না। বিশ্বের প্রভাবশালী ১৬৯ কোম্পানির মধ্যে অধিকাংশই ২০২৩ সালে তাদের কার্বন নিঃসরণ না কমিয়ে উল্টো বাড়িয়েছে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনফ্লুয়েন্স ম্যাপের এমেট্টি কোনেয়ার বলেন, জলবায়ু নিয়ে বৈশ্বিক অঙ্গীকার সত্ত্বেও বিশ্বের বড় জীবাশ্ম জ্বালানি কোম্পানিগুলোর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য হারে কার্বন নিঃসরণ বাড়াচ্ছে। 

কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গমনে দায়ী বিশ্বের ৩৬ কোম্পানির মধ্যে আরও আছে চীনের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত কোম্পানি চায়না এনার্জি, ইরানের জাতীয় তেল কোম্পানি, রাশিয়ার গ্যাজপ্রম ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের এডনক। বলা বাহুল্য, জীবাশ্ম জ্বালানির সবচেয়ে বেশি ব্যবহার দেখা যায় পশ্চিমের দেশগুলোতে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ