ত্বকের যত্নে যেভাবে ব্যবহার করবেন জবা ফুল
Published: 5th, March 2025 GMT
সুন্দর ত্বক কে না চায়? ত্বকের যত্নে তাই অনেকেই বিউটি পার্লারে ছোটেন। কেউ আবার দামি ক্রিম ব্যবহার করেন। ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করলেও অনেক সময় ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখা যায়। সে ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন জবা ফুল।
উজ্জ্বল ত্বক পেতে জবা ফুল ব্যবহারের নিয়ম-
তাজা দেখে ১০ টি জবা ফুল নিন। এবার একটি পাত্রে আধ লিটার পানি গরম করুন। এবার আঁচ কমিয়ে জবা ফুল দিয়ে দিন। ১৫ মিনিট পর এটি অন্য পাত্রে ঢেলে নিন। এবার আপনি জবা ফুলের একটি জেল পাবেন। এই জেলটি আপনার মুখে লাগিয়ে আলতো করে ম্যাসাজ করুন। এটি শুধুমাত্র মুখেই নয়, হাত, পা এবং গলায়ও লাগাতে পারেন। ২০ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে করলে মুখের ময়লা, দাগ, কালো দাগ দূর হয়ে ত্বক উজ্জ্বল হবে। গোসলের আগে টানা সাত দিন এটি ব্যবহার করলে ত্বক উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
জবা ফুলের জেলের সাথে মুলতানি মাটি মিশিয়ে ফেস প্যাক হিসেবে ব্যবহার করলে ত্বক উজ্জ্বল হয়। এই ফেস প্যাক ত্বকের মৃত কোষ দূর করে। এই ফেস প্যাকটি সপ্তাহে দুই বা তিনবার ব্যবহার করতে পারেন।
জবা ফুলের সাথে টক দই মিশিয়ে ফেস প্যাক হিসেবে ব্যবহার করলে ব্রণ দূর হয়। কারণ জবা ফুলে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ব্রণ সৃষ্টিকারী জীবাণু ধ্বংস করে। দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক উপাদান ত্বক পরিষ্কার রাখতে এবং বলিরেখা প্রতিরোধে সাহায্য করে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব যবহ র করল ব যবহ র কর
এছাড়াও পড়ুন:
শরীয়তপুরে বালতিতে ককটেল ভরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০
বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ। এখান-সেখানে বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হচ্ছে একের পর এক ককটেল। আর ধোঁয়ার কুণ্ডলী এড়িয়ে দিগ্বিদিক ছুটছেন মানুষজন। তাঁদের কয়েকজনের হাতে আবার বালতি। সেখান থেকেই ককটেল নিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজনকে লক্ষ্য করে এসব ছুড়ছেন তাঁরা। এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
ঘটনাটি শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের দূর্বাডাঙ্গা এলাকার। দুই পক্ষের এমন সংঘর্ষের একটি ১৫ সেকেন্ডের ভিডিও আজ শনিবার সকালে থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আজ সকালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ ঘটনায় নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। আহত ব্যক্তিদের জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় কয়েক বাসিন্দার সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারে স্থানীয় বাসিন্দা কুদ্দুস ব্যাপারী ও জলিল মাতবরের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। তাঁরা উভয়ই আবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তাঁদের মধ্যে কুদ্দুস ব্যাপারী বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। অন্যদিকে জলিল মাতবর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য। আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতার সময়ও তাঁদের মধ্যে বিরোধ ছিল প্রকাশ্যে। গত দুই বছরে ওই এলাকায় এই দুই পক্ষের মধ্যে অন্তত ১০টি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ দুই পক্ষই বালতিতে করে ককটেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ভিডিওতে আরও দেখা যায়, খোলা মাঠে উভয় পক্ষের লোকজন মুখোমুখি অবস্থানে। সেখানে অনেকের হাতে বালতি। কেউ কেউ হেলমেট পরিহিত। ছুটতে ছুটতে প্রতিপক্ষকে লক্ষ্য করে বালতি থেকে হাতবোমা নিক্ষেপ করা হচ্ছে। মুহূর্তেই সেগুলো বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়ে ধোঁয়ার সৃষ্টি করছে।
সংঘর্ষের বিষয় জানতে কুদ্দুস ব্যাপারী ও জলিল মাতবরের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হয়। কিন্তু তাঁরা ফোন ধরেননি। খুদে বার্তা পাঠিয়েও তাঁদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সেখানে বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে জানিয়ে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল আখন্দ বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো পক্ষই লিখিত অভিযোগ করেনি। এ বিষয়ে পরবর্তী সময় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।