কাঠগড়ায় যেমন ছিলেন কামাল আহমেদ মজুমদার
Published: 5th, March 2025 GMT
মিরপুর মডেল থানার এক মামলায় সাবেক শিল্পপ্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (৫ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। মামলার শুনানিতে বুকে হাত বেঁধে দেয়াল ঘেঁষে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ছিলেন কামাল আহমেদ মজুমদার।
এদিন সকালে তাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানায় তাকে রাখা হয়। ১০টা ২০ মিনিটেরর দিকে দুজন পুলিশ কনস্টেবল তাকে ধরে কাঠগড়ায় তোলেন। পরে তিনি কাঠগড়ায় পেছনে গিয়ে দেয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তখন হাবিবুল্লাহ নামে এক কনস্টেবল তার হাত ধরে রাখেন।
এরপর আইনজীবীকে ডেকে কিছুক্ষণ কথা বলেন তিনি। পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গ্রেপ্তার দেখানো শেষে দুই পুলিশ কনস্টেবল ফের তাকে ধরে হাজতখানায় নিয়ে যায়। এ সময় তিনি বলেন, ‘‘আমি অনেক অসুস্থ।’’
এর আগে গত ৩ মার্চ কামাল আহমেদ মজুমদার আদালতকে জানান, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আর রাজনীতি করবেন না।
গত বছর ১৮ অক্টোবর রাতে রাজধানীর গুলশান থেকে কামাল আহমেদ মজুমদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর একাধিক মামলায় তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
ঢাকা/মামুন//
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
স্ত্রীকে হত্যার পর শ্বশুরকে লাশ নিয়ে যেতে বলা সেই স্বামী গ্রেপ্তা
গাজীপুরের শ্রীপুরে স্ত্রী নাদিরা বেগমকে (৩১) হত্যার অভিযোগে স্বামী আমিনুল ইসলাম খোকনকে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে র্যাব-১ ও র্যাব-৯ এর যৌথ অভিযানে সিলেট মহানগরীর সুরমা থানাধীন হুমায়ুন রশীদ চত্বর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নাদিরা বেগম ও আমিনুল ইসলাম দম্পতি গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা কপাটিয়াপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। তারা দুজনেই স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
র্যাব জানায়, গত ২৪ এপ্রিল এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। ঘটনার পরপরই র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্ত খোকনের অবস্থান শনাক্ত করে। এরপর যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরো পড়ুন:
কুষ্টিয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে ব্যবসায়ীর মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জে ৭ খুন: মামলার রায় দ্রুত কার্যকর চান স্বজনরা
র্যাব-১ স্পেশালাইজড কোম্পানির কোম্পানি কমান্ডার কে এম এ মামুন খান চিশতী বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে খোকন স্ত্রীকে ধারালো দা দিয়ে গলা কেটে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।”
শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, ‘‘গ্রেপ্তার আমিনুল ইসলামকে র্যাব থেকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’’
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার স্ত্রীকে হত্যার পর মরদেহ ঘরের মেঝেতে রেখে শ্বশুরকে ফোন করেন আমিনুল। বলেন, “আপনার মেয়েকে মেরে ফেলছি। এসে লাশ নিয়ে যান।” এরপর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে মোবাইল ফোন বন্ধ করে পালিয়ে যান তিনি।
ঢাকা/রফিক/রাজীব