বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে তরুণকে হত্যা, বন্ধুসহ তিনজনের নামে মামলা
Published: 5th, March 2025 GMT
বগুড়ার শাজাহানপুরে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাতে পারভেজ হোসেন (২৫) নামের তরুণকে হত্যার ঘটনায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও চার থেকে পাঁচজনকে।
নিহত পারভেজ চকলোকমান খোন্দকারপাড়ার রিয়াজুল ইসলাম শেখের ছেলে। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার রিয়াজুল ইসলাম বাদী হয়ে শাজাহানপুর থানায় মামলা করেন।
আসামিরা হলেন নিহত পারভেজের বন্ধু মো.
মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পূর্বশত্রুতার জেরে গত সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বগুড়া শহরের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের চকলোকমান খোন্দকারপাড়ার উল্কা মাঠসংলগ্ন আর্ট কলেজের পাশে ডেকে নিয়ে পারভেজকে হত্যা করা হয়। এ সময় পারভেজের বন্ধু আতিকুল ইসলামকেও (২২) ছুরিকাঘাত করা হয়।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, নিশাদ ও পারভেজ দুজন বন্ধু। ৩ মার্চ ইফতার ও মাগরিবের নামাজের পর নিশাদের বাবা মো. মানিক বাড়ি থেকে আনুমানিক ৩০০ গজ দূরে আর্ট কলেজের সামনে পারভেজকে বাড়ি থেকে ডেকে নেন। আগে থেকে সেখানে ছিলেন নিশাদ ও তাঁর চাচা হিরু। পারভেজ সেখানে আসা মাত্র তাঁর ওপর হামলা করা হয়। এ সময় তাঁর বন্ধু আতিকুলকেও ছুরিকাঘাতে আহত করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন পারভেজ ও আতিকুল ইসলামকে উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। রাত আটটার দিকে চিকিৎসকেরা পারভেজকে মৃত ঘোষণা করেন।
শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওয়াদুদ আলম বলেন, পারভেজ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় থানায় মামলা রেকর্ড হয়েছে। ওই মামলার নিহত ব্যক্তির বন্ধু নিশাদ, নিশাদের বাবা এবং চাচাকে আসামি করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই আসামিরা আত্মগোপন করেছেন। একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, আটক ১
ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলায় এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার বাঘবেড় ইউনিয়ন সানন্দখিলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে মোহাব্বত আলী নামে একজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী।
ভুক্তভোগী কিশোরীর দাবি, সকালে বাড়ির পাশে বসে ছিলেন তিনি। এ সময় প্রতিবেশী উকিল নানা নজরুল ইসলাম তার হাতে ডিম ও টাকা দিয়ে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে পার্শ্ববর্তী বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানেই ওই গ্রামের নজরুল ইসলাম, আবদুল গণি ও মোহাব্বত আলী তাকে ধর্ষণ করে।
ওই কিশোরীর মা বলেন, ‘আমার মেয়ে মানসিক প্রতিবন্ধী। নজরুল ও গণি এর আগেও আমার মেয়েকে ধর্ষণ করেছিল। কিন্তু প্রমাণের অভাবে কিছু বলতে পারিনি। বুধবার সকালে নজরুলকে আমার মেয়েকে ডেকে নিয়ে যেতে দেখি। পরে অনেক সময় পেরিয়ে গেলেও মেয়ে বাড়ি না ফেরায় খুঁজছিলাম। একপর্যায়ে পাশের বাড়ির আছিয়া খাতুনের ঘরে তালা দেওয়া দেখে আমার সন্দেহ হয়। আমি তাকে আমার মেয়ের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে আছিয়া অস্বীকার করে। আমি একটু আড়ালে গেলে আছিয়া রুমের তালা খুলে নজরুল ও গণিকে বের করে দেয়। এ দৃশ্য দেখে আমি ছুটে গিয়ে ঘরের দরজায় শিকল লাগিয়ে চিৎকার করতে থাকি। পরে এলাকার লোকজন এসে রুমের ভেতর খাটের নিচ থেকে মোহাব্বত আলীকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়।’
ধোবাউড়া থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। অভিযুক্ত অন্য দু’জনকেও আটকের চেষ্টা চলছে। ভুক্তভোগী মেয়েটি থানা হেফাজতে রয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।