Samakal:
2025-04-28@09:25:08 GMT

ওয়ানডে থেকে অবসরে স্টিভ স্মিথ

Published: 5th, March 2025 GMT

ওয়ানডে থেকে অবসরে স্টিভ স্মিথ

ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা ব্যাটসম্যান স্টিভ স্মিথ। ৩৫ বছর বয়সী এই ব্যাটার শেষবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে খেলেছেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে, যেখানে ভারতের বিপক্ষে ৭৩ রানের ইনিংস খেলে দলকে টানলেও হার এড়াতে পারেননি।

১৭০টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে ৪৩.২৮ গড়ে ৫৮০০ রান করেছেন স্মিথ। স্ট্রাইক রেট ৮৬.

৯৬, সেঞ্চুরি ১২টি ও হাফসেঞ্চুরি ৩৫টি। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রানের তালিকায় তিনি রয়েছেন ১২তম স্থানে। ২০১৬ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে করা ১৬৪ তার ক্যারিয়ার-সেরা ইনিংস। লেগ স্পিনার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া স্মিথ ২৮টি উইকেটও নিয়েছেন এবং নিয়েছেন ৯০টি ক্যাচ।

তবে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে খেলা চালিয়ে যাবেন স্মিথ। অবসরের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি দারুণ এক যাত্রা ছিল এবং আমি প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করেছি। দুইটি বিশ্বকাপ জয় আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা মুহূর্ত। অসাধারণ কিছু সতীর্থের সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতাও ছিল দারুণ।’

২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য জায়গা ছেড়ে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেই সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্মিথ। তিনি বলেন, ‘এখন তরুণদের প্রস্তুত হওয়ার সময়, তাই মনে হলো এটাই সঠিক সময় বিদায় বলার।’

ওয়ানডে থেকে বিদায় নিলেও টেস্ট ক্রিকেটে নিজের লক্ষ্য ঠিক রেখেছেন স্মিথ। তিনি বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেট আমার জন্য এখনও অগ্রাধিকার। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল, উইন্ডিজ সিরিজ এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজের জন্য আমি মুখিয়ে আছি। টেস্ট ফরম্যাটে আমি এখনও অনেক কিছু দিতে পারি বলে বিশ্বাস করি।’

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

জনগণ তাড়াতাড়ি ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা বলছে না

জনগণ তাড়াতাড়ি ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা বলছে না বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ মনে করে, অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান। তারা অন্তর্বর্তী সরকারকে সরাসরি চলে যেতে এখনও বলছে না। বরং একটা ভালো নির্বাচন উপহার দিতে সরকারই নির্বাচন আয়োজনের দিকে যাচ্ছে।

কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরায় এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। ‘মুহাম্মদ ইউনূস: রিয়েল রিফর্ম অর জাস্ট আ নিউ রুলিং ক্লাস ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামে সাক্ষাৎকারটি গতকাল রোববার আলজাজিরার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে জুলাই বিপ্লব, সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়া, সাবেক সরকারের দুর্নীতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে  কথা বলেন তিনি।

বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং উদাহরণ সৃষ্টিকারী নির্বাচন উপহার দেওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের আগে সংস্কারের তালিকা ছোট হলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন এবং তালিকা বড় হলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনপ্রত্যাশা এখনও তুঙ্গে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান।

আলজাজিরার উপস্থাপক ড. ইউনূসকে প্রশ্ন করেন, এটা কি বলা ঠিক যে, শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের ‘মধুচন্দ্রিমা’ এখন সম্ভবত শেষ হয়েছে? কিছু বেশ বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেগুলোর সুনির্দিষ্ট জবাব আপনাকে দিতে হবে। কারণ, পুরোনো ক্ষমতাধরদের প্রভাব রয়েছে, অনেকে রাজনৈতিক শূন্যতাকে কাজে লাগাতে চাইতে পারে।

লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সমাধান কি বাংলাদেশ একা করতে পারবে? জবাবে ড. ইউনূস বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক সংস্থা ও জাতিসংঘের সঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে কাজ করছি। তারা যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারে, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে কিছু বোঝাপড়া যাতে তৈরি হয়।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হবে কিনা– এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, এ প্রশ্নের জবাবের একটি অংশ আওয়ামী লীগকেই নির্ধারণ করতে হবে। দলটি আগে নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে– তারা নির্বাচনে যোগ দেবে কিনা। তারা এখনও কিছু ঘোষণা করেনি। তা ছাড়া নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন কী প্রতিক্রিয়া দেয়, সেটাসহ নানা বিষয় সামনে আসতে পারে।

তাহলে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দিচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি তা নয়। অন্যান্য রাজনৈতিক দল আছে, যারা বলতে পারে যে, এই আইনের অধীনে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।

সাক্ষাৎকারে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ড. ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের প্রসঙ্গ ওঠে। ড. ইউনূস জানান, তিনি বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেখানে শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে বলেছিলেন তিনি। জবাবে মোদি বলেছিলেন, এটা তাঁর জন্য সম্ভব নয়। শেখ হাসিনা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে কিছু বললে, সেটি তিনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।

যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ড. ইউনূস বলেন, একসঙ্গে কাজ করার নীতি নিয়ে আগাতে চাই। আমরা একসঙ্গেই পারস্পরিক সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ নিতে চাই।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আ.লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা তাদেরকেই নির্ধারণ করতে হবে
  • জনগণ তাড়াতাড়ি ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা বলছে না
  • আ.লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা তাদেরকেই নির্ধারণ করতে হবে: ড. ইউনূস
  • অন্তর্বর্তী সরকারকে মানুষ এখনও ভালো সমাধান মনে করছে: আল জাজিরাকে
  • সেজনি: অবসর ভেঙে ফিরে বার্সার হয়ে ইতিহাস লিখছেন যিনি
  • চিকিৎসাসেবা ও শিক্ষা আন্তর্জাতিক মানের করতে হবে
  • মালদ্বীপে বিদেশি কর্মীরা চলতি মাসের মধ্যে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন না করলে বহিষ্কার
  • ফাইনালে অনিশ্চিত এমবাপ্পে, বড় ধাক্কা রিয়ালের
  • কুয়েটের অচলাবস্থা কাটেনি
  • নার্সিং নিয়ে আর অবহেলা নয়