গুলশান থানার একটি হত্যা মামলায় আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার (৫ মার্চ) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুল ইসলাম শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এন্ট্রি টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। তবে, আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। শুনানি শেষে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

শুনানিতে ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, ‘‘এই আসামি ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার অন্যতম সহযোগী। সরকারের পতনের পর দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় জনগণ তাকে আটকে দেয়। তিনি কয়েক লাখ টাকার বিনিময়ে দেশ ছাড়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু, যারা টাকার বিনিময়ে তাকে দেশত্যাগে সহযোগিতা করবে বলেছিল; তারা টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। তাকে হাফপ্যান্ট পড়া ও কলাপাতার ওপর শুয়ে থাকা অবস্থায় জঙ্গলে পাওয়া যায়।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘তিনি বিভিন্ন সময়ে টকশোতে গিয়ে মারামারি করতেন। ফ্যাসিস্টের পক্ষে সাফাই গাইতেন। আন্দোলনের বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখেছেন। তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করছি।’’ শুনানি শেষে আদালত দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৯ জুলাই গুলশান থানাধীন প্রগতি স্বরণী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন শিক্ষার্থী মো.

আবু যর শেখ। পরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৭ জুলাই মারা যান তিনি। এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে গত বছরের ১৬ নভেম্বর গুলশান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ২৪ আগস্ট সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দনা সীমান্ত এলাকা থেকে ভারতে পালানোর সময় শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে একাধিক হত্যা মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়।

ঢাকা/মামুন/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

লন্ডনে পাকিস্তান হাইকমিশনে হামলা

যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে পাকিস্তানের হাইকমিশনে হামলা চালানো হয়েছে। হাইকমিশনের বাইরে শত শত ভারতীয় বিক্ষোভকারীর প্রতিবাদ সমাবেশের পর এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন। এই ঘটনায় দোষীদের শনাক্ত করতে তদন্ত শুরু হয়েছে।

রোববার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, হামলার সময় হাইকমিশনের জানালার কাঁচ ভেঙে ফেলা হয় এবং ভবনের বাইরের দেয়াল ও ফলকে গেরুয়া রঙের পেইন্ট নিক্ষেপ করা হয়। এতে চতুর্দিকে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে এবং সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতি হয়।

ঘটনার পর হাইকমিশনের চারপাশে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে এবং দোষীদের শনাক্ত করতে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ লন্ডনে হাইকমিশনে হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে একটি “নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য” তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন এবং প্রয়োজনে পাকিস্তান নিজেও তদন্তে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন।

বিক্ষোভের সময় পুলিশের হস্তক্ষেপে দুই ব্যক্তিকে সহিংসতার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। পাশাপাশি, পাকিস্তান সমর্থকরাও পাল্টা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন।

সম্প্রতি ভারতশাসিত জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে উঠেছে। ভারতের ২৬ নাগরিক নিহত হওয়ার ওই ঘটনার পর নয়াদিল্লি সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করেছে এবং পাকিস্তানও পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলোর জন্য পাকিস্তানি আকাশপথ বন্ধ করে দিয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ