বিরাট কোহলি আবারও প্রমাণ করলেন কেন তিনি রান তাড়ার সেরা ব্যাটারদের একজন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৮৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে ভারতকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েছেন এই ব্যাটিং মহাতারকা। তার অসাধারণ ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করেছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ।

২৬৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে কোহলি ছুঁয়ে ফেলেছেন এক অনন্য মাইলফলক। রান তাড়ায় দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে ৮,০০০ রানের ক্লাবে প্রবেশ করেছেন তিনি। এ তালিকায় সবার ওপরে আছেন শচীন টেন্ডুলকার, যিনি ২৩২ ইনিংসে করেছেন ৮,৭২০ রান। কিন্তু কোহলি তার চেয়ে ৭৩ ইনিংস কম খেলে পৌঁছেছেন এই পর্যায়ে।

একটি পরিসংখ্যানে কোহলি ছাড়িয়ে গেছেন শচীনকেও। রান তাড়ায় কোহলির ২৮টি সেঞ্চুরি, যেখানে শচিনের আছে ১৭টি। এর মধ্যে কোহলির ২৪টি সেঞ্চুরিতেই ভারত জিতেছে, বিপরীতে শচিনের ১৪টি শতকে জয় পেয়েছিল দল। এছাড়া রান তাড়ায় কোহলির গড় ৮৯.

৫০, যা তাকে এ তালিকায় অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে।

কোহলির এই অসাধারণ সামর্থ্যের প্রশংসা করে স্মিথ বলেন, ‘এই খেলায় যত ব্যাটার এসেছে, রান তাড়ার ক্ষেত্রে সম্ভবত সে-ই সেরা। আমাদের বিপক্ষে সে বহুবার এমন পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। খেলাটার গতি সে দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, নিজের শক্তির জায়গায় খেলতে জানে এবং পরিস্থিতি গভীরভাবে বোঝে। আজও সে দুর্দান্ত খেলেছে।’

এদিকে, ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সব ম্যাচ দুবাইতে খেলায় সমালোচনা করেছেন অনেকে, যার মধ্যে আছেন অস্ট্রেলিয়ার নিয়মিত অধিনায়ক প্যাট কামিন্সও। তবে স্মিথ মনে করেন, ভারত তাদের কৃতিত্বেই জিতেছে। ‘আমি এ বিষয়ে বেশি কিছু বলব না। যা হয়েছে, সেটাই বাস্তবতা। ভারত এখানে দুর্দান্ত খেলেছে। তাদের স্পিনার ও পেসাররা দারুণভাবে মানিয়ে নিয়েছে। তারা আমাদের হারিয়েছে, এবং তারা জয় পাওয়ার যোগ্যই ছিল।’—বলেন স্মিথ।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব র ট ক হল কর ছ ন ক হল র

এছাড়াও পড়ুন:

পোশাক নিয়ে ঢাবি ছাত্রীকে হেনস্তা: গ্রেপ্তার আসামির জামিন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে পোশাক নিয়ে ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগে গ্রেপ্তার মোস্তফা আসিফের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব এ আদেশ দেন। এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেন বাদী। এ-সংক্রান্ত আবেদন আদালতে উপস্থাপন করে আসামির জামিন চাওয়া হয়। শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক। 

অভিযুক্ত মোস্তফা আসিফ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সহকারী বাইন্ডার। ভুক্তভোগীর অভিযোগ পাওয়ার পরপরই বুধবার সন্ধ্যায় তাকে আটক করে শাহবাগ থানা পুলিশ। এরপর মধ্যরাতে অভিযুক্তকে ছাড়াতে শাহবাগ থানায় যান একদল লোক।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে হেনস্তা করেছেন মোস্তফা আসিফ– এমন অভিযোগ করে ভুক্তভোগী ছাত্রী ঘটনার বিবরণ দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেন। সেখানে অভিযুক্ত মোস্তফার ছবি দিয়ে তিনি লেখেন, ‘এই লোকটা আজ আমাকে শাহবাগ থেকে আসার পথে হ্যারাস করেছে। সে আমাকে হুট করে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে দিয়ে বলে আমার ড্রেস ঠিক নাই, আমি পর্দা করি নাই ইত্যাদি ইত্যাদি। তার আচরণ খুবই অ্যাগ্রেসিভ ছিল। পরে তাকে আমি জিজ্ঞাসা করি, আপনি কোন হলে থাকেন, কোন ডিপার্টমেন্টে পড়েন। সে বলে এই ক্যাম্পাসের কেউ না।’

হেনস্তার শিকার শিক্ষার্থী প্রথমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করেন। পরে শাহবাগ থানায় মামলা করেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ