রান তাড়ার রাজা কোহলির প্রশংসায় স্মিথ
Published: 5th, March 2025 GMT
বিরাট কোহলি আবারও প্রমাণ করলেন কেন তিনি রান তাড়ার সেরা ব্যাটারদের একজন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৮৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে ভারতকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েছেন এই ব্যাটিং মহাতারকা। তার অসাধারণ ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করেছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ।
২৬৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে কোহলি ছুঁয়ে ফেলেছেন এক অনন্য মাইলফলক। রান তাড়ায় দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে ৮,০০০ রানের ক্লাবে প্রবেশ করেছেন তিনি। এ তালিকায় সবার ওপরে আছেন শচীন টেন্ডুলকার, যিনি ২৩২ ইনিংসে করেছেন ৮,৭২০ রান। কিন্তু কোহলি তার চেয়ে ৭৩ ইনিংস কম খেলে পৌঁছেছেন এই পর্যায়ে।
একটি পরিসংখ্যানে কোহলি ছাড়িয়ে গেছেন শচীনকেও। রান তাড়ায় কোহলির ২৮টি সেঞ্চুরি, যেখানে শচিনের আছে ১৭টি। এর মধ্যে কোহলির ২৪টি সেঞ্চুরিতেই ভারত জিতেছে, বিপরীতে শচিনের ১৪টি শতকে জয় পেয়েছিল দল। এছাড়া রান তাড়ায় কোহলির গড় ৮৯.
কোহলির এই অসাধারণ সামর্থ্যের প্রশংসা করে স্মিথ বলেন, ‘এই খেলায় যত ব্যাটার এসেছে, রান তাড়ার ক্ষেত্রে সম্ভবত সে-ই সেরা। আমাদের বিপক্ষে সে বহুবার এমন পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। খেলাটার গতি সে দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, নিজের শক্তির জায়গায় খেলতে জানে এবং পরিস্থিতি গভীরভাবে বোঝে। আজও সে দুর্দান্ত খেলেছে।’
এদিকে, ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সব ম্যাচ দুবাইতে খেলায় সমালোচনা করেছেন অনেকে, যার মধ্যে আছেন অস্ট্রেলিয়ার নিয়মিত অধিনায়ক প্যাট কামিন্সও। তবে স্মিথ মনে করেন, ভারত তাদের কৃতিত্বেই জিতেছে। ‘আমি এ বিষয়ে বেশি কিছু বলব না। যা হয়েছে, সেটাই বাস্তবতা। ভারত এখানে দুর্দান্ত খেলেছে। তাদের স্পিনার ও পেসাররা দারুণভাবে মানিয়ে নিয়েছে। তারা আমাদের হারিয়েছে, এবং তারা জয় পাওয়ার যোগ্যই ছিল।’—বলেন স্মিথ।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব র ট ক হল কর ছ ন ক হল র
এছাড়াও পড়ুন:
কিউএস র্যাঙ্কিংয়ে প্রথমবারের মতো ঢাবির ৯ বিভাগ
যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা সংস্থা কোয়াককোয়ারেলি সায়মন্ডসের (কিউএস) বিষয়ভিত্তিক বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে প্রথমবারের মতো স্থান পেয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়টি বিভাগ। গত বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি বিভাগ এ র্যাঙ্কিংয়ে স্থান পেয়েছিল।
বুধবার (১২ মার্চ) প্রকাশিত বিষয়ভিত্তিক র্যাঙ্কিংয়ের প্রকাশিত তালিকা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
কিউএসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ক্যাটাগরিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গত বছরের তুলনায় এ বছর ১০০ ধাপ এগিয়ে বিশ্ব র্যাঙ্কিং-এ ৪০১ থেকে ৪৫০ এর মধ্যে অবস্থান করছে।
আরো পড়ুন:
প্রলয় গ্যাং সদস্যের হাতে নির্যাতিত শিক্ষার্থীই পাল্টা মামলার আসামি
আছিয়ার মৃত্যুতে ঢাবি সাদা দলের শোক
এ ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ ৫৫১ থেকে ৬০০ এর মধ্যে, ইইই বিভাগ ৫০১ থেকে ৫৫০ এর মধ্যে, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ও এরোনেটিক্যাল বিভাগ ৫০১ থেকে ৫৭৫ এর মধ্যে অবস্থান করছে।
সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ক্যাটাগরিতে গত বছরের তুলনায় ৫০ ধাপ এগিয়ে বর্তমানে সারাবিশ্বে ৪০১ থেকে ৪৫০ এর মধ্যে অবস্থান করছে। এ ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ফিন্যান্সে বিভাগ ২৫১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে, বিজনেস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ ৪০১ থেকে ৪৫০ এর মধ্যে, ইকোনমিক অ্যান্ড ইকোনমেট্রিক্স বিভাগ ৩৫১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ ৩০১ থেকে ৩৭৫ এর মধ্যে অবস্থান করছে।
লাইফ সায়েন্স অ্যান্ড মেডিসিন ক্যাটাগরিতে মেডিসিন বিভাগ ৬৫১ থেকে ৭০০ এর মধ্যে অবস্থান করছে। ন্যাচারাল সায়েন্স ক্যাটাগরিতে ফিজিক্স অ্যান্ড এস্ট্রোনোমি বিভাগ ৫৫১ থেকে ৬০০ এর মধ্যে অবস্থান করছে। আর্টস অ্যান্ড হিউমেনিটিস ক্যাটাগরিতে ৫০১ থেকে ৫৫০ এর মধ্যে অবস্থান করছে।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী