চট্টগ্রামের রাউজানে ব্যবসায়ী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় যুবদলের দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন আরাফাত মামুন (৪৮) ও বিপ্লব বড়ুয়া (৩৫)। দুজনই উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের বাসিন্দা। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বাগোয়ান ইউনিয়নের গরিবউল্লাহপাড়ার একটি বাড়ি থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও একটি দেশে তৈরি বন্দুক উদ্ধার হয়েছে।

গ্রেপ্তার আরাফাত মামুন বিএনপির চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শাখার আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারী যুবদলের নেতা হিসেবে এলাকায় পরিচয় দেন। গোলাম আকবর খোন্দকারের ছবি দিয়ে এলাকার বিভিন্ন সড়কে তোরণ নির্মাণ ও পোস্টার ছাপিয়ে প্রচারণাও চালিয়ে আসছেন তিনি। তবে যুবদলে তাঁর কোনো পদ-পদবি নেই বলে সংগঠন সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। বিপ্লব বড়ুয়াও যুবদলের রাজনীতিতে সক্রিয়। তিনি আরাফাত মামুনের অন্যতম সহযোগী হিসেবে এলাকায় পরিচিত।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার আরাফাত মামুনের বিরুদ্ধে এলাকায় চাঁদাবাজি, দলের প্রতিপক্ষের নেতা-কর্মীদের ওপর গুলি-হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে অন্তত ৭টি মামলা রয়েছে। এর আগে তাঁকে ধরতে যৌথ বাহিনী একাধিকবার অভিযানও পরিচালনা করেছে।

গত ২৪ জানুয়ারি নোয়াপাড়া ইউনিয়নের নিরামিষপাড়ায় জুমার নামাজ পড়তে মসজিদে যাওয়ার পথে শুঁটকি ব্যবসায়ী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ মামলায় মামুন ও তাঁর সহযোগীকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ছাড়া অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় দুজনের বিরুদ্ধে পৃথকভাবে মামলা হবে বলেও জানানো হয়েছে।

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, আরাফাত মামুন বাড়িতে অবস্থান করছেন—গোপনে এই খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে এক সহযোগীসহ তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে একটি পিস্তল ও একটি বন্দুকও উদ্ধার করেছে পুলিশ। দুজনকে আদালতে সোপর্দ করার প্রস্তুতি চলছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আর ফ ত ম ম ন য বদল

এছাড়াও পড়ুন:

সিআইডি প্রধানসহ পুলিশে বড় রদবদল

বাংলাদেশ পুলিশে বড় রদবদল হয়েছে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত আইজি) মো. মতিউর রহমান শেখ, সারদা পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ মো. মাসুদুর রহমান এবং এন্টি টেররিজম ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (চলতি দায়িত্ব) খোন্দকার রফিকুল ইসলামকে পুলিশ অধিদপ্তরে বদলি করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখার উপসচিব মো. মাহবুবুর রহমান সাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এসব তথ্য জানানো হয়। একই প্রজ্ঞাপনে চার জেলায় নতুন এসপি পদায়নসহ ১৮ উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। 

হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি মো. রেজাউল করিমকে পুলিশ অধিদপ্তরে, পুলিশ অধিদপ্তরের ডিআইজি ড. শোয়েব রিয়াজ আলমকে রাজশাহীতে সারদা পুলিশ একাডেমিতে, ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি মো. আশরাফুর রহমানকে পুলিশ অধিদপ্তরে এবং পুলিশ অধিদপ্তরের মো. আতাউল কিবরিয়াকে ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি হিসেবে বদলি করা হয়েছে। শিল্পাঞ্চল পুলিশ ঢাকার ডিআইজি মহা. আশরাফুজ্জামানকে রংপুরের পিটিসি কমান্ড্যান্ট (ডিআইজি) হিসেবে, সিআইডিতে কর্মরত ডিআইজি হারুন উর রশিদ হাযারীকে ঢাকা শিল্পাঞ্চল পুলিশের ডিআইজি এবং সারদা পুলিশ একাডেমির ডিআইজি রখফার সুলতানা খানমকে ঢাকা হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি করা হয়েছে।  

চার জেলায় নতুন এসপি
প্রজ্ঞাপনে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) হিসেবে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) উপপুলিশ কমিশনার মো. সাইফউদ্দীন শাহীনকে, সুনামগঞ্জের এসপি হিসেবে খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের পুলিশ সুপার তোফায়েল আহম্মেদকে, যশোরের এসপি হিসেবে ডিএমপির রওনক জাহান এবং নীলফামারীর এসপি হিসেবে ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার আবুল ফজল মহম্মদ তারিক হোসেন খানকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে একই প্রজ্ঞাপনে কক্সবাজারের বর্তমান এসপি মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ, সুনামগঞ্জের এসপি আ ফ ম আনোয়ার হোসেন খান, যশোরের এসপি মো. জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ এবং নীলফামারীর এসপি মোহাম্মদ মোর্শেদ আলমকে পুলিশ অধিদপ্তর, ঢাকায় সংযুক্ত এসপি হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাবেক সিনিয়র সচিব জিয়াউল আলমকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার
  • গুলিস্তান, মিরপুর ফুটপাতে ঘুরে ঘুরে ক্যাভাসারদের কাছে অ্যালবাম দিয়েছেন আসিফ
  • সিআইডি প্রধানসহ ১৮ পুলিশ কর্মকর্তার বদলি ও পদায়ন
  • সিআইডি প্রধানসহ পুলিশে বড় রদবদল
  • ‘শয়তানের খপ্পর থেকে পাসপোর্ট উদ্ধার হয়েছে’
  • বগুড়ার ফুটপাত থেকে অভিজাত রেস্তোরাঁ—সবখানেই বাহারি ইফতারির পসরা