দুই অভাগার লড়াইয়ে প্রতিপক্ষ ‘ভ্রমণ বিড়ম্বনা’
Published: 5th, March 2025 GMT
আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শেষ চারে নেই স্বাগতিক পাকিস্তান। তাতে কি দ্বিতীয় সেমি ফাইনালে আজ বুধবার (৫ মার্চ, ২০২৫) দক্ষিণ আফ্রিকা-নিউ জিল্যান্ড ম্যাচের জৌলশ খানিকটা কমছে? হয়ত কমছে বটে। তবে গাদ্দাফি স্টেডিয়াম এই হাই ভোল্টেজ ম্যাচ ঘিরে কানায় কানায় ভরে উঠতে পারে লাহোরবাসীর ক্রিকেট প্রেমর কারণেই।
টস করতে নামা দুই দলের অধিনায়ক নিজেদের অভাগা ভাবতেই পারেন। ওয়ানডে ক্রিকেট রঙিন যুগে প্রবেশের পর এই দুই দলই আইসিসির বেশিরভাগ বৈশ্বিক আসরের শেষ চার অথবা শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ খেলেছে। তবে দুই দলেরই শিরোপা জয়ের হার একেবারেই তলানিতে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফি তখন নক আউট বিশ্বকাপ নামে পরিচিত ছিল প্রথম দুই আসরে। এই দুই আসরের চ্যাম্পিয়ন যথাক্রমে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং নিউ জিল্যান্ড।
আজ বেলা ৩টায় বল মাঠে গড়ানোর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরক্তির বিষয় অবশ্য অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ খেলার পর প্রোটিয়াদের দুবাই সফর করতে হয়েছিল, কারণ নিরাপত্তার অজুহাতে ভারত তাদের সব ম্যাচই খেলছে দুবাইয়ে। তাই টেম্বা বাভুমার দলকে যদি সেমি ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হতে হতো তাহলে দুবাইয়েই নামতে হতো। কিউইরা ‘এ’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে রোহিত-কোহলিদের কাছে হারায় প্রোটিয়াদের শেষ চারের প্রতিদ্বন্দ্বী তারাই।
আরো পড়ুন:
‘উইকেট শিখিয়ে দেয় ক্রিকেট কীভাবে খেলতে হবে তারপরে সুইচ অন করি’
আর কিছু রানের আক্ষেপ করলেন স্মিথ
নিউ জিল্যান্ডের অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার অবশ্য দুবাই ভ্রমণটাকে সুবিধা হিসেবেই দেখছেন। কারণ ফাইনালে উঠতে পারলে তাদের মরুর বুকেই ভারতের বিপক্ষে খেলতে হবে। তাই গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচটাকে একটা প্রস্তুতি হিসেবে দেখছেন কিউই কাপ্তান। অন্যদিকে বাভুমা অবশ্য অতিরিক্ত ভ্রমণটাকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন। দুবাই ভ্রমণের ফলে তার ক্রিকেটারদের প্রেসার রিলিজ হয়েছে বলেই তার বিশ্বাস।
এই দুদল ৭৩ বার একে অপেরের বিপক্ষে খেলেছে। যেখানে দক্ষিণ আফ্রিকা ৪২ ম্যাচ জিতে বেশ এগিয়ে আছে। তবে ২৬ ম্যাচ জিতে কিউইদের সাম্রতিক রেকর্ড ভালো। সবশেষ ত্রিদেশীয় সিরিজেও এই দুই দলের দেখায় ব্ল্যাক ক্যাপসরাই জিতেছে। অন্যদিকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দুদলের দুবারের দেখায় প্রত্যেকেই একবার করে জয় লাভ করেছে।
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে জোড়া খুনের আগে চার ঘণ্টা বৈঠক করেন ‘সন্ত্রাসীরা’
চট্টগ্রামে প্রাইভেট কারে গুলি চালিয়ে দুজনকে খুনের আগে চার ঘণ্টা বৈঠক (সভা) করেন ‘সন্ত্রাসীরা’। ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদ হোসেনের ডানহাত হিসেবে পরিচিত মোহাম্মদ হাসানের নেতৃত্বে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওয়াজেদিয়া কয়লার ঘর এলাকায় এই সভা হয়। জোড়া খুনের ঘটনাটিতে গ্রেপ্তার আসামি মোহাম্মদ সজীব আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে এসব কথা বলেছেন।
গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তফার আদালতে জবানবন্দি দেন সজীব। এর আগে গত রোববার রাতে নগরের সদরঘাট এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আদালত সূত্র জানায়, জবানবন্দিতে সজীব বলেছেন, সাজ্জাদের ডানহাত হিসেবে পরিচিত হাসান খুনের পরিকল্পনার বিষয়ে জানান ইমন নামের একজনকে। ওই ইমন তাঁর পূর্বপরিচিত। তাঁকে ঘটনার দিন সকালে ফোন করেন ইমন। একটি মোটরসাইকেল নিয়ে চট্টগ্রাম শহরে আসতে বলেন। সজীব ও ইমন বায়েজিদ বোস্তামী থানার একটি মামলায় এর আগেও গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। সেই সুবাদে দুজনের মধ্যে সখ্য গড়ে ওঠে।
সজীব ফটিকছড়ির একটি গ্যারেজ থেকে এক হাজার টাকায় ভাড়া করা একটি মোটরসাইকেল নিয়ে ঘটনার দিন সন্ধ্যায় নগরের অক্সিজেন মোড়ে এসে ইমনকে ফোন দেন। ইমন অক্সিজেনের পূর্ব দিকে কয়লার ঘর এলাকায় যেতে বলেন সজীবকে।
জবানবন্দিতে সজীব আরও বলেন, ইমনের কথামতো সেখানে গিয়ে আরও সাত থেকে আটজনকে দেখতে পান তিনি। পরে সেখানে বসে তাঁরা খুনের পরিকল্পনা করেন। তাঁদের সবার লক্ষ্য ছিল সাজ্জাদের প্রতিদ্বন্দ্বী সরোয়ার হোসেনকে মেরে ফেলা। সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত তাঁরা কয়লার ঘরে ছিলেন। পরে সেখান থেকে দিবাগত রাত ১২টার পরে কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতুসংলগ্ন বালুমহাল এলাকায় যান। বৈঠকে হাসান তাঁদের সবকিছু বুঝিয়ে দেন। মূলত সাজ্জাদকে ধরিয়ে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে সরোয়ারকে মারার জন্য পরিকল্পনা করা হয়। ঘটনার দিন তাঁর মোটরসাইকেলে অস্ত্র হাতে ছিলেন হাসান। সাতটি মোটরসাইকেলে অস্ত্র হাতে সরাসরি হত্যাকাণ্ড অংশ নেন সাত থেকে আটজন। অনেককে চেনেন না সজীব।
মোটরসাইকেলে এসে খুনে অংশ নেন কয়েকজন। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে গ্রেপ্তার করা হয় সজীবকে