দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর কংগ্রেসে প্রথম ভাষণ ট্রাম্পের
Published: 5th, March 2025 GMT
দ্বিতীয়বার ক্ষমতা গ্রহণের পর মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে প্রথম ভাষণ দিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে কংগ্রেসে ট্রাম্পের প্রথম যৌথ ভাষণটি প্রায় ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট দীর্ঘ ছিল।
বুধবার (৫ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
ভাষণের শুরুতেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, আমেরিকা ইজ ব্যাক। আমরা নতুন করে শুরু করেছি। এই কদিনে যা করে দেখিয়েছি তা অনেকে বিগত চার বছরেও পারেননি।
আরো পড়ুন:
কানাডা, মেক্সিকো ও চীনের পণ্যে শুল্ক কার্যকরের ঘোষণা ট্রাম্পের
জেলেনস্কি শান্তি চান না: ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমি শপথ নেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দাক্ষিণ সীমান্তে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছি। মার্কিন সেনা এবং বর্ডার পেট্রল টিম মোতায়েন করেছি। মারাত্মক কাজ করেছে তারা। ফলস্বরূপ গত মাসে অবৈধ অনুপ্রবেশ ছিল সবচেয়ে কম। জো বাইডেনের সময়ে এক মাসে শত শত অবৈধ অনুপ্রবেশ ঘটেছে সীমান্তে।
এ সময় সীমান্ত শক্তিশালী করতে আইন পাসে কংগ্রেসের প্রতি আহ্বান জানান ট্রাম্প।
ট্রাম্প আরো বলেন, গত মঙ্গলবার তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির কাছ থেকে একটি চিঠি পেয়েছেন, সেখানে স্থগিত মার্কিন সামরিক চালান অব্যাহত রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খনিজ চুক্তি স্বাক্ষর করতে ইউক্রেন প্রস্তুত বলে জানানো হয়েছে।
কংগ্রেসের ভাষণে কানাডা এবং মেক্সিকোর মাদক ফেন্টানিল নিয়েও কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বলেন, ‘কানাডা ও মেক্সিকো থেকে এত পরিমাণে ফেন্টানিল আমাদের দেশে আসতে আগে কখনও দেখা যায়নি।’ এটি হাজার হাজার পরিবার ধ্বংস করছে বলে মন্তব্য করেন ট্রাম্প।
তিনি বলেন, আগামী দিনে মার্কিন অর্থনীতিতে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটতে পারে। কারণ তার প্রশাসন কানাডা, মেক্সিকো, চীন এবং অন্যান্য দেশ থেকে আসা গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করবে।
ট্রাম্প আরো বলেন, গ্রিনল্যান্ডকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি অঞ্চল করা হবে। তার প্রশাসন এটি পেতে যেকোনো উপায়ে কঠোর পরিশ্রম করছে।
কংগ্রেসে ট্রাম্প ডেমোক্র্যাটদের সমালোচনা করেন। তিনি আমেরিকার ইতিহাসে সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে সবচেয়ে খারাপ প্রেসিডেন্ট হিসেবে উল্লেখ করেন।
ট্রাম্প ডেমোক্র্যাটদের উদ্দেশ করে বলেন, তাদের খুশি করার জন্য, হাসানোর জন্য বা করতালি দেওয়ার মতো আমার বলার কিছুই নেই।
তিনি আরো বলেন, আমি একটি ভয়াবহ রোগের প্রতিকার খুঁজছি কিন্তু তারা এখনও আমাকে সমর্থন করছে না। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক এবং এটা এভাবে হওয়া উচিত নয়। তিনি বলেন, আমাদের নাগরিকদের ভালোর জন্য আসুন একসঙ্গে কাজ করি এবং সত্যিকার অর্থে আমেরিকাকে আবারও মহান করে তুলি।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কুয়েট প্রকৌশলীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে বিএনপি নেতাকে অব্যাহতি
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)’র দুই প্রকৌশলীকে হুমকি ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করায় অভিযুক্ত বিএনপি নেতাকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে দলটি।
বুধবার (৫ মার্চ) খুলনা মহানগর বিএনপির মিডিয়া সেলের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাকে অব্যাহতি প্রদান করার বিষয়টি জানানো হয়।
খুলনা মহানগর বিএনপির মিডিয়া সেলের আহবায়ক মিজানুর রহমান মিল্টন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সংগঠন বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মহানগরীর অর্ন্তগত খানজাহান আলী থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোল্লা সোহাগকে সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করেছে বিএনপি।
মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাড. শফিকুল আলম মনা ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিনের বরাত দিয়ে মিডিয়া সেল জানিয়েছে, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সংগঠন বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় মোল্লা সোহাগকে দলীয় পদ, প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়া তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্তে বেগম রেহানা ঈসাকে আহবায়ক করে ১ সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
এর আগে গত সোমবার (৩ মার্চ) খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)’র নির্বাহী প্রকৌশলী (পুর) শেখ আবু হায়াত ও মো. গোলাম কিবরিয়াকে থানা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক মোল্লা সোহাগ হোসেন মোবাইল ফোনে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন ও হুমকি দেন। একই দিন বিকালে নির্বাহী প্রকৌশলী (পুর) শেখ আবু হায়াতকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। অবশ্য নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ষড়যন্ত্রের শিকার বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপি নেতা মোল্লা সোহাগ হোসেন।
ঢাকা/নুরুজ্জামান/টিপু