ভারতের প্রধান কোচ হওয়ার পর থেকেই সমালোচনার মুখে পড়েছেন গৌতম গম্ভীর। তার দল নির্বাচন থেকে শুরু করে কৌশলগত সিদ্ধান্ত—সবকিছুই প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে ক্রিকেটবিশ্লেষকদের চোখে। তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে জায়গা করে নেওয়ার পর গম্ভীর জানিয়ে দিলেন, সমালোচনাকে তিনি মোটেও গুরুত্ব দেন না।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য ভারতীয় দলে পাঁচজন স্পিনার রাখা নিয়ে বিতর্ক উঠেছিল। বিশেষ করে তিনজন স্পিন অলরাউন্ডারের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকে। তবে গম্ভীরের কৌশল সফল হয়েছে এবং দল ফাইনালে পৌঁছেছে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তিনি নিন্দুকদের কথায় কান দেন না।

গম্ভীর বলেন, ‘আমি সমালোচনা গায়ে মাখি না। কে কী বলছে, সেটা নিয়ে মাথা ঘামানোর প্রয়োজন মনে করি না। আমাদের স্কোয়াডে তিনজন অলরাউন্ডার এবং দুজন বিশেষজ্ঞ স্পিনার রয়েছে। ১৫ সদস্যের দলে দুইজন স্পিনার থাকা অস্বাভাবিক কিছু নয়।’

দলের সামগ্রিক পারফরম্যান্স নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা পুরো টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত খেলেছি। এখনও শেষ এক ম্যাচ বাকি। আমরা ওয়ানডে ফরম্যাটে বরাবরই শক্তিশালী দল। এই টুর্নামেন্টেও আমাদের খেলোয়াড়দের ক্ষুধা, প্রতিশ্রুতি, সবকিছুই অনবদ্য ছিল।’

ভারতের ওপর বেশি সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে গম্ভীর বলেন, ‘অনেকে বলছেন, আমরা দুবাইতে বেশি সুবিধা পাচ্ছি। অথচ, অন্য দলের মতো আমাদের জন্যও এটি একটি নিরপেক্ষ ভেন্যু। আমরা এখানে খুব বেশি ম্যাচ খেলিনি। এমনকি আমাদের প্রস্তুতি পর্বও আইসিসির একাডেমিতে হয়েছে, যেখানে এখানের উইকেটের সঙ্গে কোনো মিলই নেই।’

আগামী ৯ মার্চ দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ হবে নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার দ্বিতীয় সেমিফাইনালের বিজয়ী দল।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আম দ র গম ভ র ফ ইন ল

এছাড়াও পড়ুন:

আইসিসির গ্রেপ্তার এড়িয়ে যেভাবে যুক্তরাষ্ট্রে গেলেন নেতানিয়াহু

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ঝুঁকি এড়াতে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। স্থানীয় সময় রবিবার (৬ এপ্রিল) তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পা রেখেছেন।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎসের খবরে বলা হয়েছে, আইসিসির  গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করতে পারে এমন দেশগুলোর আকাশপথ এড়িয়ে চলতে যুক্তরাষ্ট্র যাত্রায় স্বাভাবিক পথের চেয়ে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার বেশি পথ ঘুরেছেন তিনি।

আয়ার‌ল্যান্ড, আইসল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসের মতো দেশগুলো তাকে গ্রেপ্তার করতে তাকে বহনকারী উড়োজাহাজের জরুরি অবতরণ করাতে পারে বলে আশঙ্কা করছিলেন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা।

গত বছরের নভেম্বরে গাজায় যুদ্ধাপরাধের দায়ে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আইসিসি।

রবিবার ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছালে নেতানিয়াহু ও তার স্ত্রী সারা নেতানিয়াহুকে স্থানীয় কর্মকর্তারা স্বাগত জানান।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই জানিয়েছে, নেতানিয়াহু রবিবার রাতেই ওয়াশিংটনে পৌঁছান। তবে এ যাত্রায় তাকে ৪০০ কিলোমিটার পথ ঘুরে যেতে হয়। যাতে তিনি এমন কোনো দেশের আকাশসীমায় না পড়েন, যেসব দেশ আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করতে পারে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলি নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ উদ্বিগ্ন ছিল যে, যদি নেতানিয়াহুর বিমানটিকে জরুরি অবতরণ করতে হয়, তাহলে আয়ারল্যান্ড, আইসল্যান্ড, নেদারল্যান্ডসের মতো এমন কিছু ইউরোপীয় দেশ রয়েছে, যারা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করতে পারে।

ঢাকা/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ