টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার মুলিয়া, সহদেবপুর ও সাকরাইল গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুটপাটের ঘটনায় উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বিকেলে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ভিপি রফিক বলেন, ‍“তিন গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। যা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কালিহাতী উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা এ ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।” 

আরো পড়ুন:

সুনামগঞ্জে ২ পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৫০

হবিগঞ্জে মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৩০

তিনি আরো বলেন, “বিএনপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং জনগণের অধিকার রক্ষায় দলীয়ভাবে সব কার্যক্রম অব্যাহত রাখব।”

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- কালিহাতী উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম শোভা, পৌর বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শহিদুর রহমান সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল ওয়াদুল তৌহিদ, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মোশারফ হোসেন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন মোল্লা ও যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফর রহমান লেলিন ও ইদ্রিস আলী, পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি হারুন অর রশিদ মেম্বার ও যুগ্ম সম্পাদক মিনহাজ উদ্দিন, বাংড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সুলতান গিয়াস।

গত শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বাংড়া ইউনিয়নের পীরবাড়িতে একই ইউনিয়নের মুলিয়া এবং সাকরাইল গ্রামের লোকজনদের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়। এ নিয়ে দুই গ্রামের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। বিষয়টি মীমাংসা করতে সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে মুলিয়া গ্রামে একটি সালিশি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। ওই বৈঠকে উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শুকুর মাহমুদ বিরোধ মিটিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব দেন। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি বলেন, বৈঠক চলাকালে শুকুর মাহমুদের পক্ষপাতিত্বমূলক কথার জের ধরে পুনরায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে বিএনপি নেতা শুকুর মাহমুদ আহত হন। এ খবর তার নিজ গ্রাম সহদেবপুর পৌঁছালে তারাও এসে সংঘর্ষে লিপ্ত হন। এরপর ত্রিমুখী সংঘর্ষে ১৫ থেকে ২০ জন আহত হন। 

ঢাকা/কাওছার/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ ব এনপ ব এনপ র স স ঘর ষ র ঘটন উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

হার্টের রোগী রোজা রাখতে চাইলে করণীয়

হার্টের রোগীদের নিয়মিত অনেক ওষুধ খেতে হয়। এগুলোর মধ্যে ব্লাড পাতলা করার ওষুধ খেতে হয় সাধারণত দুপুরে খাবার গ্রহণের পর। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন হচ্ছে হার্টের রোগী রোজা রাখতে পারবেন  কিনা, রোজা রাখলে তিনি কখন ওষুধ খাবেন?— এসব প্রশ্নের উত্তর জানিয়েছেন অধ্যাপক ডা. এম এ বাকী,
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ,জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হসপিটাল। 

একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে এই চিকিৎসক বলেন, ‘‘অধিকাংশ হার্টের রোগী কিন্তু রোজা রাখতে পারবেন। হার্টের রোগীর কিছু কিছু ওষুধ আছে যেটা আমরা সাধারণত দুপুরে খেতে বলি, বিশেষ করে ব্লাড পাতলা করার ওষুধ দুপুরে খেতে বলা হয়।  রোজার সময় যদি আমরা সকালের ওষুধগুলো ইফতারের আগে বা পরে নিয়ে চলে যাই এবং রাত্রে যে ওষুধগুলি আমরা প্রয়োগ করি সেটা সেহেরির আগে বা পরে নিয়ে যাই তাহলে হার্টের রোগীদের কিন্তু রোজা রাখার ব্যাপারে কোনরকম অসুবিধা হবে না। তবে যে সকল হার্টের রোগীর শ্বাসকষ্ট আছে এবং যারা শ্বাসকষ্ট দূর করার জন্য ফুসিড জাতীয় বা ল্যাসিড জাতীয় ওষুধ খাচ্ছেন তারা জানেন এসব ওষুধ বেশি প্রসাব হয়। এ ছাড়া যারা অল্প পরিশ্রম করে হাঁপিয়ে যান অথবা দিনে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ার যাদের আছে তাদের ক্ষেত্রে রোজা না রাখাই উত্তম। অন্যদিকে যাদের শ্বাসকষ্ট নাই তারা সকালের ওষুধ ইফতারে আর দুপুরের ওষুধ সেহেরিতে খেয়ে রোজা রাখতে পারেন।’’

অধ্যাপক ডা. এম এ বাকী আরও বলেন, ‘‘বুকে ব্যথা হলে যে স্প্রে প্রয়োগ করা হয় অথবা শ্বাসকষ্টের কারণে যে ইনহেলার ব্যবহার করা হয় এটার কারণে রোজা ভাঙ্গে না।’’ 

আরো পড়ুন:

দেশে জিকা ভাইরাসের প্রথম ‘ক্লাস্টার’ শনাক্ত, আক্রান্ত ৫

রোজা রেখে ডায়াবেটিস রোগীরা কী করবেন, কী করবেন না

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ