হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, ১৭৯৫ আসনে আবেদন করুন দ্রুত
Published: 5th, March 2025 GMT
দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তিতে আবেদন চলছে। গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে অনলাইনে আবেদন শুরু হয়েছে, চলবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত।
ভর্তিসংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৩–২৪ সালের উচ্চমাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ সাপেক্ষে আবেদন করতে পারবেন। ২০২১ সালের আগে মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আবেদনের অযোগ্য।
আবেদনের যোগ্যতাএ ও বি ইউনিটের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যেকোনো মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড/মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড/কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় গ্রেড পদ্ধতিতে ৫-এর স্কেলে প্রতিটিতে কমপক্ষে ৩.
অ্যাগ্রিকালচার, ফিশারিজ, ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্স অনুষদের ক্ষেত্রে চতুর্থ বিষয়ে ন্যূনতম বি গ্রেড থাকতে হবে। সি ও ডি ইউনিটের ক্ষেত্রে প্রার্থীকে বাংলাদেশের যেকোনো মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড/মাদ্রাসা বোর্ড/কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে এসএসসি/সমমান বা এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় গ্রেড পদ্ধতিতে ৫-এর স্কেলে প্রতিটিতে কমপক্ষে ৩.৫-সহ মোট জিপিএ–৬.৫ থাকতে হবে।
বিদেশি শিক্ষা বোর্ড থেকে সমমানের পরীক্ষায় সমতুল্য গ্রেড থাকতে হবে। ও এবং এ লেভেল পাস করা ছাত্রদের জন্য ও লেভেলে পাঁচটি বিষয়ে প্রতিটিতে কমপক্ষে বি গ্রেড এবং এ লেভেলে পদার্থ, রসায়ন, গণিত, জীববিজ্ঞান/কৃষিবিজ্ঞানের মধ্যে তিনটি বিষয়ে প্রতিটিতে কমপক্ষে বি গ্রেড পেতে হবে।
আরও পড়ুনস্কুলে ভর্তিতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্য আসন সংরক্ষণের সিদ্ধান্তে পরিবর্তন১৭ ঘণ্টা আগেআসন কতএবার ১ হাজার ৭৯৫টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি নেবে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এর সঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীদের জন্য ১ শতাংশ, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ২ জন, পোষ্য কোটায় ১ শতাংশ, বিকেএসপি থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের জন্য ৫টি এবং বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ৮০টি আসন সংরক্ষিত থাকবে।
বিনা মূল্যে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ, আছে দৈনিক ২০০ টাকা ভাতাবাংলাদেশিদের জন্য ভারতের আইসিসিআর দিচ্ছে ৫০০ বৃত্তি, জেনে নিন বিস্তারিত
ভর্তি পরীক্ষার আবেদন কীভাবে
৬ মার্চ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (https://hstu.ac.bd/admission/index) গিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আবেদনকারীরা আগামী ১৩ এপ্রিল থেকে পরীক্ষা শুরুর আগমুহূর্ত পর্যন্ত একই ওয়েবসাইট থেকে নিজ নিজ প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। ডাউনলোডের আগে আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবির সফটকপি আপলোড করতে হবে। পরীক্ষার দিন পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি রঙিন ছবি এবং প্রবেশপত্র প্রিন্ট করে ভর্তি-ইচ্ছুক পরীক্ষার্থীর সঙ্গে আনতে হবে।
আবেদন ফি
প্রতিটি ইউনিটের আবেদন ফি ১ হাজার টাকা, তবে স্থাপত্য বিভাগে ভর্তির জন্য অতিরিক্ত ২০০ টাকা দিতে হবে। সে ক্ষেত্রে ফি হবে ১ হাজার ২০০ টাকা।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সিরাজগঞ্জে সহপাঠীদের মারধরে আহত এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার এনায়েতপুরে এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে খাতা দেখতে না দেওয়ায় সহপাঠীদের মারধরে আহত এক পরীক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতালে আটদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সকালে তার মৃত্যু হয়। গত ১৮ এপ্রিল বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ইমন হোসেনকে (১৬) মারধর করা হয়।
নিহত ইমন শাহজাদপুর উপজেলার খুকনী ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের ইমদাদুল মোল্লার ছেলে। খুকনী উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিলেন তিনি।
নিহতের বাবা ইমদাদুল মোল্লা বলেন, “গত ১৭ এপ্রিল এনায়েতপুর ইসলামী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা চলাকালে কয়েকজন সহপাঠী ইমনের খাতা দেখে চায়। ইমন তাতে রাজি হয়নি। এরই জেরে পরদিন শুক্রবার বিকেলে ইমনকে বেলকুচি উপজেলার দৌলতপুর নতুন পাড়ায় ডেকে নিয়ে মারধর করে তারা। এতে ইমনের বাম পাশের মাথার খুলি ভেঙে যায়।”
আরো পড়ুন:
রূপগঞ্জে নদীতে নিখোঁজ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্থিরতায় সরকার যথেষ্ট উদ্বিগ্ন: উপদেষ্টা
তিনি আরো বলেন, “আশঙ্কাজনক অবস্থায় ইমনকে উদ্ধার করে প্রথমে এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত বুধবার তাকে বাড়িতে আনা হয়। শুক্রবার ভোরে তার অবস্থার অবনতি হয়। পরে তাকে খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই ইমন মারা যায়।”
ইমদাদুল মোল্লা বলেন, “আমার ছেলে মেধাবী ছিল। পরীক্ষার খাতা দেখে নকল করতে না দেওয়ায় তাকে এভাবে হত্যা করা হবে আমি কখনো ভাবিনি।” সীমানা সংক্রান্ত জটিলতা দেখিয়ে দুই থানা মামলা না নেওয়ার ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
খুকনী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য তোতা মিয়া বলেন, “মারধরের ঘটনার পর কয়েকবার নিহতের স্বজনরা এনায়েতপুর ও বেলকুচি থানায় মামলা করতে যান। সীমানা সংক্রান্ত জটিলতা দেখিয়ে দুই থানা মামলা নেয়নি। এনায়েতপুর থানা বলছে, বেলকুচিতে মামলা হবে, আর বেলকুচি থানা থেকে বলছে, মামলা হবে এনায়েতপুরে। এখনো মামলা হয়নি।”
শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে এনায়েতপুর থানার ওসি রওশন ইয়াজদানি বলেন, “শিক্ষার্থী ইমন নিহতের ঘটনায় এনায়েতপুর থানায় জিডি করা হয়েছে। লাশ উদ্ধারের পর শুক্রবার রাতে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। আজ শনিবার ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।”
তিনি আরো বলেন, “শিক্ষার্থী ইমন বেলকুচি থানার অন্তর্ভুক্ত দৌলতপুর নতুনপাড়া এলাকায় মারধরের শিকার হয়েছেন। কিন্তু তার বাড়ি এনায়েতপুর থানার অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় ঘটনার পর স্বজনদের বেলকুচি থানায় মামলা করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। নিহতের স্বজনরা হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে এখনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
বেলকুচি থানার ওসি জাকেরিয়া ইসলাম বলেন, “শিক্ষার্থী ইমন আহত হওয়ার পর স্বজনরা থানায় মামলা করতে এসেছিলেন। কিন্তু তাদের বাড়ি এনায়েতপুর থানার অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় তাদের এনায়েতপুর থানায় মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে অভিযোগ পেলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন বলেন, “বিষয়টি আমি জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখছি।”
ঢাকা/অদিত্য/মাসুদ