চাঁদপুর পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র ও জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলী মাঝিকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। এসময় তার ছেলে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের জেলা সহ-সম্পাদক রাকিব মাঝিকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

গতকাল মঙ্গলবার ৪ মার্চ সকালে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার (৫ মার্চ) সকালে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মো.

বাহার মিয়া।

ওসি বাহার মিয়া বলেন, “শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চাঁদপুর পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র ও জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলী মাঝি ও তার ছেলে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের জেলা সহ-সম্পাদক রাকিব মাঝিকে গ্রেপ্তার করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। মঙ্গলবার ৪ মার্চ সকালে তারা গ্রেপ্তার হন। বিমানবন্দর থানা থেকে দুইজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি আমাদের জানানো হয়েছে। তাদের আনতে চাঁদপুর থেকে বিমানবন্দর থানায় পুলিশ সদস্যদের পাঠানো হয়েছে।”

আরো পড়ুন:

জাতীয় সংগীত অবমাননা, নেতিবাচক ভিডিও প্রচার করায় যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

রাজশাহী জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার

তিনি আরো বলেন, “গ্রেপ্তার মোহাম্মদ আলী ও তার ছেলে রাকিবের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ঘটনায় মামলা রয়েছে। গত বছর ৫ আগস্টের পর থেকে তারা বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে ছিলেন।”

ঢাকা/অমরেশ/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য বল গ গ র প ত র কর য বল গ

এছাড়াও পড়ুন:

মুক্তিযুদ্ধকে খাটো করার প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়: বাংলাদেশ জাসদ

সংবিধানে মুক্তিযুদ্ধ ও ২০২৪ সালের গণ–অভ্যুত্থানকে সমান গুরুত্ব দেওয়ার চেষ্টার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধকে খাটো করার প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয় বলে মনে করে বাংলাদেশ জাসদ। আজ শনিবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় নিজেদের এ অবস্থান তুলে ধরে দলটি।

আজ সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে বাংলাদেশ জাসদের সঙ্গে আলোচনা করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে দলটির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। বৈঠকের শুরুতে নিজেদের প্রস্তাবনার সারসংক্ষেপ পাঠ করেন বাংলাদেশ জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য মুশতাক হোসেন।

মুশতাক হোসেন বলেন, মুক্তিযুদ্ধকে খাটো করার প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়। অবশ্যই চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থান উল্লেখ করার ঐতিহাসিক তাৎপর্য রয়েছে। সেই সঙ্গে দীর্ঘ লড়াই শেষে নব্বইয়ের গণ–অভ্যুত্থানও তাৎপর্যপূর্ণ। এই গণ–অভ্যুত্থানকেও সংবিধানে মর্যাদার সঙ্গে উল্লেখ করা প্রয়োজন। সংবিধান থেকে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র ও ৭ মার্চের ভাষণ অপসারণ তাঁরা সমর্থন করেন না। দেশের নাম বাংলাতে পরিবর্তনকে তাঁরা অনাবশ্যক বলে মনে করেন।

আলোচনার শুরুতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হলেও এ দাবি প্রকৃতপক্ষে জনগণের।

আলোচনার শুরুতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকার পক্ষ থেকে নেওয়া হলেও এ দাবি প্রকৃতপক্ষে জনগণের। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা মে মাসের মাঝামাঝি শেষ করতে চায় কমিশন। এরপর দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু হবে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঐকমত্য কমিশন রাষ্ট্র সংস্কারের একটি সুনির্দিষ্ট পথ খুঁজে বের করতে পারবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজসহ কমিশনের সদস্যরা

সম্পর্কিত নিবন্ধ